সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে আরো জট পাকাল by এস এম আজাদ

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের আট মাসের মাথায় গ্রিলকাটা চোর, বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী ও পারিবারিক বন্ধু- এই তিন ধরনের ব্যক্তিদের মামলায় আসামি হিসেবে শনাক্ত করায় এখন তদন্তপ্রক্রিয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। নানা প্রশ্নের মধ্যে রয়েছে বাড়ির দারোয়ান হুমায়ুন কবির এনামুলকে গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দিয়ে এখন কেন আবার ধরিয়ে দিতে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে?


আরো অসংগতিপূর্ণ বিষয়ের মধ্যে রয়েছে রুনির বন্ধু হিসেবে প্রচার করা তানভীরকে চেনেনই না রুনি ও সাগরের স্বজনরা। ডিএনএ পরীক্ষার ফল থেকে খুনি শনাক্ত করা হবে বলা হলেও সেই ফল ছাড়াই সন্দেহভাজন হিসেবে উল্লেখ করা হলো আটজনের নাম। সম্প্রতি খুন হওয়া ডা. নিতাইয়ের খুনি হিসেবে শনাক্ত হওয়া গ্রিলকাটা চোর ও গাড়ির চালককেও এ হত্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। 'সিরিয়াল কিলার' হিসেবে ডা. নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণের নাম উঠে আসায় দেখা দিয়েছে আরেকটি প্রশ্ন। এমন অনেক প্রশ্ন আর রহস্য তুলে ধরে তদন্তপ্রক্রিয়াকে 'বিভ্রান্তিকর' বলে মন্তব্য করছেন নিহতদের স্বজন ও সাংবাদিকরা। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এত দিন পর আসামি যদি শনাক্তই হয়, তাহলে হত্যাকাণ্ডের কারণও শনাক্ত হওয়ার কথা ছিল। এদিকে গতকাল বুধবার তানভীর ও বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশকে আট দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব।
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), জাতীয় প্রেসক্লাব এবং ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতারা এক সভায় বসেন। সভা শেষে বিএফইউজের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, 'স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড তদন্তের অগ্রগতি ঘোষণা করেছেন। তবে সাংবাদিক নেতারা মনে করেন, মন্ত্রীর বক্তব্য অনেকাংশে অস্পষ্ট এবং বিভ্রান্তিকর। তাঁর বক্তব্যে হত্যারহস্যের জট খোলেনি।' দ্রুত সময়ের মধ্যে সাগর-রুনির প্রকৃত খুনিদের শনাক্ত করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, 'আমরা দেখতে চাই, বিশ্বাসযোগ্য মোটিভের সন্ধান পাওয়া যাবে এবং হত্যারহস্য উন্মোচন সম্ভব হবে।' সভায় জানানো হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তিন তলায় সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের আট মাস পূর্ণ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া আগামী ১৫ অক্টোবর সকালে ঐক্যবদ্ধভাবে সাংবাদিক সমাজের পক্ষে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সভায় চারটি সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, আসামি গ্রেপ্তার ও মামলার অগ্রগতি প্রসঙ্গে গতকাল সাগর ও রুনির স্বজনরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। সাগর সরওয়ারের মা সালেহা মুনীর কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এসব গোঁজামিল মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে, আইওয়াশ চলছে।'
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, 'তানভীর নামে কাউকে তো চিনি না। আর চোরচক্রকে ধরলেও সবার কাছেই মনে হয় এটি পরিকল্পিত হত্যা। আমরাও তা-ই বিশ্বাস করি। আমি কী বক্তব্য দেব বুঝতে পারছি না।'
গত ২২ আগস্ট নিজের শোবার ঘরে খুন হন মহাখালী জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নারায়ণ চন্দ্র ওরফে নিতাই। এ হত্যাকাণ্ডের পর মহাখালী, কামরাঙ্গীরচর এবং রাজাবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পেদা মাসুদ, ফয়সাল, পিচ্ছি কালাম ও সাইদুল ইসলামকে এবং কালাম নামে আরো একজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ডিবি আটক করে ডা. নিতাইয়ের গাড়িচালক কামরুল হাসান অরুণ, রফিক, বকুল ও মিন্টু নামের চারজনকে। তাদের মধ্যে পাঁচজনকে সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে শনাক্ত করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ঘোষিত ওই পাঁচ আসামি হলো কামরুল হাসান অরুণ, রফিক, বকুল, মিন্টু ও সাঈদ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই পাঁচজনের ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, 'সিরিয়াল খুনিরা অনেক পরেও ধরা পড়ে।' একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, একজন সিরিয়াল কিলারের কোনো চিকিৎসকের গাড়িচালক হওয়া রহস্যজনক।
