আব্বাসকে সরিয়ে দেবে ইসরায়েল!

জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে ফিলিস্তিন অন্তর্ভুক্ত হলে দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ‘সরিয়ে’ দেবে ইসরায়েল! ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অবস্থানপত্রে এ কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অবস্থানপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনোভাবে ফিলিস্তিনের এই চেষ্টা ঠেকানো না গেলে মাহমুদ আব্বাসকে সরানোই হচ্ছে ‘একমাত্র পথ’।


এর জন্য ইসরায়েলকে ‘চড়া মাশুল’ দিতে হলেও এর বিকল্প নেই। তবে এতে এ-ও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন এই অবস্থান থেকে সরে এলে তাদের সঙ্গে অবশ্যই শান্তি চুক্তি করা হবে।
এই অবস্থানপত্রের একটি কপি বিবিসির হাতে এসেছে। যদিও অভ্যন্তরীণ আলোচনার জন্য প্রস্তাবটি ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিবারম্যান অনুমোদন করেননি। তবে গত সপ্তাহে তাঁর বরাত দিয়ে ইসরায়েলি চ্যানেল টেন টিভি জানায়, ফিলিস্তিনের জাতিসংঘ সদস্যপদ লাভের বিষয়টি অগ্রগতি পেলে তিনিও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ভেঙে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করবেন। এর আগেও বিভিন্ন বক্তব্যে আব্বাসকে ‘বাধা’ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, এই বাধা উপড়ে ফেলা উচিত।
২৯ নভেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে ফিলিস্তিনের সদস্যপদের জন্য আবেদন জানাবেন পিএলওর চেয়ারম্যান ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের নেতা আব্বাস। তিনি ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে ইসরায়েলের হাতে পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা ভূখণ্ড দখলের আগের সীমানার ভিত্তিতে জাতিসংঘের সদস্য নয় এমন পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের মর্যাদা চান। তবে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র তীব্রভাবে এই উদ্যোগের বিরোধিতা করে আসছে। তারা বলছে, একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে ২০১১ সালেও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ একই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের সমর্থনের অভাবে তা ভেস্তে যায়। বর্তমানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও) জাতিসংঘে স্থায়ী পর্যবেক্ষকের মর্যাদা ভোগ করছে। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.