দুস্থদের মাঝে খালেদা জিয়ার বস্ত্র ও খাবার বিতরণ

নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৬তম শাহাদতবার্ষিকী পালন করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার সকালে শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতার মাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানান দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। পরে সেখানে ফাতেহা পাঠ, দোয়া মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এরপর রাজধানীর ২৪টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি, চাল, চিনি, ছোলাসহ ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেন তিনি। এ উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় বিশেষ ক্রোড়পত্র। নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়সহ সারা দেশে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করেন। বেলা ১১টা ২৫ মিনিটে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন শেষে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন খালেদা জিয়া। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান, রুহুল আলম চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবীব, ফরহাদ হোসেন ডোনার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ফজলুল হক মিলন, শামা ওবায়েদ, ফুটবলার আমিনুল হক, আবদুস সালাম আজাদ, খন্দকার আবু আশফাক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঢাকা মহানগর বিএনপির উত্তরের সিনিয়র সহসভাপতি বজলুল বাসিত আঞ্জু,
সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মধ্যে সাইফুল আলম নীরব, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করিম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, মাহবুবুল হাসান ভূঁইয়া পিংকু, হেলেন জেরিন খান, সফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসানসহ কয়েক হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ : জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা শেষে মহানগর দক্ষিণের ২৪টি স্পটে দুস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাবার সামগ্রী বিতরণ করেন খালেদা জিয়া। বেলা পৌনে বারোটায় ধানমণ্ডির সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে দিনব্যাপী এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন তিনি। খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব ছাড়াও কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমা রহমান, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের শীর্ষ নেতারা। এরপর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ড, আজিমপুর ভিকারুননিসা স্কুল, বটতলা, ছাপরা মসজিদ, চকবাজারের বালুর মাঠ, নবাবপুর রোড-লালমোহন লেন (ওয়ারী), নয়াবাজার বিএনপির কার্যালয়, সূত্রাপুর কাঠেরপুল, দয়াগঞ্জ-সোনালী ব্যাংক ও দয়াগঞ্জ মোড়, শ্যামপুর লাল মসজিদ ঈদগাহ মাঠ, জুরাইন আলম মার্কেট, কদমতলীর পদ্মা সিএনজি পাম্প, ধোলাইপাড় বাসস্ট্যান্ড, কমলাপুর স্টেডিয়াম গেট, খিলগাঁও জোড়পুকুর খেলার মাঠ, শাহজাহানপুর মির্জা আব্বাসের বাড়ির সামনে, মতিঝিল সরকারি ঈদগাহ মাঠে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ করেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান খালেদা জিয়া। তবে তিনি কার্যালয়ে প্রবেশ করেননি। এরপর বিজয়নগর আল হাবিব কমিউনিটি সেন্টার ও হাতিরপুলে বস্ত্র ও খাবার বিতরণ শেষে গুলশানের বাসায় ফিরে যান। প্রতিটি স্পটেই নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ছিল। কোথাও কোথাও এসব কর্মসূচিতে পুলিশ বাধা দেয় বলে স্থানীয় নেতারা অভিযোগ করেন। এদিকে আজ ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৬ স্পটে বস্ত্র ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করবেন খালেদা জিয়া। জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় তার নির্বাচনী এলাকা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে দুস্থদের মধ্যে খাবার ও ইফতার সামগ্রী বিরতণ করেন। দিবসটি উপলক্ষে জিঞ্জিরা বিএনপির কার্যালয়ে দিনব্যাপী দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
চিত্রপ্রদর্শনী ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প : জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্মের ওপর দিনব্যাপী আলোকচিত্র প্রদর্শনী করে ছাত্রদল। মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। প্রদর্শনীতে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ, স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়া থেকে শুরু করে শাহাদতের দিন পর্যন্ত ৮০টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছে। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে তোলা আলোকচিত্রও এ প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে। ড্যাবের উদ্যোগে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয়। ১ হাজার ৩৫০ জন রোগীকে চিকিৎসাসেবা ও বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয় বলে জানান ড্যাবের মহাসচিব ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।

No comments

Powered by Blogger.