২১ গার্মেন্টস শ্রমিকের মৃত্যুর চার কারণ চিহ্নিত- তদন্ত কমিটির রিপোর্ট

গাজীপুরের গরীব এ্যান্ড গরীব সোয়েটার ফ্যাক্টরিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২১ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদ্ন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল উদ্দিন তালুকদারের নিকট হস্তান্তর করে।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ হাসান সারওয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে ঐ রিপোর্ট জমা দেন। কমিটি তদনত্মশেষে ফ্যাক্টরিতে পর্যাপ্ত বায়ু নির্গমনের ব্যবস্থা না থাকা ও ভবনের ছাদে স্টিল স্ট্রাকচারের তৈরি অননুমোদিতভাবে ৭ম তলা নির্মাণসহ চারটি কারণে ২১ শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য দায়ী করে। তদনত্ম কমিটি শিল্পকারখানাসমূহে অগ্নিকাণ্ডের য়তি কমাতে কারখানাগুলোকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা, অনিয়ম পাওয়া গেলে মালিক ও স্বত্বাধিকারীকে ফৌজদারি আইনের আওতায় আনা, জেলার শিল্প ও শ্রমিক ঘন এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের স্পেশাল স্কোয়াড স্থাপন, অনিয়ম অনুসন্ধানে বিভিন্ন বিভাগের সমন্বয়ে স্থায়ী পরিদর্শন টিম গঠনসহ ১৯ দফা সুপারিশ পেশ করে। তবে অগি্নকা-ে গার্মেন্টসে তির পরিমাণ, তিগ্রসত্ম ফ্যাক্টরি পুনরায় চালু করার উপায় এবং তিগ্রসত্ম শ্রমিকদের পুনর্বাসনের কোন প্রসত্মাব না রেখেই ২১ শ্রমিক মারা যাওয়ার জন্য ফ্যাক্টরি পরিচালনা পরিষদকে দায়ী করে তাদের শাসত্মি দাবিসহ ১৯টি সুপারিশ তদনত্ম প্রতিবেদনে পেশ করা হয়েছে। এ ধরনের মর্মানত্মিক ঘটনায় আরও বেশি যাচাই বাছাই করে নিরপে তদনত্মের দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা। তবে এ ব্যাপারে ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও পরিচালকের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে পাওয়া যায়নি।
সোয়েটার ফ্যাক্টরির দ্বিতীয় তলায় শর্ট সার্কিটের কারণে আগুনের সূত্রপাত ঘটে বলে তদনত্ম রিপোর্টে উলেস্নখ করা হয়েছে। আগুনে দোতলায় রতি হাফ ফিনিসড ও ফিনিসড সু্যয়েটারে সংঘটিত অগি্নকা- সব ফোরে বিসত্মার লাভ করে। তদনত্ম রিপোর্টে শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি ল্য না করার কারণে ফ্যাক্টরির পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং পরিচালকবৃন্দকে ঘটনার জন্য দায়ী করা হয়। তবে রিপোর্টে শ্রমিকদের কি ধরনের নিরাপত্তা দরকার সে বিষয়ে কোন উলেস্নখ নেই।

No comments

Powered by Blogger.