সিলেটে গৃহবধূ খুন-স্বামী ও সহযোগীকে জেলহাজতে প্রেরণ

গরের কুমারপাড়ায় গৃহবধূ খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ঘাতক স্বামী সুহেলের সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম সাহেদ আহমদ। সে নগরীর কাজলশাহ এলাকার ১৬৪/২ নম্বর বাসার মৃত আলাউদ্দিনের ছেলে। খুনের ঘটনায় গতকাল শুক্রবার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, তানজিনা আক্তার রুনার হত্যাকারী ঘাতক স্বামী মাসুদুর রহমান সুহেল একজন পেশাদার পকেটমার। সে দীর্ঘদিন ধরে নগরীর বিভিন্ন স্থানে পকেট মারার কাজ করত। সাহেদ তার অন্যতম সহযোগী ও বন্ধু।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহ মোবাশ্বির আলী বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুহেল স্ত্রী রুনাকে খুন করার কথা স্বীকার করেনি। সে একজন পেশাদার পকেটমার। সুহেলের বন্ধু সাহেদকে আমরা একদিন পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তার গতিবিধি লক্ষ করেছি। মনে হচ্ছে, এ ঘটনার সঙ্গে তারও যোগসূত্র আছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল দুজনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। রবিবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।'
উল্লেখ্য, বুধবার বিকেলে কুমারপাড়ার ৩৪/বি নম্বর বাসার দোতলায় স্ত্রী তানজিনা আক্তার রুনাকে খুন করে লাশ শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে স্বামী সুহেল। পরে দরজা বাইরে থেকে তালাবদ্ধ করে ৯ মাসের কন্যাশিশু সোহানা আক্তার রাহামাকে নিয়ে পালিয়ে যায় সে। রাতেই পুলিশ তাকে পাঠানটুলা এলাকা থেকে মাতাল অবস্থায় গ্রেপ্তার করে। তার তথ্য অনুসারে শিশু রাহামাকে বন্ধু সাহেদের বাসা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। কিন্তু এ ঘটনায় সাহেদকে গ্রেপ্তার না করায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নিহতের পরিবার প্রশ্ন তোলে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা যায়, সাহেদ পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করত।

No comments

Powered by Blogger.