সড়ক সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ

এক্স
যশোর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে শহরে ঢোকার মূল পথে রেল সড়ক সংস্কারকাজে নিম্নমানের ইটের খোয়া ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পিচের আস্তরণ না তুলেই অধিকাংশ জায়গায় ইট-বালু ফেলা হচ্ছে। এ জন্য সড়কটির স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত ২৭ নভেম্বর যশোর পৌরসভার মেয়র মারুফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওই চিঠিতে বলা হয়, কাজটির জন্য যে মালামাল আনা হয়েছে, তার কিছু অংশ তফসিলের অন্তর্ভুক্ত নয়। কার্যস্থলে আনা নিম্নমানের মালামাল ও কার্যস্থল পরীক্ষার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে কাজের বিল দেওয়া হবে বলেও সতর্ক করে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
যশোর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে খাদ্যগুদাম পর্যন্ত ৬২৫ মিটার সড়ক পুনর্নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ কাজের জন্য দুই অংশে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে প্রায় এক কোটি ৩৪ লাখ টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়। মেসার্স এম এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স বনান্তর এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এ কাজ পায়। নভেম্বর মাসের শেষ দিকে মেসার্স এম এন্টারপ্রাইজ চৌরাস্তা মোড় থেকে কৃষি ব্যাংকসংলগ্ন মোড় পর্যন্ত ৩১০ মিটার সড়ক পুনর্নির্মাণকাজ শুরু করে।
সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সড়কের অধিকাংশ জায়গায় নিম্নমানের ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। অনেক জায়গায় পুরোনো পিচের কার্পেটিংও তোলা হয়নি। তার ওপরই বালু-খোয়া ফেলা হচ্ছে। সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখার সামনে নিম্নমানের ইটের খোয়ার ওপর এক নম্বর পিকেট ইট ফেলা হচ্ছে। সোনালী ব্যাংক করপোরেট শাখাসংলগ্ন ভেনাস অটোর স্বত্বাধিকারী আবু সালেহ প্রথম আলোকে বলেন, গুণগত মান ঠিক রেখে সড়কে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এম এন্টারপ্রাইজের অংশীদার মুন্সি আবদুস আরিফ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাস্তা খোঁড়ার সময় পিচের দুই পাশে প্রায় ২৪ ফুটের এজিংয়ে (ইটের বিছানা) যে পুরোনো ইট ছিল, সেগুলো ভেঙে খোয়া করা হয়েছে। তবে এখন থেকে পিকেট এক নম্বর ইট ছাড়া দুই নম্বর কোনো ইট ফেলা হবে না। আর পৌরসভার কাজের টাকা সহজে পাওয়া যায় না। নির্মাণকাজের ৬৬ লাখ টাকা হয়তো ৬৬ কিস্তিতে তুলতে হবে। আমাদেরও তো বাঁচতে হবে।’

No comments

Powered by Blogger.