আওয়ামী লীগের সম্মেলন আজ- নেতৃত্বে পরিবর্তন নয় নির্বাচনী প্রস্তুতিই লক্ষ্য by জাহাঙ্গীর আলম
নেতৃত্বে পরিবর্তন নয়, আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি ও আইনি বাধ্যবাধকতায় আজ শনিবার আওয়ামী লীগের ১৯তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
‘শান্তি, গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে দিনবদলের প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ স্লোগান সামনে রেখে আজ বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হবে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ক্ষমতার চার বছরে ঝিমিয়ে পড়া দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করে বিরোধী দলের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করাই এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পুনর্নির্বাচিত হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এ দুই পদে আগ্রহী হিসেবে দৃশ্যমান কোনো প্রার্থীও নেই। তবে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদক মণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদে অনেকের আগ্রহ থাকলেও এসব পদে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এ ছাড়া নতুনদের জায়গা করে দিতে কেন্দ্রীয় কমিটির অবয়ব বাড়ানোর একটা অপ্রকাশ্য দাবি রয়েছে। তবে, এবারের সম্মেলনে কমিটির পরিধি বাড়ছে না। আগের মতোই ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি হচ্ছে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ১৩ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে দু-একজন নতুন মুখ আসতে পারেন। তা ছাড়া সভাপতিমণ্ডলীর একটির শূন্য পদে চট্টগ্রামের একজন নেতা স্থান পাবেন।
৩২ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলী, একজন কোষাধ্যক্ষ ও ২৬ জন কেন্দ্রীয় সদস্যের মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে নতুন মুখ আসতে পারেন। ফলে কে পদে বহাল থাকছেন, আর কে বাদ পড়ছেন বা কার পদোন্নতি হচ্ছে, এ নিয়ে অনেক নেতা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সবাই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্য ও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
তা ছাড়া গত সম্মেলনে বাদ পড়া ‘সংস্কারপন্থী’ জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতাদের এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা আছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করায় এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। আজকের সম্মেলনে ‘সংস্কারপন্থী’ নেতাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী সিদ্ধান্ত নেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ আছে।
আজ বেলা তিনটায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। এ সময় কাউন্সিলরদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা। এ জন্য সব রকম প্রস্তুতি থাকলেও কেবল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে কাউন্সিলররা আগের রীতি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ভার শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করবেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো সংশোধনী আসছে না। তবে ঘোষণাপত্রে পরিবর্তন আনা হবে। তাতে গত চার বছরের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্যের কথা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আগামী দিনের লক্ষ্য ও নীতিমালার একটা অনুপুঙ্খ বর্ণনা থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। নৌকাসদৃশ বিশাল মঞ্চ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর, ২০ হাজার ডেলিগেটসসহ প্রায় ৩৫ হাজার লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে বড় পর্দায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মূল মঞ্চে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ছাড়াও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি টানানো হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় ৭৩টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা একই সঙ্গে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন।
আওয়ামী লীগের আজকের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ক্ষমতার চার বছরে ঝিমিয়ে পড়া দলীয় কর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্যম সৃষ্টি করে বিরোধী দলের সম্ভাব্য আন্দোলন মোকাবিলা ও আগামী নির্বাচনের জন্য দলকে প্রস্তুত করাই এবারের সম্মেলনের মূল লক্ষ্য।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক সূত্র জানায়, দলের সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম পুনর্নির্বাচিত হচ্ছেন, এটা প্রায় নিশ্চিত। এ দুই পদে আগ্রহী হিসেবে দৃশ্যমান কোনো প্রার্থীও নেই। তবে সভাপতিমণ্ডলী, সম্পাদক মণ্ডলী ও কেন্দ্রীয় সদস্য পদে অনেকের আগ্রহ থাকলেও এসব পদে বড় ধরনের পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।
এ ছাড়া নতুনদের জায়গা করে দিতে কেন্দ্রীয় কমিটির অবয়ব বাড়ানোর একটা অপ্রকাশ্য দাবি রয়েছে। তবে, এবারের সম্মেলনে কমিটির পরিধি বাড়ছে না। আগের মতোই ৭৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি হচ্ছে।
দলীয় সূত্রগুলো জানায়, ১৩ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে দু-একজন নতুন মুখ আসতে পারেন। তা ছাড়া সভাপতিমণ্ডলীর একটির শূন্য পদে চট্টগ্রামের একজন নেতা স্থান পাবেন।
৩২ সদস্যের সম্পাদকমণ্ডলী, একজন কোষাধ্যক্ষ ও ২৬ জন কেন্দ্রীয় সদস্যের মধ্যে কেউ কেউ বাদ পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে নতুন মুখ আসতে পারেন। ফলে কে পদে বহাল থাকছেন, আর কে বাদ পড়ছেন বা কার পদোন্নতি হচ্ছে, এ নিয়ে অনেক নেতা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। সবাই দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার আনুকূল্য ও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছেন।
তা ছাড়া গত সম্মেলনে বাদ পড়া ‘সংস্কারপন্থী’ জ্যেষ্ঠ ও মধ্যম সারির নেতাদের এবারের সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটিতে ফিরিয়ে আনা হবে কি না, এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা আছে। বিষয়টি সম্পূর্ণ দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করায় এ ব্যাপারে কেউ নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। আজকের সম্মেলনে ‘সংস্কারপন্থী’ নেতাদের ব্যাপারে শেখ হাসিনা কী সিদ্ধান্ত নেন, এ বিষয়ে রাজনৈতিক মহলের ব্যাপক আগ্রহ আছে।
আজ বেলা তিনটায় সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন বসবে। এ সময় কাউন্সিলরদের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করার কথা। এ জন্য সব রকম প্রস্তুতি থাকলেও কেবল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করে কাউন্সিলররা আগের রীতি অনুসরণ করে পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ভার শেখ হাসিনার ওপর অর্পণ করবেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলনে দলের গঠনতন্ত্রে বড় ধরনের কোনো সংশোধনী আসছে না। তবে ঘোষণাপত্রে পরিবর্তন আনা হবে। তাতে গত চার বছরের সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও সাফল্যের কথা তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি আগামী দিনের লক্ষ্য ও নীতিমালার একটা অনুপুঙ্খ বর্ণনা থাকতে পারে। এ ছাড়া আগামী নির্বাচন সামনে রেখে একটি অর্থনৈতিক পরিকল্পনাও ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্ত করা হবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।
এদিকে সম্মেলন উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলো আলোকসজ্জা, ব্যানার, ফেস্টুন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বড় বড় প্রতিকৃতি দিয়ে সাজানো হয়েছে। নৌকাসদৃশ বিশাল মঞ্চ করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। সাড়ে ছয় হাজার কাউন্সিলর, ২০ হাজার ডেলিগেটসসহ প্রায় ৩৫ হাজার লোকের ধারণক্ষমতাসম্পন্ন প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের চারপাশে বড় পর্দায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মূল মঞ্চে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক ছাড়াও জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি টানানো হবে।
বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ সময় ৭৩টি সাংগঠনিক জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা একই সঙ্গে দলীয় পতাকা উত্তোলন করবেন।
আওয়ামী লীগের আজকের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, ব্যবসায়ী নেতা, সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এর আগে ২০০৯ সালের ২৪ জুলাই আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়।
No comments