সাত বছরেও শেষ হয়নি বিচারকাজ

ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম দাস হত্যার সাত বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ ১৭ নভেম্বর। কিন্তু এই সময়ে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো কার্যালয়ে গৌতম দাসকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়।


ওই দিনই ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করা হয়। ২০০৬ সালে ১০ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম নবী। ২০০৬ সালের ২৮ আগস্ট ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলাটি স্থানান্তর করা হয়। ইতিমধ্যে মামলার ১০ জন আসামির মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামি জাহিদ খান ২০০৬ সালের ১২ অক্টোবর পলাতক অবস্থায় মারা যান।
মামলার যুক্তিতর্ক-পর্ব শুরু হওয়ার আগে আসামি পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত ছয় মাস থেকে এক বছর মেয়াদে পাঁচবার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করায় থমকে যায় বিচারকাজ। গত বছর মামলার কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়। মামলাটি বর্তমানে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক শাহেদ নুরুদ্দীনের আদালতে বিচারাধীন। ইতিমধ্যে দুই পক্ষের আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়েছে।
মামলার বাদী সমকাল ফরিদপুর কার্যালয়ের নিজস্ব প্রতিবেদক হাসান-উজ্জামান জানান, আদালতে এ পর্যন্ত মামলার ১৮১টি কর্মদিবস অতিবাহিত হয়েছে। সাক্ষ্য ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ। এখন রায়ের অপেক্ষা। মামলার রায়ের তারিখ নির্ধারণের জন্য ২৮ নভেম্বর পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
গৌতম দাসের স্ত্রী দিপালী দাস বলেন, ‘ঘাতকেরা অত্যন্ত নিষ্ঠুরভাবে গৌতমকে হত্যা করেছে। হত্যার বিচার হচ্ছে না, অথচ জামিন নিয়ে ঘাতকেরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ দৃশ্য আর কতকাল আমাদের দেখতে হবে।’
আজকের কর্মসূচি
ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আজ সকাল নয়টায় গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং সন্ধ্যা ছয়টায় প্রেসক্লাবে আলোচনা সভা। সমকাল সুহূদ সমাবেশ সকাল নয়টায় শোভাযাত্রা বের করবে।
দুপুরে ফরিদপুরের সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে ভাঙ্গায় গৌতম দাসের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। গৌতমের স্ত্রী দিপালী দুপুরে ফরিদপুর শহরের বান্ধবপল্লির বাসায় এবং গৌতমের ভাইয়েরা ভাঙ্গার চণ্ডীদাসদি গ্রামের বাড়িতে কাঙালিভোজের আয়োজন করেছেন।

No comments

Powered by Blogger.