সময়ের কথা-আহ্! এখন যদি আদমজী মিল থাকত!! by অজয় দাশগুপ্ত

সম্ভাবনা যা রয়েছে তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে সরকারের দূরের পানে নজর দিতে হবে। ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্পষ্ট করে। এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভারত ও চীনের মতো দুটি বড় বাজারে আমাদের রফতানির পরিমাণ নামমাত্র।
সেখানের বাজারে আমাদের বড় আকারে যেতে হবে এবং এটা আমাদের অধিকার। এজন্য কূটনীতির ফ্রন্টে যেমন কোমর বেঁধে লাগতে হবে, তেমনি চাই নিজেদের পণ্যের ভাণ্ডার আরও বৈচিত্র্যে ভরপুর করে তোলা। এজন্য আরও একটি দিকে নজর ফেলতে হবে_ বাংলাদেশের কৃষি



বাংলাদেশ এ বছর (১ জুলাই, ২০১০-৩০ জুন, ২০১১) একশ' কোটি ডলারের বেশি কাঁচাপাট ও পাটের তৈরি নানা পণ্য বিশ্ববাজারে বিক্রি করতে পারবে। পাট রফতানির সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন সংস্থা জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে ৩১ মার্চ_ এই ৯ মাসেই পাট খাতের সূত্রে আয় হয়েছে প্রায় ৮৪ কোটি ডলার। আগের বছর এই ৯ মাসে পাট রফতানি আয় হয়েছে ৫৭ কোটি ডলার।
আহ্! পাটের কী সুদিন!
২০০২ সালের ৩০ জুন বিশ্বের বৃহত্তর পাটজাতদ্রব্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদমজী জুটমিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। মাত্র ৯ মাস আগে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের নির্বাচনে তারা জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বেঁধে ক্ষমতায় এসেছিল। আদমজী জুটমিল বন্ধ হয়ে যাওয়ার সময় আমি কাজ করতাম যুগান্তরে। মনে আছে সম্পাদকীয় লিখেছিলাম, 'ভেঁপু আর বাজবে না' শিরোনামে। সম্পাদক ছিলেন বর্তমানে সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার। সরকারের তরফে মিলটিতে অব্যাহত লোকসানের যুক্তি দেখানো হচ্ছিল। বিশ্বব্যাংক মিলটি বন্ধের পক্ষে জোরালো সওয়াল করছিল। এমনও বলা হতো, মিলটিতে উৎপাদন চালু রাখলে যা লোকসান, শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিয়েও কোনো কাজ না করিয়ে যদি বসিয়ে রাখা হয়, তাহলে লোকসান হয় কম। অর্থাৎ উৎপাদন করলেই লোকসান। ক্রমাগত এমত প্রচারণায় অনেকে সেটা বিশ্বাসও করত। অতএব, সমাধান_ মিলটি বন্ধ করে দাও। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাট দফতরের মন্ত্রী মেজর (অব.) হাফিজ ঠিক সে কাজটিই করেছিলেন। আদমজী বন্ধের দিনে সম্পাদকীয় লেখার সময় সম্পাদক গোলাম সারওয়ার একটি বাক্য বিশেষভাবে লিখতে বলেছিলেন : 'গর্বের এই প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখার জন্য সব ধরনের চেষ্টা ও উদ্যোগ কি নেওয়া হয়েছিল?'
