কর্মসূচির বার্তা

লাউড স্পিকার ব্যবহারে অনুমতি না পাওয়ায় সম্প্রতি নেতাদের দেখা গেছে কর্মসূচির কথা জানাতে তাঁরা লিফলেট বিলি করছেন জনগণের মাঝে। লিফলেট বিলি ছাড়া আরও যেসব মাধ্যমে তাঁরা কর্মসূচির বার্তা পৌঁছাতে পারতেন তা-ই জানাচ্ছেন আইনুন নাহিন


ডিশ ব্যবসায়ী মাধ্যম
ডিশ সংযোগ নেই, এমন বাসা ঢাকা শহরে খুব কমই পাওয়া যাবে। তাই নেতারা টিভির মাধ্যমে তাঁদের কর্মসূচির কথা জানাতে পারতেন। তবে এতে ডিশ ব্যবসায়ীর সরকারপক্ষের সাপোর্টারদের কাছ থেকে কিল-ঘুষি খাওয়ার সম্ভাবনা থাকত। না হয় নেতাদের জন্য কিল-ঘুষি খেত, তাতে কী, কর্মসূচির প্রচার তো হতো।

ভিক্ষুক মাধ্যম
নেতারা ভিক্ষুকদের সঙ্গে চুক্তি করতে পারতেন। এতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভিক্ষুকেরা নেতাদের কর্মসূচির কথা জানিয়ে দিত আমজনতাকে। তবে সে জন্য ভিক্ষুকদের আগে প্রশিক্ষণ দিতে হতো, যে বাড়িতে যাবে কৌশলে বুঝতে হবে সে বাড়ির লোক বিরোধী পক্ষের কি না। যদি সরকারপক্ষের হয় তবে ভিক্ষুকেরও মার খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

নায়িকা মাধ্যম
সিনেমার নায়িকারা দেখবেন, বাঁচাও বলে চিৎকার দিলে নায়ক বাবাজি মাটির নিচে থাকলেও হঠাৎ এসে গুন্ডাদের হাত-পা ভেঙে তারপর ছাড়ে। এতে পরিষ্কার, নায়িকাদের গলার আওয়াজ টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব। তাই নেতারা নায়িকাদের ভাড়া করে বিল্ডিংয়ের ছাদে তুলে দিলে তারা কর্মসূচির কথা চিৎকার দিয়ে জানিয়ে দিতে পারত।

পাখি মাধ্যম
মনপুরা সিনেমার মতো কিংবা টিয়া পাখি অথবা কবুতর দিয়ে নেতারা তাদের কর্মসূচির কথা জনসাধারণের কাছে পৌঁছাতে পারতেন। তবে অতীতে কবুতরের পাখনায় বেঁধে প্রেমের বার্তা পৌঁছালেও বর্তমানে কবুতর পাঠানোটা রিস্ক। কারণ, যে কেউই কবুতর জবাই করে খাবে। টিয়া পাখিটাই নিরাপদ। বারান্দায় বসে কর্মসূচির কথা জানিয়ে দেবে।

মুঠোফোন মাধ্যম
নেতারা মোবাইলফোন কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারতেন। তাঁদের কর্মসূচির কথা এসএমএস আকারে লিখে সবার মুঠোফোনে পাঠিয়ে দিতে পারতেন। এতে কষ্ট করে তাঁদের লিফলেট বিলি করতে হতো না।

সবজি ব্যবসায়ী মাধ্যম
ঢাকার অলিগলিতে প্রতিদিন সকালে দেখা যায় ভ্যানগাড়ি নিয়ে অনেকে শাকসবজি বিক্রি করে। তাদের মাধ্যমেও নেতারা কর্মসূচির কথা পৌঁছাতে পারতেন। তাদের ভ্যানগাড়িতে কয়েকটা লিফলেট লাগিয়ে দিলেই প্রতিটি মহল্লায় প্রচার হয়ে যেত।

No comments

Powered by Blogger.