মাদকের বিরুদ্ধে বন্ধুরা by সৈয়দ মুনির

‘দিনটি ছিল পহেলা বৈশাখ। বন্ধুদের সঙ্গে আনন্দ আড্ডায় মেতেছিলাম চন্দ্রিমা উদ্যানে। পাঁচ জনের চার জনই ছিল ধূমপায়ী। সবাই ধূমপান করছিল। আড্ডার মাঝে শুধুমাত্র সেদিনের জন্য ধূমপান করতে উৎসাহী করে তুলল বন্ধুরা। এভাবেই মাদকের জগতে পা রাখি।’ কথাগুলো বলছিলেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আবদুল জলিল। পরে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে অবহিত হয়ে তিনি ধূমপান ত্যাগ করার শপথ নেন।


গত ২৩ মে মাদকের ভয়াবহতা সম্পর্কে বন্ধুদের জানাতে মাদকবিরোধী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজক লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বন্ধুসভার বন্ধুরা।
অনুষ্ঠান শুরু করেন বন্ধু সাইফুর রহমান। মূল আলোচনা ও প্রশ্নোত্তর পর্বে কেন মানুষ মাদকাসক্ত হয়? হতাশাই কী মাদক গ্রহণের মূল কারণ? মাদক নিলে একজন মানুষের আচরণ কতটা অস্বাভাবিক হতে পারে? শিক্ষার্থীদের ছুড়ে দেওয়া এসব প্রশ্নের উত্তর দেন মনোরোগ চিকিৎসক মোহিত কামাল।
তিনি বলেন,‘ সিগারেটের ধোঁয়া একবার কারো দেহে প্রবেশ করলে দুই সেকেন্ডের মধ্যে ফুসফুস ও রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। ১০ সেকেন্ডের মধ্যে ব্রেইনে রাসায়নিক বিষাক্ত দ্রব্য ছড়ায়। এ ধরনের অভ্যন্তরীণ রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলেও মানুষ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে।’
স্বেচ্ছায় ধূমপান ত্যাগ করতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থী আবদুল জলিল ও মনিরুল ইসলামকে শপথবাক্য পাঠ করান সাইদুজ্জামান রওশন । এ পর্বের শেষে ‘লস্ট টিউন’ নামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন ও ‘মাদকের পরিণতি’ শীর্ষক নাটিকা মঞ্চায়ন করেন লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং বন্ধুসভার বন্ধুরা।

No comments

Powered by Blogger.