প্রকৃতপক্ষে তা করা হয়নি।
বিশ্বে বাংলাদেশের পাটজাতপণ্যের বিপুল চাহিদা দেখে এখন ক্ষোভ-রোষে বলতে ইচ্ছা হয় : কেন এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল? কেবল এই একটি অপরাধের সিদ্ধান্তের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিল তাদের ক্ষমা করা যায় না, উচিতও হবে না। এ জবাবদিহিতার বিষয়টি কখনও তামাদি হবে না।
বিশ্বে পাটের তৈরি পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। কাঁচাপাটও প্রচুর রফতানি হচ্ছে। আমরা যদি পাট থেকে নানা ধরনের পণ্য রফতানি করে রফতানি করি, তাহলে আয় আরও বাড়তে পারে। পাটজাতপণ্য রফতানির আরেকটি দিক রয়েছে : এজন্য চাই কারখানা। সেখানে কাজ মেলে আরও অনেক লোকের। কারখানায় উৎপাদন যত বাড়ে, তার কাঁচামাল হিসেবে পাটের চাহিদা তত বেশি হয়। আর এ পাটের জোগান আসে কৃষকের কাছ থেকে। এসএএমএস কিবরিয়া অর্থমন্ত্রী থাকার সময় পাটশিল্প খাতে সরকারের সহায়তা-ভর্তুকি কমানোর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি তাকে বলেন, পাটের সঙ্গে বাংলাদেশের শুধু অর্থনীতি নয়, তীব্র আবেগও জড়িত। এ খাতের পৃষ্ঠপোষকতা থেকে সরকার সরে আসতে পারে না।
এটাই সঠিক অবস্থান। আদমজী জুটমিল এবং সরকারি খাতের আরও অনেক প্রতিষ্ঠানের লোকসানের জন্য অনেক লোকের দুর্নীতি-অনিয়ম দায়ী ছিল। আশির দশকে বাংলাদেশের 'পাট, পাটচাষি ও পাটশিল্প' শীর্ষক একটি গবেষণা কাজ করার সময় আদমজীর একজন শ্রমিক বলেছিলেন : এ মিলের দুর্নীতির ভাগ শুধু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা নয়, দেশের শীর্ষ পর্যায়েও পেঁৗছায়। এ সমস্যার সমাধান না করে মিলটি কেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল? মাথা ধরলে ওষুধ খেতে হয়। কিন্তু দুষ্টবুদ্ধি থাকলে কেউ কেউ মাথা কেটে ফেলার বিধান দেয়।
বাংলাদেশের বিজ্ঞানী ড. মাকসুদুল আলম ও ড. হাসিনা খান পাটের জিন রহস্য ভেদ করেছেন। এ সাফল্য কাজে লাগিয়ে আমরা পাটের উৎপাদন যেমন বাড়াতে পারব, তেমনি গুণে-মানেও তা হবে উন্নত। আর তা কেনার জন্য অনেক দেশ উদগ্রীব হয়ে আছে। কিন্তু এ পাট কাজে লাগাতে আমাদের যে কোনো আদমজী জুট মিল নেই! তবে গত কয়েক বছরে বেসরকারি খাতের অনেক উদ্যোক্তা পাটজাতপণ্য উৎপাদনের জন্য নতুন নতুন শিল্প স্থাপনে এগিয়ে এসেছেন এবং তার সুফলও মিলছে। আমাদের প্রধান রফতানি খাত কিন্তু তৈরি পোশাক। তবে পাটের সঙ্গে তৈরি পোশাকের মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। পোশাক তৈরির বস্ত্রসহ প্রায় সব উপকরণ আমাদের আমদানি করতে হয় এবং এজন্য রফতানি আয়ের ৭০-৭৫ শতাংশ ব্যয় হয়ে যায়। কিন্তু পাটকলের কাঁচামাল জোগান দেয় আমাদের কৃষকরা। এ কারণে এ খাতের রফতানি আয় পুরোটাই দেশে থেকে যায়। তবে এটাও মনে রাখতে হবে যে, পোশাক শিল্পের মতো ৩০-৩২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান কিন্তু আমাদের পাটশিল্প করতে পারবে না। পোশাক শিল্পে নারীদের কাজের সুযোগ বেশি, এটাও ভুললে চলবে না।
তৈরি পোশাক শিল্প নিয়েও কিছুদিন আগ পর্যন্ত হতাশা ছিল ব্যাপক। বাংলাদেশকে যখন ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের পোশাকের বাজার ধরার জন্য চীন, পাকিস্তান ও ভারতের মতো দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পড়তে হলো তখন কিছু কিছু 'বিশেষজ্ঞ' বলা শুরু করলেন, 'আমাদের অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে। শ্রমিকরা বেকার হবে এবং এমনকি অনেক কর্মী পতিতার পেশা নিতে বাধ্য হবে।'
