ওবামাকে হত্যার চেষ্টায় অভিযুক্ত ওর্তেগা

হোয়াইট হাউসের কাছে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার অস্কার রামিরো ওর্তেগা হার্নান্দেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।ওবামাকে 'শয়তান' ও 'যিশুখ্রিস্টবিরোধী' বলে উল্লেখ করেতেন ওর্তেগা (২১)। পেনসিলভানিয়ার একটি হোটেল থেকে গত বুধবার তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।


গত শুক্রবার হোয়াইট হাউসের কাছে গুলি চালানোর ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁকে খুঁজছিল। হোয়াইট হাউসের কাছে সেদিন বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শোনা যায়। এর মধ্যে দুটি গুলি লাগে ভবনের দুই তলার একটি জানালায়। তবে জানালার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী কাচ গুলি দুটি ফিরিয়ে দেয়। প্রেসিডেন্ট ওবামা ও ফার্স্ট লেডি মিশেল ওই সময় হোয়াইট হাউসে ছিলেন না। তবে এ দম্পতির মেয়ে সাশা ও মালিয়া সেখানে ছিল কি না, গোয়েন্দারা তা জানাননি। গুলির শব্দ শোনার কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউসের কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে একটি খালি গাড়ি খুঁজে পান। গাড়ির ভেতর থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল ও কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ওর্তেগার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে পুলিশ। পরোয়ানায় থাকা ছবি দেখে পেনসিলভানিয়ার ওই হোটেলের এক কর্মী ওর্তেগাকে চিনতে পারে। গ্রেপ্তারের পর গত বৃহস্পতিবার পেনসিলভানিয়ার একটি আদালতে হাজির করা হয় তাঁকে। বিচারের জন্য পরে তাঁকে ওয়াশিংটনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। হিস্প্যানিক-আমেরিকান ওর্তেগা আইডাহো অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা। তিনি নিখোঁজ হয়েছেন বলে গত ৩১ অক্টোবর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। ওর্তেগার বিরুদ্ধে অতীতে মাদক সেবন ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মারপিটের একাধিক অভিযোগ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ তদন্ত সংস্থা এফবিআইকে জানায়, ওবামার প্রতি এক ধরনের বিতৃষ্ণা পোষণ করতেন ওর্তেগা। ওবামাকে 'শয়তান' ও 'যিশুবিরোধী' বলে উল্লেখ করতেন এবং 'ওবামাকে হত্যা করা দরকার' জাতীয় মন্তব্য করতেন। নিখোঁজ হওয়ার আগে গত মাসে ওর্তেগা অনেক বেশি ক্ষুব্ধ আচরণ করেছেন বলেও জানায় প্রত্যক্ষদর্শীরা। ওর্তেগার গায়ে বেশকিছু উল্কি আঁকা আছে এবং তাঁর একটিতে 'ইসরায়েল' লেখা রয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪০ বছরের মধ্যে হোয়াইট হাউস বেশ কয়েকবার হুমকির মধ্যে পড়েছে। সূত্র : টেলিগ্রাফ, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.