বিনা মূল্যে বই বিতরণ উদ্বোধন-আগামী বছর বইয়ের মান আরও ভালো হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষা সময়ের দাবি। তাঁর সরকার এ লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মেলাতে আগামী বছর বইয়ের গুণগত মানের আরও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার ছাত্রছাত্রীদের আগামী শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই বিতরণের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন। খবর বাসসের।


প্রধানমন্ত্রী সকালে গণভবনে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দেন। বিজ্ঞান ও আইসিটি শিক্ষার মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটানোর ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বছরের প্রথম দিনই ছাত্রছাত্রীদের হাতে নতুন পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ১ জানুয়ারি পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব উদ্যাপন করা হচ্ছে। সময়মতো বই পেতে ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোনো বেগ পেতে না হয়, সে জন্য সিন্ডিকেট ভাঙতে খোলা ও আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে পাঠ্যবই মুদ্রণ ও বিতরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ বছর প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষার তিন কোটি ১২ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৯ শিক্ষার্থীর জন্য মোট ২২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৩৮৩ কপি পাঠ্যবই মুদ্রণ ও ইতিমধ্যে নয় হাজার ট্রাকের মাধ্যমে তা প্রতিটি উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিপুলসংখ্যক বই মুদ্রণ ও বিতরণের মতো বিশাল কাজ সুচারুরূপে শেষ করায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, জাতীয় পাঠ্যপুস্তক ও কারিকুলাম বোর্ড (এনটিসিবি) ও সংশ্লিষ্ট অন্যদের ধন্যবাদ জানান।
এর আগে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর সাত সেট নতুন সংস্করণ পাঠ্যবই প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।
সরকারি সূত্র জানায়, নতুন মুদ্রিত বইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কিত অধ্যায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট নতুন পাঠ্যবই আগামী বছর প্রকাশ করা হবে।
অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমিন, প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন ও শিক্ষাসচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বক্তৃতা করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব এ কে এম আবদুল আওয়াল মজুমদার, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ ও এনটিসিবির চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
আইওএমের আঞ্চলিক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের (আইওএম) আঞ্চলিক প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার নিরাপদ অভিবাসন ও অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার কর্মসংস্থানকারী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারের মাধ্যমে অভিবাসন ব্যয় কমাতে ও অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তা উন্নয়নে অত্যন্ত সচেষ্ট ও অঙ্গীকারবদ্ধ।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব শেখ মো. ওহিদুজ্জামান ও প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.