কাইয়ুম চৌধুরীর জন্মদিনে মিলন মেলা, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ

জন্মদিন পালনে নিজের অত উৎসাহ নেই। লম্বা সময় এ আনুষ্ঠানিকতার বাইরে থেকেছেন। কিন্তু মঙ্গলবার ৭৮তম জন্মদিনটির বেলায় ঘটল ব্যতিক্রম। আনুষ্ঠানিকতায় মুখরিত হলো প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী কাইয়ুম চৌধুরীর জন্মদিন।
এদিন বরেণ্য এ শিল্পীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে এক প্রীতি সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়। বেঙ্গল গ্যালারি অব ফাইন আর্টস ও শিল্পীর সহকর্মী-শুভানুধ্যায়ীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বেঙ্গল শিল্পালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্পীর প্রতি ভালবাসা জানাতে ছুটে এসেছিলেন তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও বন্ধুজনেরা। আর তাই শুধু জন্মদিনের অনুষ্ঠান নয়, বরং বরেণ্যদের অপূর্ব এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিল সন্ধ্যাটি। এদিন কাইয়ুম চৌধুরীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে উপস্থিত হন শিল্পী হাশেম খান, মুর্তজা বশীর মুসত্মাফা মনোয়ার, আসাদুজ্জামান নূর, গৌতম চক্রবর্তী, আনোয়ার হক পিয়ারু, গুলশান হোসেন, কণ্ঠশিল্পী মিতা হক, সুবীর দত্ত, চন্দনা মজুমদারসহ বিভিন্ন অঙ্গনের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শিল্পকলা একাডেমীর পৰে কাইয়ুম চৌধুরীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান একাডেমীর মহাপরিচালক কামাল লোহানী। বাংলা একাডেমীর পৰ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে এসেছিলেন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারম্নকলা অনুষদের ছাপচিত্র বিভাগের পৰ থেকেও শিল্পীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
শিল্পীকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক বলেন, বাংলাদেশের চারম্নকলাকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাতে ভূমিকা রেখে চলেছেন কাইয়ুম চৌধুরী। শিল্পীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের স্মৃতিময় নানা দিকও তুলে ধরেন তিনি। একই ধরনের আলোচনায় অংশ নেন বেশ কয়েকজন বরেণ্য ব্যক্তি। তবে শুধু আলোচনা নয়, অনুষ্ঠানে ছিল সঙ্গীত, আবৃত্তিসহ নানা আয়োজন। তাহেরা মান্নান অনুষ্ঠানে শিল্পীর প্রিয় দু'টি রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়ে শোনান। এর আগে দলীয় সঙ্গীত ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরম্ন হয় জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা। আনন্দঘন এ আয়োজনটি উপভোগ করেছেন উপস্থিত সকলেই।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ॥ সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান মঙ্গলবার শুরম্ন হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বরে বিকেলে এর উদ্বোধন করা হয়। জোট সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের নেতা ম. হামিদ। 'যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে ঐক্যবদ্ধ জাতি' সেস্নাগানে মুখর ছিলেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি মান্নান হীরা, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, গ্রম্নপ থিয়েটার ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল ঝুনা চৌধুরী, আফরোজা বানু, সেলিম শামসুল হুদা চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম দুলাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে দলীয় সঙ্গীত পরিবেশন করে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর ও ম্যাগনোলিয়া। বৃন্দ আবৃত্তিতে অংশ নেয় কিশোর থিয়েটার। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করে কেন্দ্রীয় আলোর ভুবনের শিল্পীরা। ছিল নাটকের পরিবেশনাও। এদিন নাটক পরিবেশন করে মৈত্রী চিলড্রেন থিয়েটার ট্রুপ, কানন থিয়েটার ও দুরন্ত থিয়েটার। ১৮ দিনব্যাপী এ আয়োজন চলবে ২৬ মার্চ পর্যন্ত। শিকড় সন্ধান শীর্ষক প্রদর্শনী কাল ॥ 'শিকড় সন্ধান' শীর্ষক চিত্রকর্ম প্রদর্শনী কাল বৃহস্পতিবার থেকে চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে শুরম্ন হচ্ছে। বিশেষ এ প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন প্রাচ্যকলা বিভাগের ৬ শিক্ষক। সকাল ১১টায় এর উদ্বোধন করবেন অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী। প্রদর্শনী চলবে ১৭ মার্চ পর্যন্ত।

No comments

Powered by Blogger.