কিউবায় একদলীয় ব্যবস্থা বহাল থাকবে: রাউল কাস্ত্রো

কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো দেশটির একদলীয় রাজনৈতিকব্যবস্থার প্রতি নিজের অবস্থান পুর্নব্যক্ত করেছেন। রোববার কিউবার ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সম্মেলনে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্রাজ্যবাদ ঠেকানো এবং সমাজতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা চালু রাখার জন্য একদলীয় ব্যবস্থা বহাল থাকবে।


রাউল বলেন, একাধিক রাজনৈতিক দলকে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ দিলে কিউবার স্বাধীনতা ও সমাজতান্ত্রিক কাঠামো হুমকির মুখে পড়তে পারে। তবে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির ভেতরে আরও বেশি গণতান্ত্রিক চর্চা এবং খোলামেলা বিতর্কের প্রয়োজন আছে বলে তিনি মনে করেন।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, একের অধিক দলকে রাজনীতি করার সুযোগ দিলে যুক্তরাষ্ট্রের অযাচিত হস্তক্ষেপের দরজা খুলে যেতে পারে।
১৯৫৯ সালে বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটিতে কমিউনিস্ট শাসন প্রতিষ্ঠার পর এবারই প্রথম বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কারের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কিউবানরা এখন ছোট পরিসরে ব্যবসা শুরু করতে পারবে। একই সঙ্গে গাড়ি বেচাকেনার অধিকারও নাগরিকেরা পাবে।
২০০৮ সালে অসুস্থতার কারণে কিউবার অবিসংবাদিত নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রো তাঁর ছোট ভাই রাউলের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই রাউল কাস্ত্রো দেশে ব্যাপক অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করেন।
তবে রোববারের সম্মেলনে রাজনৈতিক সংস্কারের কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়নি। সম্মেলনের আগে সরকারে তরুণ নেতৃত্বের অন্তর্ভুক্তি ও দলীয় পদে বয়সের ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়ে আলোচনা হলেও শেষ পর্যন্ত ওই বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
তবে প্রেসিডেন্ট রাউল শীর্ষস্থানীয় নেতাদের দলীয় পদে দায়িত্ব পালনের সময়সীমা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন। বিদ্যমান ব্যবস্থায় পাঁচ বছর করে ধারাবাহিকভাবে দুই মেয়াদের জন্য একই সঙ্গে রাষ্ট্রের ও দলের দায়িত্ব পালন করেন শীর্ষস্থানীয় নেতারা।
কিন্তু দুই মেয়াদের দৈর্ঘ্য নতুন করে কত বছর করা হবে এবং ঠিক কবে থেকে এ বিধান কার্যকর হবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি তিনি। অবশ্য এর আগে গত বছর এপ্রিলেও রাউল কাস্ত্রো দলীয় নেতাদের মেয়াদকালের সময়সীমা কমানোর পরিকল্পনার কথা জানান।
কমিউনিস্ট পার্টি কিউবার একমাত্র বৈধ রাজনৈতিক দল। একটি জাতীয় সংবিধানের আওতায় ১৯৭৬ সাল থেকে এটি কার্যকর রয়েছে। ওই দলটি কিউবার সমাজ ও রাষ্ট্রের পথনির্দেশনাকারী সর্বোচ্চ শক্তি। রয়টার্স ও বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.