গার্মেন্ট শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৮০০০ নির্ধারণ

পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের নিম্নতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা। এর মাধ্যমে নিম্নতম মজুরি ২ হাজার ৭০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। নিম্নতম মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভায় গতকাল প্রায় দেড় ঘণ্টা দর-কষাকষির পর পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়। পরে সচিবালয়ে ফিরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ডিসেম্বর থেকে নতুন মজুরি কাঠামোতে মজুরি পাবেন পোশাক শ্রমিকরা।
এদিকে রাজধানীর তোপখানা রোডে মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে গতকাল বিকাল সাড়ে তিনটার কিছুক্ষণ পর বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভা শুরু হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন পোশাক খাতের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি সিদ্দিকুর রহমান, শ্রমিকপক্ষের প্রতিনিধি শামছুন্নাহার ভূঁইয়া, শ্রমিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি ফজলুল হক, মালিকপক্ষের স্থায়ী প্রতিনিধি কাজী সাইফুদ্দিন ও নিরপেক্ষ প্রতিনিধি কামাল উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিকাল সাড়ে চারটার পর বৈঠক শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ অন্য সদস্যরা সচিবালয়ে যান। সেখানেই পোশাক শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৮ হাজার টাকা নির্ধারণের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। এর আগে চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারি পোশাক শ্রমিকদের জন্য মজুরি বোর্ড গঠন করে সরকার। স্থায়ী চার সদস্যের সঙ্গে পোশাক কারখানার মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ও শ্রমিকদের একজন প্রতিনিধি নিয়ে গঠিত এই মজুরি বোর্ড সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে মজুরি নির্ধারণ করেছে।
২০১৩ সালের ৭ই নভেম্বর পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ৫ হাজার ৩০০ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়। এই মজুরি কার্যকর হয় ওই বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে। দেশের পণ্য রপ্তানির আয়ের ৮৪ শতাংশ পোশাক খাত থেকে আসে। এ খাতে কাজ করেন প্রায় ৩৬ লাখ শ্রমিক। ১৯৯৪ সালে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ছিল ৯৩০ টাকা। ২০০৬ সালে সেটি বাড়িয়ে ১ হাজার ৬৬২ টাকা ৫০ পয়সা করা হয়। ২০১০ সালের মজুরি বোর্ডে শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ৩ হাজার টাকা করা হয়। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ৫ হাজার ৩০০ টাকা মজুরি কার্যকর হয়েছিল।

No comments

Powered by Blogger.