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি উন্নত দেশে অর্থনৈতিক মন্দা জাঁকিয়ে বসলে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের মালিকরা দাবি করতে থাকলেন সরকারের কাছ থেকে 'প্যাকেজ সুবিধা'। তাদের বক্তব্য ছিল : অন্যথায় তাদের পথে বসতে হবে। শিল্প টিকবে না। তাদের কেউ কেউ এমনকি এটাও বলেন যে, তাদের আয় এত কমে গেছে যে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দিতেও সরকারের কাছ থেকে টাকা নিতে হবে।
কিন্তু বাস্তব চিত্র কতই না ভিন্ন।
চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসেই সব পণ্যের রফতানি খাতে আয় গত অর্থবছরের মোট আয়কে ছাড়িয়ে গেছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বের নানা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা মিলেছিল এক হাজার ৬২০ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। এ বছরের প্রথম নয় মাসেই তার চেয়ে বেশি আয় হয়েছে ২৩ লাখ ডলার বেশি। আরেকভাবেও বিষয়টি তুলে ধরা যায়। এ বছর প্রথম নয় মাসে রফতানি আয়ের যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, প্রকৃত আয় তার চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি হয়েছে। আমাদের প্রধান রফতানি পণ্য নিট ও ওভেন পোশাক বিশ্ববাজারে তার অবদান বাড়াতে পেরেছে। বিশ্ব অর্থনীতিতে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ধনবান দেশের চলমান অর্থনৈতিক সংকটের মুখেও তৈরি পোশাক শিল্পে বাজার ধরে রাখতে পারা এ খাতের সঙ্গে যুক্ত উদ্যোক্তা ও কর্মী সবার কৃতিত্ব। তৈরি পোশাক ও পাটের মতো হিমায়িত খাদ্য ও চামড়াজাত পণ্য থেকেও মিলেছে বাড়তি আয়।
চীনের কাছ থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রচুর পোশাক কেনে। কিন্তু গত তিন দশক ধরে বিশ্বের জনবহুল দেশটিতে যে হারে উন্নতি ঘটেছে তাতে পোশাক শিল্পের মতো শ্রমঘন প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মতো কর্মী পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে। তাদের তুলনায় বাংলাদেশে কর্মী পাওয়া যায় কম মজুরিতে। এটা একদিকে আমাদের জন্য সুযোগের, অন্যদিকে অপমানের। আসুন, আমরা অপমানের জ্বালা-যন্ত্রণা আপাতত দূরে সরিয়ে রেখে সুযোগটাই গ্রহণ করি। চীনও এটাই করেছে। আরও অনেক দেশ করেছে। বিশ্ববাজারের হাতছানি রয়েছে এবং তাতে সাড়া দিতেই হবে।
আশির দশকে 'এক্সপোর্ট লেড গ্রোথ' ধারণা বিশ্বের অনেক দেশ গ্রহণ করে। তখনও প্রশ্ন ছিল, আমরা কেবল ধনী দেশের ক্রেতাদের চাহিদার জোগান দিয়ে যাব? আমাদের কি স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে যাওয়া হবে না? এখনও যে এ প্রশ্ন নেই, সেটা বলা যাবে না। কিন্তু আমাদের সীমাবদ্ধতার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। বাংলাদেশে কৃষি তার সম্ভাবনা দেখিয়েছে। এক সময় যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বব্যাংকের 'বিশেষজ্ঞরা' বলতেন, এ দেশটির টিকে থাকা কঠিন। যুক্তরাষ্ট্রের এক সময়ের প্রভাবশালী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার, যিনি একাত্তরে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঠেকাতে