নাদিয়া হত্যা মামলা-স্বামী শফিকুরের জামিন হওয়ায় ক্ষোভ

কামরুন নাহার ওরফে নাদিয়া হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী সিকদার শফিকুর রহমানের জামিন হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে নাদিয়ার পরিবার। তাদের অভিযোগ, মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম শুনানি চলাকালে জামিন আবেদনের বিষয়ে আদেশ দেননি। আদালতের কার্যক্রম শেষে রহস্যজনকভাবে জামিন মঞ্জুর করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ


সম্মেলনে নাদিয়ার পরিবার এ অভিযোগ করে। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম আলোতে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বিচারক এস এম আমিনুল ইসলাম সম্পর্কে ‘দুই দিনে জাল টাকার সাত মামলায় জামিন’ শিরোনামে খবর প্রকাশিত হয়। একই দিন আইন মন্ত্রণালয় এক সদস্যের কমিটি গঠন করে ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে নাদিয়ার ভগ্নিপতি এস এম আহমেদ বলেন, ২৭ ডিসেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালতের অবকাশকালীন বেঞ্চে শফিকুরের পক্ষের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবীরা তথ্য-প্রমাণ উত্থাপন করে জামিনের বিরোধিতা করেন। বিচারক শুনানি চলাকালে জামিন মঞ্জুরের আদেশ দেননি। রহস্যজনকভাবে আদালতের কার্যক্রম শেষে রাতে জামিন মঞ্জুর করেন। এস এম আহমেদ বলেন, এটা অনভিপ্রেত ও দুঃখজনক।
সংবাদ সম্মেলনে নাদিয়ার ভাই শরীফ আহমেদ অভিযোগ করেন, নাদিয়া হত্যার পর থেকে মুঠোফোনে তাঁকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সবুজবাগ থানায় তিনি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন।
এ বছরের ২৪ এপ্রিল নাদিয়াকে হত্যার পর শফিকুর ঢাকা শহরে প্রায় ১০ ঘণ্টা গাড়িতে ঘুরে লাশ গুম করার চেষ্টা করেন। শাহবাগ থানার পুলিশ ওই গাড়িসহ শফিকুরকে গ্রেপ্তার করে। গাড়িচালক মো. রবিউলকেও আটক করে পুলিশ। ২৫ এপ্রিল শরীফ হাজারীবাগ থানায় শফিকুর, তাঁর মা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ব্যাপারে চালক রবিউল ও তিনজন সাক্ষী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ঘটনাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল তা তদারক করছে। গত ১৬ অক্টোবর সেলের গোয়েন্দা পুলিশ এ ব্যাপারে অভিযোগপত্রও দেয়। আগামী বছরের ১৯ জানুয়ারি মামলার বিচারের দিন নির্ধারণ করা ছিল।
শফিকুরের গ্রামের বাড়ি বরিশালের গৌরনদী উপজেলায়। নাদিয়ার বাড়িও একই জেলার কাউনিয়া এলাকায়। তাঁরা ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.