সিরিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি- রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের পরিণাম হবে ভয়াবহ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে সতর্ক করে বলেছেন, তিনি সিরিয়ার জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করলে তাঁকে ভয়াবহ ‘পরিণতি’ ভোগ করতে হবে। ওবামার এই বক্তব্যের এক দিন পর গতকাল মঙ্গলবার জার্মানিও একই রকম মন্তব্য করেছে।
সিরিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবিলায় সীমান্তে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনে তুরস্কের অনুরোধের ওপর ন্যাটো বৈঠককে সামনে রেখে ওই দুই দেশ এমন সতর্কবাণী উচ্চারণ করল।
সিরীয় জনগণের ওপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে সোমবার বারাক ওবামা বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট বাশারকে আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, গোটা বিশ্ব সিরিয়ার ওপর নজর রাখছে। দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করা হবে না। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি বিরাট ভুল করলে, তার ফল ভোগ করতে হবে এবং এ জন্য কৈফিয়ত দিতে হবে।’
চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে অবস্থানরত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ওই পরিণামের ধরন সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। তবে তিনি বলেন, ‘আমি কেবল এটুকুই বলব, ওই ধরনের কাজ সত্যিই ঘটলে পাল্টা ব্যবস্থা কী হবে, তা নিয়ে আমরা নিশ্চিতভাবেই পরিকল্পনা চালাচ্ছি।’
এর আগে হোয়াইট হাউসের একজন জ্যেষ্ঠ মুখপাত্র বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের গোয়েন্দা নজরদারিতে সাম্প্রতিক দিনগুলোয় সিরিয়ার অভ্যন্তরে রাসায়নিক অস্ত্রের উপকরণ স্থানান্তরের বিষয় ধরা পড়েছে। হোয়াইট হাউসে এক ব্রিফিংয়ে প্রেস সেক্রেটারি জে কারনি বলেন, ‘সরকার এখন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের বিষয় বিবেচনা শুরু করে থাকতে পারে।’
মর্টার হামলায় ২৮ ছাত্র নিহত: রাজধানী দামেস্কের উপকণ্ঠে এক বিদ্যালয়ে মর্টার হামলায় অন্তত ২৮ ছাত্র ও এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার জন্য সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেছে।
সরকারি বার্তা সংস্থা সানা জানায়, বিদ্রোহীরা দামেস্ক থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে আল-ওয়াফিদিন ক্যাম্প এলাকার বাতিহা বিদ্যালয় ভবনের ওপর মর্টার হামলা চালায়। বিবিসি। বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.