সাদাকালো-তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে সংঘাতের অশুভ সূচনা by আহমদ রফিক

রাজনৈতিক দলের মধ্যে নানা কারণে সৃষ্ট মতভেদের সুবাদে যে দ্বন্দ্ব-সংঘাতের জন্ম, তা কখনো কখনো সামাজিক অস্থিরতার প্রকাশ ঘটায়। তার মাত্রা বেড়ে যে রাজনৈতিক-সামাজিক অস্থিতিশীলতার জন্ম দেয়, তা শ্রেণী নির্বিশেষে অধিকাংশ মানুষের মধ্যে সাময়িক হলেও রাজনীতির প্রতি বিতৃষ্ণা সৃষ্টি করে।


সেই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে কখনো কখনো অবাঞ্ছিত শক্তি সামনে এসে দাঁড়ায় এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে জবরদস্তির শাসন কায়েম করে। সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষার নামে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠায়। জনসমর্থন না থাকলেও তাতে কিছু আসে-যায় না। ক্ষেত্রবিশেষে জনসমর্থন কায়দা-কৌশলে বা জবরদস্তিতে আদায় করা হয়।
বিশ্বে তো বটেই, এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসেও এমন ঘটনা সচরাচর। আমাদের দেশে দীর্ঘ স্বৈরশাসনের পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর অদূরদর্শী আচরণ, দলীয় স্বার্থে পারস্পরিক সংঘাত, অসহিষ্ণুতা ও ক্ষমতার লোভ এবং গণতন্ত্রের মৌল মূল্যবোধ তথা গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির চর্চা একপাশে ঠেলে অন্ধ সংঘাতের পথ বেছে নেওয়া প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচিত।
এ দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের পাঠক মাত্রই জানে, রাজনৈতিক অঙ্গনে সৃষ্ট দুর্বুদ্ধির কারণে এবং দলীয় রাজনীতির অসহিষ্ণু সংঘাতের সুযোগে কিভাবে দেশে ১৯৫৮ সালে আইয়ুবি শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, যা চলেছে পুরো এক দশক ধরে। পাকিস্তান আমলের পুরো দুই যুগের অধিকাংশ সময় কেটেছে সামরিক ও স্বৈরশাসনে।
গণতান্ত্রিক আদর্শের মূলমন্ত্র নিয়ে লড়াইয়ের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশেও আমরা কি ওই পাকিস্তানি ঐতিহ্যই ধারণ করে আছি? তা না হলে সেই দলীয় কোন্দল-সংঘাত, সেই সামরিক-আধাসামরিক বা স্বৈরাচারী শাসন কেন আমাদের স্বাধীনতা-উত্তরকালের দীর্ঘ সময় কেড়ে নেবে? কেন গণতন্ত্রের চর্চা সংসদীয় গণতান্ত্রিক শাসনামলে অবহেলিত হবে? কেন বার বার কথিত ওই 'তারা'র আবির্ভাব ঘটবে? কেন আমাদের রাজনীতিবিদরা দুর্ভাগ্যজনক রাজনৈতিক ঘটনাবলি এবং সেই শাসনের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেবেন না? কেন ব্যক্তিবিশেষ বা দলবিশেষের স্বার্থ ও জেদ রাজনীতির চর্চায় প্রাধান্য পাবে? কেন ওই অগণতান্ত্রিকতার চর্চা থেকে তাঁরা সরে আসবেন না?
