মুম্বাইয়ে বাড়ছে ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ

পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল আরো ভালো করতে এবং স্কুল থেকে তাদের ঝরে পড়ার পরিমাণ কমাতে মুম্বাইয়ের ৪০০ স্কুলে ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ চালু করেছে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ। প্রতিটি স্কুলে প্লাজমা স্ক্রিনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে আরো বাস্তব ও পরিষ্কার ধারণা দেওয়া হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার থেকে এ ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। এর আগে ৮০টি স্কুলে ভার্চুয়াল শ্রেণীকক্ষ ছিল।
মুম্বাই পৌর কর্তৃপক্ষ ব্রাইহান মুম্বাই মিউনিসিপাল করপোরেশন (বিএমসি) দুই বছর আগে পরীক্ষামূলকভাবে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম প্রকল্প চালু করে। ২৪টি স্কুলে প্লাজমা স্ক্রিনের মাধ্যমে পড়ানো শুরু হয়। সম্প্রতি ওই স্কুলগুলোর ১৯ শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পায়। আর ২১৭ জন পায় ৮০ শতাংশেরও বেশি নম্বর। অথচ ভার্চুয়াল পদ্ধতি চালুর আগে স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীর পরিমাণ কমছিল এবং তাদের বেসরকারি স্কুলে চলে যাওয়ার প্রবণতা বাড়ছিল। এ বছরের শুরুতে ৮০টি স্কুলে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম চালু ছিল। সাফল্যের কারণে বিএমসি কর্তৃপক্ষ প্রকল্প সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়। ২৭ কোটি ২০ লাখ রুপি ব্যয়ে আরো ৪০০ স্কুলে এ ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভারতীয় অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও হিন্দু চরমপন্থী রাজনৈতিক দল শিব সেনার প্রেসিডেন্ট উদ্ভব ঠাকরে ভার্চুয়াল ক্লাসরুম প্রকল্প সম্প্রসারণের উদ্বোধন করেন। সব মিলিয়ে এখন মুম্বাইয়ের ১২০টি মাধ্যমিক ও ৩৬০টি প্রাথমিক স্কুল ভার্চুয়াল পদ্ধতির আওতাভুক্ত হলো।
ভার্চুয়াল পাঠদান পদ্ধতিতে মুম্বাইয়ের আন্ধেরি এলাকায় কেন্দ্রীয় এক স্টুডিও থেকে শিক্ষক পড়া বুঝিয়ে দেন। কম্পিউটার স্ক্রিনে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্তও দেখিয়ে দেন তিনি। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ওই স্কুলগুলোর সঙ্গে স্টুডিওর সংযোগ সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে অনেক স্কুলের শিক্ষার্থী এ পড়া বুঝে নেওয়ার সুযোগ পায়। একই সময়ে শিক্ষকের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদানও করতে পারে তারা। যোগ্য শিক্ষকের সংকটও এ পদ্ধতি চালুর অন্যতম কারণ। ভার্চুয়াল পদ্ধতিকে আরো কার্যকর করতে নামকরা স্কুলগুলোর শিক্ষকদের ক্লাস নেওয়ার আমন্ত্রণ জানাবে বিএমসি কর্তৃপক্ষ।
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) কাউন্সিলর বিনোদ শেলার বলেন, 'ভার্চুয়াল ক্লাসরুমের মাধ্যমে বিএমসি পরিচালিত লাখো শিক্ষার্থীর কাছে মানসম্মত শিক্ষা পেঁৗছে দিতে পারব আমরা। খ্যাতনামা স্কুলগুলোর শিক্ষকদের এর সঙ্গে যুক্ত করে বোর্ড পরীক্ষায় ভালো ফলের পাশাপাশি আমরা শিক্ষার্থীদের অনুপ্রাণীতও করতে পারব।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.