দুই দেশের সমকালীন ফ্যাশন by ইমাম হাসান

বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য—এই দুই দেশের পুরোনো পোশাক নতুনভাবে উপস্থাপন করেছেন দুই দেশের নামকরা কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনার। ‘বিনির্মাণ’ শিরোনামে সেসব পোশাকের প্রদর্শনী চলছে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী প্রদর্শনীকক্ষে। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ উদ্যাপনের এই আয়োজনে সহযোগী হয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল।


প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের ডিজাইনার রুবী গজনভী, এমদাদ হক ও মঞ্জুলিকা চাকমা তৈরি করেছেন এ দেশের ঐতিহ্যবাহী সিল্ক, মসলিন, সুতি কাপড়ে তৈরি নানা পোশাক। কালো রঙের পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে করা হয়েছে ওড়না কিংবা নীলরঙা বাটিকের সালোয়ার-কামিজে করা হয়েছে কাঁথা ফোঁড়। লম্বা হাতার ব্লাউজের সঙ্গে জামদানি শাড়ি ও জামদানি কাপড়ে তৈরি স্কার্টে লেইসের ব্যবহার নজর কাড়ে। সাদা বলেই বোধহয় পোশাকটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘পিস অব মাইন্ড’। এ ছাড়া তাঁতের কাপড়ে বানানো আদিবাসীদের রঙিন পোশাকগুলো দেশি ঐতিহ্যেরই পরিচয় রাখে।
আছে যুক্তরাজ্যের পল স্মিথ, ভিভিয়েন ওয়েস্টউড প্রমুখ ডিজাইনারের পোশাক।
আছে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় খোলাগলার লাল রঙের শর্ট ফ্রক ও পুঁতির কাজ করা কালো পোশাক। সামনের দিকে সম্পূর্ণ চেইনের ব্যবহারে বানানো খোলাগলার জামার সঙ্গে আছে মোটা কাপড়ের কটি। এ ছাড়া ঢিলেঢালা কাপড়ের লম্বা গাউনগুলো জানান দিচ্ছে ব্রিটিশদের ফ্যাশন-সচেতনতার।
প্রদর্শনীতে আরও দেখা যাবে বিভিন্ন স্থান থেকে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত ঐতিহ্যবাহী মসলিন, জামদানি, বেনারসি, আঙ্গরাখা, মখমল ও জরির তৈরি রাজকীয় পোশাক, জুতা প্রভৃতি।
২৮ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আবুল কালাম আজাদ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম, ব্রিটিশ হাইকমিশন বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার নিক লো, রবার্ট মেরিনো, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের প্রযত্ন বোর্ডের সভাপতি এম আজিজুর রহমান প্রমুখ। প্রদর্শনী শনিবার থেকে বুধবার প্রতিদিন সকাল সাড়ে নয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত উন্মুক্ত।
শুক্রবার দেখতে পাবেন বেলা আড়াইটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত। প্রদর্শনীটি শেষ হবে ১১ ফেব্রুয়ারি।

No comments

Powered by Blogger.