বিশ্বব্যাংক-প্রধানের সাক্ষা চেয়ে চিঠি দিলেন অর্থমন্ত্রী

পদ্মা সেতুর অর্থায়নে জটিলতা নিরসনে বিশ্বব্যাংকের প্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চান অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ফেব্রুয়ারিতে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়ে এরই মধ্যে বিশ্বব্যাংককে চিঠি দিয়েছেন তিনি।
সচিবালয়ে গতকাল মঙ্গলবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী শেইখা লুবনা বিনতে খালেদ আল কাশিমির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা জানান।
অর্থমন্ত্রী এ-ও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিকল্প অর্থায়নের যে কথা বলেছেন, সেটাও গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে এতেও দেরি হবে, ছয় মাস পেছাতে পারে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন হয়ে গেলে খুব তাড়াতাড়িই শুরু করা যায় বলে মনে করেন তিনি। বলেন, ‘সে চেষ্টাই করা হচ্ছে এখন।’
অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিশ্বব্যাংক সময় দিলেই এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য তিনি ওয়াশিংটনে যাবেন।
এম এ মুহিত বলেন, বর্তমান রূপরেখা দিয়েই পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করতে চায় সরকার। অন্য যেসব প্রস্তাব রয়েছে, সেগুলো সময়সাপেক্ষ। তবে প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প প্রস্তাবটি গুরুত্বপূর্ণ।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সেতু নির্মাণের কাজ এখন যেটুকু এগিয়ে আছে, সেখান থেকে শুরু করতে পারলে ১০ দিনের মধ্যেই সব দরপত্র আহ্বান করা সম্ভব।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে চার প্রতিষ্ঠান আছে (বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা ও আইডিবি) তাদের ধরে রাখতে পারলেই সবচেয়ে ভালো। এখান খেকে এক-আধজন যদি খসে পড়ে যায়, তাহলে অর্থ জোগাড় করাটা আমাদের জন্য কষ্টকর হবে। তবে কষ্টকর হলেও আমরা পারব।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক না থাকলে অন্যরা থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চেষ্টা করছি তাদের ধরে রাখতে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে এখনো কোনো সবুজ সংকেত পাইনি। তবে আমরা জানি, তারা এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হতে আগ্রহী।’

No comments

Powered by Blogger.