‘কিছু ঘটে গেলে ধরে নেবেন ওসমান পরিবার থেকে হয়েছে’

‘জেল থেকে মুক্তি পেলেও আমি আতঙ্কে আছি। কারণ, আমার পুলিশ প্রোটেকশন তুলে নেওয়া হয়েছে। একজন বডিগার্ড দেওয়া হয়েছিল, তা এখন দেবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান। তবে কখন কী ঘটে যায়, জানি না। যদি কোনো কিছু ঘটে যায়, তাহলে আপনারা ধরে নেবেন ওসমান পরিবার থেকে হয়েছে।’
আজ বুধবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে এ কথা বলেছেন শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্ত। নারায়ণগঞ্জের বন্দরে এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্ত করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগের মামলায় আজ তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরের লাঞ্ছিত প্রধান শিক্ষক সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ ঘোষ তাঁর মুক্তির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়া জন্য প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি ও শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে শ্যামল কান্তি ভক্ত বলেন, ‘আমি পূর্বপরিকল্পিত পরিস্থিতির শিকার। আমাকে এই মিথ্যা মামলায় জেল খাটিয়ে অপমান করা হয়েছে। এর আগেও আমাকে কীভাবে অপমান করা হয়েছে, কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে, মারধর করা হয়েছে, নির্যাতন করা হয়েছে, তা দেশবাসী দেখেছে।’
এর আগে আজ দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে তাঁর আইনজীবী শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তের জামিন চাইলে আদালত দুই পক্ষের শুনানি শেষে আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের কারা তত্ত্বাবধায়ক সুভাষ ঘোষ জানান, আদালত জামিন মঞ্জুর করার পর জামিনের কপি আদালতের মাধ্যমে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে এসে পৌঁছায়। পরে সেটি যাচাই–বাছাই করে বিকেলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হওয়ার সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী সবিতা হালদার, আইনজীবী সাখাওয়াত হোসেন।

No comments

Powered by Blogger.