গুলশানে ব্যবসায়ী হত্যা- পুলিশের ধারণা, খুনি বাসার ভেতরেরই

রং ব্যবসায়ী ফজলুল হক হত্যাকাণ্ডে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। তবে তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ধারণা, বাড়ির ভেতরের কেউ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ জন্য ওই বাড়ির গাড়িচালক, দারোয়ান ও অন্য কর্মীদের সন্দেহ করা হচ্ছে।
গত রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে নিজের ডুপ্লেক্স বাড়ির দোতলায় ব্যবসায়ী ফজলুল হকের রক্তাক্ত মৃতদেহ পাওয়া যায়। তাঁর গলায় একটি ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে গত রোববার রাতে ফজলুল হকের স্ত্রী শামসুন্নাহার বাদী হয়ে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রোববারই বাড়ির আট কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এরা হলেন—সবুজ, আনোয়ার, সুমন, খোরশেদা, কোহিনুর, আম্বিয়া, লাইজু ও গাড়িচালক শাহাদাৎ।
গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, গতকাল আটক করা ওই বাড়ির গাড়িচালক, নিরাপত্তারক্ষী, গৃহকর্মীসহ আটজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
তদন্তসংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের পর পুলিশের ধারণা হয়েছে, এই আটজনের মধ্যে একজন বা একাধিক ব্যক্তি ফজলুল হককে হত্যা করেছেন। বিষয়টি আরেকটু স্পষ্ট হলে আটক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা হবে। ঘটনার কারণ এবং এর পেছনে কেউ কলকাঠি নেড়েছে কি না, তা-ও নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ। বাইরে থেকে কেউ এসে করেছে বলে মনে হচ্ছে না।
নিহত ফজলুল হকের বড় মেয়ে হাসিনা জাকের জানান, তাঁর বাবার কোনো শত্রু ছিল বলে তাঁরা জানেন না। তিনি রাজনীতি করতেন না, ব্যবসা থেকেও নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। ঘটনার রাতে তাঁর সন্তান ও স্বজনদের বাইরে ওই বাড়িতে ছিল কেবল কাজের লোকেরা।
হাসিনা জাকের বলেন, ‘যে কক্ষে খুন হয়েছেন, সেখানে বাবার একটি আলমারি ছিল। সেখানে তিনি টাকা ও জরুরি কাগজপত্র রাখতেন। খুনিরা বাবাকে হত্যা করে সেখানে রাখা টাকা নিয়ে গেছে। এ ছাড়া বাবার মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোনটাও পাওয়া যায়নি।’
নিহত ফজলুল হকের চার মেয়ে—হাসিনা জাকির, শিরিন শরফুদ্দিন, লুবনা এবং রুবিনা জাফর বিবাহিতা। তাঁরা স্বামী নিয়ে আলাদা বাসায় থাকেন। একমাত্র ছেলে আজহারুল ইসলাম ও তাঁর পরিবার গুলশানের ওই বাড়িতে থাকেন।

No comments

Powered by Blogger.