প্র্রধানমন্ত্রী হরহামেশা অসত্য কথা বলছেনঃ বি. চৌধুরী

বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা বা অসত্য কথা বলতে পারেন না, এটাই দেশের মানুষ আশা করে।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জনগণকে আশাহত করে হরহামেশা মিথ্যা ও অসত্য কথা বলছেন। জনগণ বড্ড হতাশ। আর হতাশার মধ্যেই বিক্ষোভের জন্ম। এই বিক্ষোভ কাউকে ছাড় দেয় না, আপনারাও ছাড়া পাবেন না। শুক্রবার কাকরাইল ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ঢাকায় বসবাসরত ভোলা জেলা বিকল্প ধারা ও ছাত্র ধারার সদস্যদের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এম শাকিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিকল্প ধারার প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. নূরুল আমিন বেপারী, অ্যাডভোকেট শাহ আহমেদ বাদল, অধ্যাপক আসাদুজ্জামান বাচ্চু, অধ্যাপক একরামুল হক, ওয়াসিউল হক চৌধুরী, ফয়েজ চৌধুরী, সাগর চৌধুরী, রবিউল ইসলাম, মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। বি চৌধুরী বলেন, কুইক রেন্টালের নামে হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। ৮-৯ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। কিন্তু ৩০ ভাগ মানুষের বাড়িঘরে বিদ্যুৎ নেই। সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে পরিবহন ব্যয় বাড়ানো হলো, এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামও বেড়ে গেল। কৃষক রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদন করেও ন্যায্য দাম পেলেন না। আগুনে পুড়ে শতাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক মারা গেলন, শ্রমিক ও রাজনৈতিক নেতাদের গুম করা হলো কিন্তু এত কিছুর পরও কি প্রধানমন্ত্রী আপনার দলের পক্ষে জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারেন? আপনার দলের লোকজন গ্রামগঞ্জে ভোট চাইতে গেলে কৃষক ও গার্মেন্ট শ্রমিকদের মা-বাবা চিৎকার করে উঠবে। তিনি বলেন, বিরোধীদলীয় চিফ হুইপকে নির্যাতনকারী পুলিশ কর্মকর্তাকে তিরস্কারের পরিবর্তে পুরস্কৃত করা হলো, আন্দোলনের সময় শিক্ষকদের চোখে পিপার স্প্রে মারায় একজন শিক্ষক মারা গেলেন। কিন্তু বিষয়টি পুলিশের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা অস্বীকার করলেন, যা খুবই লজ্জার বিষয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশকে কি আরো বিকশিত হওয়ার জন্য ছেড়ে দেয়া হলো?

       

No comments

Powered by Blogger.