নামের মিল থাকায় তিনি কারাগারে

নড়াইলের লোহাগড়া থানার পুলিশ কোটাকোল ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে নামের মিল থাকায় আরেক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। নড়াইলে পুলিশের ওপর জামায়াতের হামলার ঘটনার আসামি হিসেবে গত শুক্রবার সকালে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
লোহাগড়া থানা সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাতে কেডিআরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন জাকির খানকে (৩৭) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তিনি উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের দিঘলিয়া পূর্ব পাড় গ্রামের মৃত রশিদ খানের ছেলে।
জাকিরের ভাবি ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য ফরিদা পারভীন বলেন, ‘পুলিশ জাকির নাম দেখে ভুল করে আমার দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে। এখন পুলিশ তাঁকে জামায়াতের কর্মী বলে চালিয়ে দিচ্ছে।’ জাকিরের ছোট ভাই বাকের হোসেন বলেন, ‘আমার চৌদ্দগুষ্টির মধ্যে কেউ জামায়াত করে না। এখন পুলিশের ভুলে মামলার আসামি হয়ে জেল খাটবে জাকির। ফৌজদারি মামলার আসামি হিসেবে তাঁর চাকরিও যাবে।’
উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেন এই প্রতিনিধির কাছে জাকিরকে প্রথমে ওই ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি বলেন; পরমুহূর্তেই কথা পরিবর্তন করে নড়াইলে পুলিশের ওপর জামায়াতের হামলা মামলার আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছেন বলে মন্তব্য করেন। এরপর তিনি বলেন, ‘জামায়াতের কর্মী হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার করেছি।’
কেডিআরকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুভাষ চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া জাকিরের সঙ্গে জামায়াতের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। কোনো রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন।’
জাকির শুক্রবার লোহাগড়া থানাহাজতে সাংবাদিকদের জানান, কোনো রাজনীতির সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

No comments

Powered by Blogger.