নাটোরে সরষে চাষিদের পাশে বিএডিসি

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন-বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নাটোরের রামনগরসহ বিভিন্ন এলাকার মাঠ পরিদর্শন করে বলেছেন, সরষেবীজ মিশ্রণে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।
তারপরও চাষিদের কথা চিন্তা করে তারা এলাকার চাষিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। এর আগে এখানকার চাষিরা জমিতে সরষে বুনে মিশ্রবীজের কারণে জমিতে সরষে ও রাইয়ের গাছ জন্মে। বাড়তি লাভের আশায় চাষিরা আগাম দেশীয় উন্নত টরি-৭ ও বারী-৯সহ স্থানীয় জাতের স্বল্পমেয়াদি সরষে বপন করেন। কিন্তু সরষের জমিতে এবার অর্ধেকের বেশি হয়েছে রাই। কৃষকের অভিযোগ রাই দেরিতে পাকার ফলে তারা বোরো আবাদ করতে না পেরে আর্থিক তির সম্মুখীন হচ্ছেন। নয়া দিগন্তে এমন খবর প্রকাশ হওয়ায় সরষেচাষিদের নিয়ে মতবিনিময় করেছে বিএডিসি।

বিএডিসির রাজশাহীর উপপরিচালক (বীজ বিপণন) মো: আবুল কালাম শামসুদ্দিন ও সিনিয়র সহকারী পরিচালক (ডাল ও তৈলবীজ) মো: জাকির হোসেনসহ বিএডিসি কর্মকর্তারা সদর উপজেলার রামনগরসহ বিভিন্ন এলাকার অভিযোগকারী তিগ্রস্ত সরষেচাষিদের সাথে কথা বলেন এবং সরষের মাঠ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তারা বলেন, চাষিদের সাময়িক সমস্যা সমাধানে সরষে ও রাই তোলার পর এসব চাষিদের উন্নত জাতের মুগডালের বীজ সরবরাহ করবে বিএডিসি। এ ছাড়া মুগডালের বীজ নিজেদের তত্ত্বাবধানে উৎপাদন করবে বিএডিসি।  পর্যায়ক্রমে চাষিদের আমন ধানের বীজ এবং আলুবীজ সরবরাহ করবে বিএডিসি। তিনি আরো জানান, উৎপাদিত মুগ ও আমন ধানবীজ তারা স্কিমের মাধ্যমে সংগ্রহ করবে বিএডিসি। তিনি বলেন, এখানে উৎপাদিত সব সরষেবীজ বিএডিসির নয় এবং চাষিরা সরাসরি বিএডিসির বীজ বিপণন কেন্দ্র থেকে তা সংগ্রহ করেননি। এখানকার চাষিরা বিএডিসির তালিকাভুক্ত একজন ডিলারসহ বিভিন্ন খুচরা বীজ বিক্রেতা ও চাষিদের কাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করে বপন করেছেন এবং কৃষকের অসতর্কতার কারণেই এমনটা হয়েছে। যার সাথে বিএডিসির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই।  তারপরও চাষিদের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বিএডিসি। তবে তিগ্রস্ত চাষিরা শুধু প্রতিশ্র“ত নয়, চান প্রতিশ্র“তির সঠিক বাস্তবায়ন।

No comments

Powered by Blogger.