তানভীর রহস্য : সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু হিসেবে এরই মধ্যে আলোচনায় আসা তানভীর রহমান রাজধানীতে অবস্থিত ইংরেজি মাধ্যমের নামকরা একটি বেসরকারি স্কুলের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। তাঁর বাসা উত্তরার ১৩ নম্বর সেকশনে। বাবার নাম মাহবুবুর রহমান। তিনি বিআইডাব্লিউটিএর সাবেক প্রধান প্রকৌশলী। তানভীরকে সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু বলে শনাক্ত করা এই যুবককে ঘিরে নতুন করে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল তানভীরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তেজগাঁও থানাধীন শাহিনবাগ মাঠের উত্তর কোণের সামনের ফুটপাত থেকে র‌্যাব-২-এর সদস্যরা তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। একই আবেদনে বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্রকে কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনির সামনের রাস্তা থেকে র‌্যাব-২-এর সদস্যরা গ্রেপ্তার করেন বলে উল্লেখ করা হয়।
তানভীরের আইনজীবী কিশোর কুমার বসু রায় চৌধুরী পিন্টু কালের কণ্ঠকে বলেন, গত ১ অক্টোবর নিজ বাসা থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন তানভীর। তাঁর বাবা তাঁকে না পেয়ে উত্তরা থানায় ওই দিনই একটি সাধারণ ডায়েরি (নম্বর ৪৩, তাং ১ অক্টোবর ২০১২) করেন। এ ছাড়া উত্তরা র‌্যাব-১-এর অফিসে র‌্যাবের অধিনায়ক বরাবর এ বিষয়ে গত ৭ অক্টোবর একটি লিখিত আবেদন করা হয়। সাংবাদিক দম্পতি হত্যা মামলার বাদী তাঁকে চেনেনই না, অথচ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তানভীরকে সাগর-রুনির পারিবারিক বন্ধু বলে উল্লেখ করেছেন। তানভীরের সঙ্গে রুনির ফেসবুকে পরিচয় হয়। তানভীরকে তিনবার ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেওয়া হয়। রুনির বাসায় তিনি কখনো যাননি। মামলার ২৩৯ দিনের মাথায় তাঁকে এ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি আরো বলেন, সাগর-রুনির মামলা নিয়ে তানভীর জজ মিয়া নাটকের ষড়যন্ত্রের শিকার মাত্র। আসলে তিনি এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।
উল্লেখ্য, হত্যাকাণ্ডের পর রুনির মোবাইল ফোনের কল লিস্ট ধরে তানভীরকে আটক করেছিল ডিবি। ওই সময় ডিবির একটি সূত্র সাংবাদিকদের জানায়, তানভীরের সঙ্গে রুনির হত্যাকাণ্ডের আগের দিন ১৬৫ বার কথা হয়েছে। কিন্তু পরে খোঁজ নিয়ে এর কোনো ভিত্তি পাওয়া যায়নি। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, তানভীরের সঙ্গে দু-একবার রুনির কথা হয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ওই সময় ডিবি তানভীরকে তিনবার আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এদিকে পলাশ রুদ্র গ্রেপ্তার হওয়ার আগে কালের কণ্ঠকে জানান, তিনি তানভীরকে প্রথম ডিবি অফিসেই দেখেছেন। কখনো ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখেননি।
হুমায়ুনকে ঘিরে অনেক রহস্য : সাগর-রুনির ভাড়া বাসা রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের শাহজালাল রশিদ লজের নিরাপত্তাকর্মী হুমায়ুন কবির এনামুলকে ধরতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছে। গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সূত্র জানায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি সাগর-রুনির লাশ উদ্ধারের পরই বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী পলাশ রুদ্র ও হুমায়ুনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গোয়েন্দা পুলিশ ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করে। তিন দিন পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁদের। ছাড়া পাওয়ার পর দুজনের মধ্যে একজনও পশ্চিম রাজাবাজারের ওই বাড়িতে দায়িত্ব পালন করেননি। এমনকি হুমায়ুন চাকরিই ছেড়ে দেন। এরপর আর ডিবি পুলিশ খোঁজেনি হুমায়ুনকে। মামলার তদন্তভার গ্রহণের পর র‌্যাবও হুমায়ুনের হদিস পায়নি। জানা গেছে, রশিদ লজের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল শের-এ খোদা নামের একটি বেসরকারি কম্পানি। সেখানে খোঁজ নিয়ে র‌্যাব পলাশকে আটক করলেও হুমায়ুনের ঠিকানা