দারুণ শুরুর পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসেও ধস

বিশ্বাস্য দুটো 'কামব্যাক'-এর সাক্ষী হলো কাল জোহানেসবার্গের নিউ ওয়ান্ডারার্স স্টেডিয়াম। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ার তরফ থেকে, এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা।আগের টেস্টে, ঠিক আগের ইনিংসটাতেই মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। দেশটির ক্রিকেট ইতিহাসে অমন লজ্জা খুব বেশি আসেনি। সেখান থেকে প্রবল বিক্রমে কাল ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার ২৬৬ রানের জবাবে বিনা উইকেটেই তুলে ফেলে ১৭৪ রান।


প্রবল দর্পে ২২ গজকে নিজেদের রাজত্ব বানিয়ে খুনে ব্যাটিং করছিলেন দুই ওপেনার শেন ওয়াটসন ও ফিলিপ হিউজ। আগের টেস্টের ৪৭-বিপর্যয়কে তখন মনে হচ্ছিল আলোকবর্ষ আগের ঘটনা।
কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকাই বা ছেড়ে কথা কইবে কেন! প্রতিপক্ষ তো আর স্টিভ ওয়াহ কিংবা রিকি পন্টিংয়ের বিশ্বজয়ী অস্ট্রেলিয়া নয়। সাম্রাজ্য-হারানো গড়পড়তা এক দল মাত্র। রান-পাহাড়ে চাপা পড়ার শঙ্কা থেকে প্রোটিয়ারা তাই ফিরে আসে ঠিকই। ফিরে আসে দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিংয়ের যুগলবন্দিতে। এ কারণেই বিনা উইকেটে ১৭৪ রান থেকে অসিদের অলআউট করে দেয় ২৯৬ রানে। অর্থাৎ শেষ ১২২ রানে সব উইকেট তুলে নিয়ে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৩০ রানে পিছিয়ে থাকল স্বাগতিকরা।
টস জিতে প্রথম দিন ব্যাটিং নেওয়ার সময়ই প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথ বলেছিলেন, এই উইকেট রানপ্রসবা। সুবিধাটা অবশ্য নিতে পারেননি তাঁর ব্যাটসম্যানরা। আত্মহত্যার মিছিলে অলআউট হয়ে যায় ২৬৬ রানে। এর মধ্যে মাত্র ২৫ রানে হারায় শেষ ৬ উইকেট! কী ভুল যে স্বাগতিকরা করেছে, সেটি কাল প্রমাণ দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার। প্রোটিয়া বোলিং আক্রমণকে সাদামাটা বানিয়ে দলকে এনে দেন তাঁরা দুর্দান্ত সূচনা, মাত্র ৩৬.৩ ওভারে ১৭৪ রান জুড়ে দিয়ে।
এরপরই ধস। ৮৮ রান করা হিউজকে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের প্রথম ব্রেক থু্র দেন ভেরনন ফিল্যান্ডার। ওই ৮৮ রানেই ক্যালিস ফিরিয়েছেন আরেক ওপেনার ওয়াটসনকে। এরপর কেবল আসা-যাওয়ার মিছিল। রিকি পন্টিং (০), মাইকেল ক্লার্ক (১১), উসমান খাজা (১২), মাইক হাসি (২০), ব্রাড হাডিন (১৬)_কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। প্রতিপক্ষের মতো তাঁরা সেভাবে উইকেট ছোড়েননি, বরং সেগুলো আদায় করে নিয়েছেন ডেল স্টেইন, ইমরান তাহির, মরকেল ও ক্যালিসরা। ৬৪ রানে চার উইকেট নিয়ে সফলতম বোলার স্টেইন। তিন উইকেট নিয়েছেন লেগ স্পিনার তাহির। ক্রিকইনফো

No comments

Powered by Blogger.