সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-অফিসে কর্মচারী নিয়োগ অচিরেই by মোশতাক আহমদ

সারা দেশে সরকারি স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অফিসে দেড় হাজারের বেশি কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হবে শিগগিরই। জেলা কোটায় নিয়োগ দেওয়া হবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর এ কর্মচারীদের। নিয়োগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠাতে দেশের ৩১৭টি স্কুল, ২৫৩টি কলেজ, তিনটি মাদ্রাসা, ৯টি আঞ্চলিক অফিসসহ ৬৪টি জেলার প্রায় এক হাজার প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।


মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও নিয়োগ কমিটির সদস্যসচিব মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন, সরকারি বিধিমালা অনুযায়ী ওইসব পদে জেলা কোটায় নিয়োগের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সারা দেশ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য পাওয়ার পর পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তিনি জানান, আগামী দুই মাসের মধ্যেই নিয়োগ চূড়ান্ত করতে সংশ্লিষ্টরা কাজ করছেন।
জানা যায়, ২০০৫ সালের পর নতুন কোনো নিয়োগ না হওয়ায় সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষা অফিস ও সরকারি স্কুল-কলেজে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীর তীব্র সংকট দেখা দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৭ সালের শুরুর দিকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর প্রায় আড়াই হাজার কর্মচারী নিয়োগের জন্য তৎকালীন সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু সংস্থাপন মন্ত্রণালয় বারবার বিভিন্ন বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে তথ্য চেয়ে নিয়োগ অনুমোদনের ছাড়পত্র দিতে বিলম্ব করে। সরকারি স্কুল-কলেজ ও সংশ্লিষ্ট অফিসে কর্মচারী সংকটের কথা বিবেচনা করে বর্তমান সরকার নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে প্রস্তাবটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় কয়েক দফা যাচাই-বাছাই শেষে গত জুন মাসে এক হাজার ৯৬৫টি পদে নিয়োগের জন্য ছাড়পত্র দেয়। এরপর সরকারি নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সেপ্টেম্বরেই পাঁচ সদস্যের নিয়োগ কমিটি গঠন করে। সরকারি কর্ম কমিশন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিসহ মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের একজন পরিচালক ও একজন উপপরিচালকের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি সম্প্রতি তাদের প্রথম সভা করেছে। ছাড়পত্রের কয়েকটি বিষয় সরকারি নিয়োগ বিধিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক হিসেবে চিহ্নিত করে তা সংশোধনের জন্য একটি সংশোধনী প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠায় কমিটি।
জানা গেছে, যেসব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে সেগুলোর মধ্যে আছে প্রদর্শক পদে ৩১৫টি, শরীরচর্চা শিক্ষক ৭৬টি, গবেষণা সহকারী ৯টি, সহকারী গ্রন্থাগারিক কাম ক্যাটালগার ৬৪টি, সাঁটলিপিকার দুটি, সাঁটমুদ্রাক্ষরিক চারটি, উচ্চমান সহকারী ৭১টি, অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক ১৮৯টি, ক্যাশিয়ার কাম ভাণ্ডার রক্ষক ১৩টি, হিসাব সহকারী ৪৩টি, ক্যাশিয়ার ৩৯টি, স্টোর কিপার ৩৩টি, ইলেকট্রিশিয়ান ৩১টি, বুক সর্টার ২৯টি, এমএলএসএস ৯৫৮টি ও সুইপার ৮৯টি।

No comments

Powered by Blogger.