নেতা-নেত্রীরা এসব প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেন? ক্ষমতা নিয়ে আদর্শহীন দ্বন্দ্ব-সংঘাত যখন যুক্তিতথ্য ও গণতান্ত্রিক রীতিনীতির ঊধর্ে্ব উঠে দলীয় স্বার্থকে প্রধান করে তোলে, তখন জনসাধারণ যে রাজনীতির প্রতি শ্রদ্ধা হারায়, সামরিক শাসনকে অনিচ্ছা সত্ত্বেও স্বাগত জানায়, তেমন নজির তো এ দেশে অনেকবার দেখা গেছে। তবু আমাদের রাজনীতিকরা তা বুঝেও বোঝেন না, নিজ নিজ জেদ আঁকড়ে ধরে থাকেন।
সম্প্রতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব-সংঘাতের রাজনীতি নতুন করে দেখা দিয়েছে। উচ্চ আদালতের এক রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবার সেই রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা এবং রাজপথ উত্তপ্ত করে তোলার মতো পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। মীমাংসাযোগ্য বিষয়কে 'ইস্যু' তৈরি করে রাজপথে দাপিয়ে বেড়ানোর আলামত শুরু হয়ে গেছে। জনগণের অনিচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের ওপর হরতাল চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে স্বার্থনির্ভর আন্দোলনের গণতান্ত্রিক অধিকারের নামে।
জনগণের নামে এ ধরনের স্বেচ্ছাচার আর কতদিন চলবে? তাদের সৌভাগ্য, জনগণ এই স্বেচ্ছাচারের বিরুদ্ধে আলাপ-আলোচনার প্রতিবাদেই নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষান্ত হয়, রাজপথে নেমে আসে না। হরতাল আহ্বানকারীদের বলি, হরতাল সম্পর্কে জনসমর্থনের জরিপ বা গণভোট নিয়ে দেখুন তো, কত শতাংশ হরতালের পক্ষে রায় দেয়? তখন ঠিকই দেখা যাবে, জনগণের নামে ডাকা হরতালের মূল সমর্থক গোষ্ঠী প্রকৃতপক্ষে অন্ধ দলীয় সমর্থক ও ক্যাডার বাহিনী এবং ভাড়া করা টোকাই বা দুর্বৃত্ত ছাড়া আর কেউ নয়। হরতালে সত্যিই জনগণের দেখা মিলবে না, যেমন মেলে না ব্যবসায়ী শ্রেণীর সমর্থন। তারা স্পষ্ট ভাষায় বিবৃতি দিয়ে হরতালের বিরুদ্ধে মতামত প্রকাশ করে থাকে এবং এবারও করেছে।
তাহলে কেন হরতাল? কেন দলীয় স্বার্থ পূরণের জন্য জনগণের নামে হরতাল ডেকে তাদের ভোগান্তি ঘটানো? কেন ভাড়াটে দুর্বৃত্তদের দিয়ে গাড়ি ও বাস পুড়িয়ে ব্যক্তিক এবং জাতীয় ক্ষয়ক্ষতি করা? কী অপরাধ তাদের? জনস্বার্থবিরোধী হরতাল অমান্য করার খেসারত? নেতা-নেত্রীদের বলি, সাদা চোখে আর নিরপেক্ষ মনে সত্যটা মেনে জনগণের হরতাল-ভোগান্তির কথা একবার ভেবে দেখুন। ভাবুন তাদের কথাও, যারা এ ধরনের অরাজক পরিস্থিতি বা রাজনৈতিক সংঘাত-অস্থিতিশীলতার সুযোগ নেয়, ক্ষমতার লাগামটা ধরে চালকের আসনে বসে পড়ে। ১/১১ তো খুব দূরের ঘটনা নয়। ওটা তো ছিল দীর্ঘস্থায়ী ব্যবস্থার সূচনা মাত্র।
এ প্রসঙ্গে দীর্ঘ সময়ের অভিজ্ঞতার কথা বলি_যখনই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে দলীয় স্বার্থে সংঘাতের প্রবণতা দেখে দেয়, রাজপথে রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রকাশ পায়, সমাজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা দেখা দেয়, তখন রাজনীতিমনস্ক মানুষ, বিশেষ করে রাজধানীর মানুষ ঠিকই অবস্থা বুঝে নিয়ে অস্বস্তি ও আশঙ্কায় ভুগতে থাকে। বাড়িতে বাড়িতে ড্রয়িং রুমে বা অন্যত্র জনাকয়েক একত্রিত হলে তাৎক্ষণিক রাজনীতি আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