সবকিছু করেছেন_ তিনি বললেন, বাংলাদেশ হচ্ছে বাস্কেট কেস। তার মন্তব্যের জের ধরে একদল লোক ক্রমাগত বলতে থাকলেন, বাস্কেট কেস নয়, আসলে তিনি বলেছেন বটমলেস বাস্কেট। সেই থেকে বাংলাদেশের কপালে কালো কালির তিলক_ 'বাংলাদেশ হচ্ছে তলাবিহীন ঝুড়ি।' আর এর যাবতীয় দায় শেখ মুজিবুর রহমানের। ১৯৭৬ সালে আরও দু'জন 'বিশ্ব বিশেষজ্ঞ' জাস্ট ফাল্যান্ড এবং পারকিনসন লিখেলেন, 'বাংলাদেশ হচ্ছে টেস্ট কেস ফর ডেভেলপমেন্ট'। গত চার দশকে এসব বিশেষজ্ঞ সঠিক প্রমাণিত হননি। বরং বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে।
এটা ঠিক যে, এক বছরের রফতানি পারফরম্যান্স দেখেই একেবারে আনন্দে আত্মহারা হওয়ার কারণ নেই। আমাদের সামনে প্রতিনিয়ত বাধা আসবে। জনশক্তি রফতানি খাতে যেমন এখন চলছে সমস্যা। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে গণতন্ত্রের আন্দোলন আমাদের জন্য 'দুশ্চিন্তার' কারণ হয়ে উঠেছে। এটা দীর্ঘমেয়াদে লাভ না ক্ষতির কারণ হবে, সেটা বলার সময় আসেনি। কিন্তু এখন বাস্তবতা হচ্ছে, লিবিয়া থেকে প্রায় ৩০ হাজার কর্মী ফেরত এসেছে। এ অভিজ্ঞতা মনে রেখে সৌদি আরবের মতো দেশে অস্থিরতা দেখা দিলে তার প্রভাব কী হবে, সেটা নিয়ে আগেভাগে ভাবার সময় এসেছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়তে থাকাও আমাদের জন্য সমস্যা। বাংলাদেশ তেলের ওপর ভাসছে_ এটা এক সময়ে বলা হতো। কিন্তু এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য পেট্রোল মজুদের প্রমাণ মেলেনি। গ্যাস রয়েছে মোটামুটি পরিমাণে। তবে দেশটি আপাতত 'গ্যাসের ওপরও ভাসছে না'। এ অবস্থায় জ্বালানি সমস্যা প্রকট। আমাদের রফতানি আরও বাড়ানো সম্ভব, যদি এ সমস্যার সমাধান মেলে। তবে 'সস্তা' গ্যাস যেহেতু পর্যাপ্ত নয়, তাই বাজারমূল্যেই তা পেতে হবে। এ নিয়ে হাহুতাশ করে লাভ নেই। কলকারখানা যারা করতে আগ্রহী তাদেরও এটা বিবেচনায় রাখা দরকার। বিশ্বের সব দেশের সব সম্পদ থাকে না। আমাদের গার্মেন্ট শিল্প মালিকরা চড়া দামের জ্বালানি ব্যবহার (এবং সরকারি বণ্টন ব্যবস্থার বিদ্যুতের লোডশেডিং) করেও রফতানি বাজারে নিজেদের অবস্থান জোরদার করতে পারছেন। পাটসহ অন্যান্য খাতেও সাফল্য আছে। নিজেদের শক্তি আছে বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে। তবে সম্ভাবনা যা রয়েছে তা পুরোপুরি কাজে লাগাতে হলে সরকারের দূরের পানে নজর দিতে হবে। ভবিষ্যৎ দেখতে হবে স্পষ্ট করে। এটাও মনে রাখতে হবে যে, ভারত ও চীনের মতো দুটি বড় বাজারে আমাদের রফতানির পরিমাণ নামমাত্র। সেখানের বাজারে আমাদের বড় আকারে যেতে হবে এবং এটা আমাদের অধিকার। এজন্য কূটনীতির ফ্রন্টে যেমন কোমর বেঁধে লাগতে হবে, তেমনি চাই নিজেদের পণ্যের ভাণ্ডার আরও বৈচিত্র্যে ভরপুর করে তোলা। এজন্য আরও একটি দিকে নজর ফেলতে হবে_ বাংলাদেশের কৃষি। সেখান থেকেও মিলবে আরও বেশি রফতানি পণ্য। কৃষির সম্ভাবনার সামান্যই এখন পর্যন্ত কাজে লাগানো গেছে। যুগের পর যুগ আমরা একটি ধারণা নিয়ে চলেছি_ কৃষক ও ক্ষেতমজুররা শ্রমে-ঘামে যে ফসল ফলাবে তা সামান্য লাভ রেখে কিংবা কখনও কখনও লোকসান দিয়ে অ-কৃষকদের কাছে বিক্রি করবে। নইলে সমাজে দেখা দেবে অস্থিরতা। এমন মনোভাব যত দ্রুত বদলাবে, আমাদের এগিয়ে চলা তত সহজ হবে।

অজয় দাশগুপ্ত :সাংবাদিক
ajoydg@gmail.com

No comments

Powered by Blogger.