রূপপুর পরমাণু প্রকল্পে তিগ্রস্তদের মধ্যে দলিলের ইয়েস কার্ড বিতরণ শুরু

দীর্ঘ ৪৯ বছর পর পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পরমাণু শক্তি প্রকল্পের জন্য উচ্ছেদকৃত ২৪২টি পরিবারকে পুনর্বাসিত জায়গার নিবন্ধনকৃত দলিলের ‘ইয়েস কার্ড’ বিতরণ শুরু হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদ থেকে এই বিতরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। আগামী সাত দিনের মধ্যে তিগ্রস্ত জমির মালিকদের মধ্যে বাকি জমির দলিল বিতরণ শেষ হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রূপপুর প্রকল্প চালু করার জন্য রাশিয়ার সাথে সম্প্রতি বাংলাদেশের চুক্তি স্বারিত হয়েছে। সেই চুক্তির অংশ হিসেবে রূপপুর প্রকল্পের প্রাথমিকপর্যায়ে গত বুধবার ২২ তিগ্রস্তের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়েস কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবস্তী রায় জানান, ‘ঈশ্বরদীর চর রূপপুরে ১৯৬৪ সালে পরমাণু শক্তি প্রকল্পের জন্য পদ্মা নদীর পাড়ে ৮৮.০৪৫ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়। পরে পাকশী ইউনিয়নের দিয়াড় বাঘইল ও চর রূপপুর গ্রামে উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসনের জন্য ৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করে রূপপুর পরমাণু শক্তি কমিশন। পরে এই জমি পরমাণু শক্তি কমিশনের নামে রেজিস্ট্রি না হয়ে সরকারের ১ নম্বর খাস খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এর কারণে পরমাণু শক্তি কমিশন ওই জমি তিগ্রস্তদের মধ্যে দলিলমূলে দেয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এতে তিগ্রস্ত ২৪২টি পরিবার দীর্ঘ দিন আন্দোলন করার একপর্যায়ে ২০১২ সালে ওই রেকর্ড সংশোধন করে পরমাণু শক্তি কমিশনের নামে করা হয়। এরপর উচ্ছেদকৃত পরিবারগুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাইসাপেে প্রথমপর্যায়ে ২২ জনকে দলিল হস্তান্তরের মাধ্যমে জমির মালিকানার স্বীকৃতি প্রদান শুরু হলো।’

উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে গত বুধবার এ উপলে আয়োজিত ইয়েস কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্রাবস্তী রায়ের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, রূপপুর পরমাণু শক্তি প্রকল্পের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাঈয়েদ এ জেড মোর্শেদ আলী, দলিল হস্তান্তর কমিটির সদস্য হাবিবুল ইসলাম হব্বুল, শহিদুর রহমান প্রমুখ। উল্লেখ্য গত ১৬ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট নয়া দিগন্তে প্রকাশিত হয়।

No comments

Powered by Blogger.