আলোচনার মূল কথা_কেন জাতীয় রাজনীতির কর্ণধাররা আত্মঘাতী সংঘাতে লিপ্ত? কেন তারা নিজ স্বার্থে অন্ধ হয়ে জাতীয় স্বার্থ ও জনস্বার্থ বিসর্জন দিচ্ছেন? কেন বুঝতে পারছেন না, তাঁদের অদূরদর্শী সংঘাত ও জেদ জাতীয় পর্যায়ে অমঙ্গল ডেকে আনবে, দেশের অস্থিতিশীলতার সুযোগে অরাজকতা দূর করে সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা স্থাপনের নামে অবাঞ্ছিত শক্তি ক্ষমতা দখল করে নেবে? কেন তারা বোঝেন না, এ পরিস্থিতি দেশের জন্য তো নয়ই, তাঁদের জন্যও মঙ্গলজনক নয়।
কিন্তু নাগরিক মানুষ যা বোঝে, রাজনীতিবিদরা তা বোঝেন না। কিংবা বুঝেও বুঝতে চান না, সংঘাতে সমস্যার সমাধান নেই, আছে সহিষ্ণু মনোভাবে, আছে সমঝোতার গণতান্ত্রিক আচারে। রাজপথে উত্তাপ ছড়িয়ে বা রক্ত ঝরিয়ে অবাঞ্ছিতের জন্যই পথ তৈরি করে দরজা খুলে দেওয়া হবে। যে গণতন্ত্রের কথা তাঁরা বলেন, তা আছে যুক্তিগ্রাহ্য সহিষ্ণু আচরণে; নেতিবাচক রাজনীতিতে নয়।
তাই বলতে হয়, দলীয় স্বার্থ রাজনীতিক এবং তাদের কট্টর সমর্থকদের অন্ধ করে দেয়। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো, 'অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে'? থাকে না। আর সেই প্রলয়ের ফলাফল রাজনীতির জন্য, রাজনীতিকদের জন্য সুখকর নয়। দেশ এবং দশের জন্য তো নয়ই। দুর্ভাগ্য, এতসব দেখেশুনে, ইতিহাস পাঠের পরও আমাদের দেশে গণতান্ত্রিক রাজনীতির জোয়ার-ভাটা এবং সুস্থ রাজনৈতিক সংস্কৃতির চর্চা গড়ে ওঠেনি। আমাদের কথিত সুশীল সমাজও এ বিষয়ে কোনো ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারছে না।
এর কারণ কি আমরা নেতিবাচক রাজনীতি, অসহিষ্ণু সংঘাতের রাজনীতিতে এতটাই অভ্যস্ত হয়ে উঠেছি যে, ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের বাইরে যুক্তিগ্রাহ্য গণতান্ত্রিক রাজনীতির সহিষ্ণু পথে হাঁটতে চাই না? তাতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার ভিত নষ্ট হোক, সাকুল্যে রাজনীতির ভবিষ্যৎ নষ্ট হোক, কী আসে-যায়? আসল কথা হলো_'আমি ক্ষমতায় যেতে না পারলে প্রতিপক্ষকে শান্তিতে থাকতে দেব না। তাকে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতার আসন থেকে টেনে নামানোর চেষ্টা চালাব। তাতে ঘটুক রাজনৈতিক বিপর্যয়। পরোয়া করি না সেসব।' গত দুই দশকের রাজনৈতিক ঘটনাবলি ও বাদানুবাদ, রাজপথের উত্তপ্ত সংঘাত ও পাল্টা লাঠিপেটা উলি্লখিত রাজনৈতিক সংস্কৃতিরই পরিচয় রেখেছে। বিরোধী দল কি কখনো ভেবে দেখেছে, হরতালকে জঙ্গি রূপ দিতে গিয়ে বাসে আগুন দিয়ে নিরীহ মানুষকে হত্যার নৈতিক অধিকার তাদের আছে কি না? এ হত্যার দায় তারা এড়াতে পারে কি না?
রাজনীতিকরা বলে থাকেন, তাঁদের হরতাল করার নৈতিক অধিকার রয়েছে। মানছি, হরতাল প্রতিবাদের একটি ফর্ম। এর অর্থ এই নয়, আপনি বেধড়ক সহিংসতায় গাড়িতে, বাসে আগুন দেবেন, তাতে নিরীহ মানুষ মরে যাক, ক্ষতি নেই। সে ক্ষেত্রে আমাদের প্রশ্ন, হরতাল যুক্তিসংগত মনে না হলে ব্যক্তিবিশেষের তো নৈতিক অধিকার রয়েছে সেই হরতালের সঙ্গী না হওয়ার। কারণ, পথ চলা তার গণতান্ত্রিক বা নৈতিক অধিকার। সে ক্ষেত্রে তাকে পেটাতে গেলে বা তার গাড়ি ভেঙে ফেলা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনী যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীকে বিচারের আওতায় আনে, তাহলে কি কিছু বলার আছে?