পায়নি। র‌্যাব কয়েকবার শের-এ খোদা অফিসে গিয়েও হুমায়ুনের জীবনবৃত্তান্ত পায়নি। ওই কম্পানির ব্যবস্থাপক তোফাজ্জল হোসেন র‌্যাবকে জানান, গত এপ্রিলে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মালিকের কাছেই হুমায়ুনের জীবনবৃত্তান্ত ছিল। এ ছাড়া আর কারো কাছে তা নেই। সাগর-রুনি যেদিন খুন হন, অর্থাৎ ১০ ফেব্রুয়ারি রাতেই হুমায়ুন কম্পানির হয়ে প্রথম কাজ করেন। এসব কারণে হুমায়ুনের সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের যোগসাজশ আছে বলে মনে করছে র‌্যাব। তবে এমন সন্দেহভাজন হুমায়ুনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এদিকে হুমায়ুনের প্রতিষ্ঠানের মালিকের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু এবং জীবনবৃত্তান্ত হারিয়ে যাওয়ার ঘটনাও রহস্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে হুমায়ুনের মোবাইল ফোন নম্বর ট্র্যাকিং করে বিব্রত হন র‌্যাবের তদন্তকারীরা। গত আগস্ট মাসে হুমায়ুনের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসি সোলায়মানের এক ভাইয়ের কাছ থেকে। এ ঘটনার পর সোলায়মানকে শাস্তিস্বরূপ বদলি করা হয়েছে। র‌্যাব সূত্র জানায়, তদন্তে সোলায়মানের মোবাইল ফোনের আইএমই নম্বরে ১০২টি সিম ব্যবহার করা হতে দেখা গেছে। সিম রেজিস্ট্রেশন ও প্রতিষ্ঠানে তাঁর যত ঠিকানা দেওয়া আছে, এর সবই ভুয়া। এসব কারণে র‌্যাব ভাবছে, হুমায়ুন একজন পেশাদার অপরাধী।
দুই আসামির আট দিনের রিমান্ড : কালের কণ্ঠের আদালত প্রতিবেদক জানান, সাগর-রুনি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তানভীর ও পলাশকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী আসামিদের আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাব সদর দপ্তরের তদন্ত ও ফরেনসিক উইংয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাফর উল্লাহ দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মর্মে প্রতীয়মান হয়। হত্যাকাণ্ড সংঘটনের আগে তানভীরের সঙ্গে রুনির যোগসূত্র পাওয়া যায়। তাঁদের আরো জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার মূল রহস্য ও জড়িত অন্যান্য আসামিকে শনাক্ত করা সম্ভব হবে মর্মে প্রতীয়মান হচ্ছে।
এ মামলায় গ্রেপ্তার সাতজনের মধ্যে অন্য পাঁচ আসামিকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আগামী ১৪ অক্টোবর আদালতে আবেদন জানানো হবে।
র‌্যাবের বক্তব্য : গতকাল সাংবাদিকদের তদন্তপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম সোহায়েল। তানভীরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ছেলেমেয়েদের সব বন্ধুকে তাদের স্বজনরা অনেক ক্ষেত্রেই চেনেন না। তানভীরের ক্ষেত্রেও সেটা ঘটেছে।' তানভীর নিহতদের ঘনিষ্ঠ ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, 'তানভীরের সঙ্গে সাগর-রুনির তিন বছর ধরে পরিচয় ছিল। বিশেষ করে তানভীর রুনির বন্ধু ছিল। ১০ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে যেদিন সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, সেদিন রাত ১১টার দিকেও রুনির সঙ্গে তানভীরের মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। এর আগের দিন তানভীর ওই বাসায় গিয়েছিল। এসব তথ্যের প্রমাণ র‌্যাবের কাছে আছে। সে অবশ্যই অন্যতম প্রধান সন্দেহভাজন আসামি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।'
নিরাপত্তাকর্মী পলাশকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব কর্মকর্তা সোহায়েল বলেন, 'সে ওই বাসার দারোয়ান। ওই দিন রাতে তার নাইট উিউটিও ছিল। ভবনের ভেতরে এত বড় একটা ঘটনা ঘটল, এ ব্যাপারে তার অবশ্যই কিছু জানার কথা। তাকে রিমান্ডে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে আশা করছি।'
ডা. নিতাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত পেশাদার চার চোর রফিক, বকুল, মিন্টু, সাঈদ ও গাড়িচালক কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারে সোহায়েল বলেন, 'আমেরিকায় ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে শনাক্ত হয়েছে, ডা. নিতাই হত্যায় জড়িত ওই চার পেশাদার খুনি ও চালক কামরুল সাগর-রুনি হত্যায় জড়িত। এ পেশাদার খুনিচক্র সাগর-রুনিকে হত্যার ছয় মাস পর ডা. নিতাইকে হত্যা করেছে।'
র‌্যাব কমর্কর্তারা বলেন, গ্রেপ্তারকৃত পেশাদার চার খুনি কারওয়ান বাজারে জুয়েল হত্যা মামলারও এজাহারভুক্ত আসামি।কালে

No comments

Powered by Blogger.