পাঠকের উদ্দেশে, সুশীল সমাজের উদ্দেশে আমার একটি প্রস্তাব মনে হয় বিবেচনাযোগ্য। আসুন, আমরা যারা হরতালে সহিংসতার বিরোধী, আমাদের শেষ আশ্রয় উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হই। হরতালে গাড়ি ভাঙা, বাসে আগুন দেওয়া সংস্কৃতির বিরুদ্ধে, জনভোগান্তি বা প্রাণহানির বিরুদ্ধে নিরাপত্তা প্রার্থনা করি এবং তা নিশ্চিত করার যথাযথ নির্দেশ দিতে মাননীয় বিচারপতিদের অনুরোধ জানাই। সেই সঙ্গে জানতে চাই, জনভোগান্তির নৈরাজ্য সৃষ্টি এবং গাড়ি বা বাসে আগুন দিয়ে ব্যক্তিগত ক্ষতি করার অধিকার হরতালকারীদের আছে কি না? এ কথাও তো সত্য, এসব ভাঙচুর বা অগি্নকাণ্ড ঘটানোর দায় হরতাল আহ্বানকারী রাজনীতিকদের। তারা কি এসব ক্ষয়ক্ষতির জন্য বিচারের আওতায় পড়েন না? এ ব্যাপারে মাননীয় বিচারপতিদের একটি মননশীল ও মানবিক সিদ্ধান্ত বা রায় পেলে আমরা স্বস্তিবোধ করব।
সবশেষে টানা হরতাল, রাজপথের সহিংসতা ইত্যাদির পরিপ্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে দু-একটি কথা। এ বিষয়ে উচ্চ আদালত রায় দিয়েছেন। সঙ্গে পরামর্শ যোগ করেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় আগামী দুইবার নির্বাচন হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে হাওয়ায় নানা রকম গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। এর মধ্যে অশনি সংকেত যে নেই, এমন নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের নিয়তি যখন সঙ্গী হয়, তখন সংকেত বা বার্তা শোনা যায় না।
যাহোক, এ বিষয়ে গঠিত সংসদীয় কমিটির প্রতিবেদনে কিছু বাস্তবমুখী প্রস্তাব ছিল, দেশ-বিদেশের প্রতিনিধি স্থানীয় রাজনীতিক বা আইনজ্ঞ অনেকের পরামর্শ ছিল, সরকার ও বিরোধী দল মিলেমিশে একটা সমঝোতায় পেঁৗছে তবেই প্রস্তাব চূড়ান্ত করা। কিন্তু সরকার তা করেনি। বরং সব কিছু চূড়ান্ত করে প্রস্তাবটি বিল আকারে সংসদে তোলার আগ মুহূর্তে বিরোধী দলকে ডাকা হয়েছে। সংসদে গত ৮ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার উদ্দেশে বলেছেন, "আমাদের করা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সুযোগ নিয়ে 'তারা' ক্ষমতায় আসবে। এসে আমাদের চোর বানাবে, দুর্নীতিবাজ বানাবে। সেই সুযোগ তাদের কেন দেব। আসুন, আমরা যা করার নিজেরা বসে করি। তাদের এই সুযোগ কেন দেব।" (বিডিনিউজ, কালের কণ্ঠ ৯.৬.২০১১)
এ পর্যন্ত সব কিছু ঠিকই ছিল। আহ্বানে রাখঢাক নেই, পানির মতো স্বচ্ছ সব কিছু। কিন্তু একই বক্তৃতায় যখন বলা হয়, 'যেদিন বিলটা উত্থাপন হবে, সেদিন দুই দিনের হরতাল দিতে পারেন। বিলটা যেদিন পাস হবে, সেদিন না হয় তিন দিনের হরতাল দেবেন। এর বেশি কী করবেন? মানুষকে কষ্ট দেওয়া ছাড়া কিছু হবে না।' ব্যস, পরিবেশ ঘোলাটে। সব সমঝোতার সম্ভাবনা ভণ্ডুল। ঠিকই প্রাথমিক কর্মসূচি হিসেবে খালেদা জিয়া দুই দিনের হরতাল (রবি-সোম) ঘোষণা করলেন। এবার চলবে রাজপথে সহিংসতা, পুলিশের পাল্টা ব্যবস্থা। প্রতিক্রিয়ায় আবার হরতাল। নিস্তরঙ্গ রাজনীতিতে শুরু হতে যাচ্ছে ঢেউয়ের তাণ্ডব। পরিণতি কোথায় গিয়ে ঠেকবে, কে জানে? (পরবর্তী তারিখে সমাপ্য)
বি. দ্র. : এই লেখা যখন শেষ করছি, তখনই হরতালের এক দিন আগের বিকেলে গাড়ি ভাঙচুরের মহোৎসব শুরু হয়ে গেছে। গাড়ির আরোহী ও চালকের বিস্ময়! হরতাল তো আগামীকাল, আজ থেকেই ভাঙচুর? কৈলাশে নটরাজের মুখে কি মুচকি হাসি? না, এত তাড়াতাড়ি নটরাজ নৃত্যপর হবেন বলে মনে হয় না। ১১ জুন ২০১১

লেখক : ভাষাসংগ্রামী, কবি, গবেষক ও প্রাবন্ধিক

No comments

Powered by Blogger.