মালালার অবস্থা স্থিতিশীল

তালেবানি হামলায় আহত পাক কিশোরী মালালা ইউসুফজাইয়ের অবস্থা এখন স্থিতিশীল। আপাতত পেশোয়ারে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মালালা। তবে চিকিৎসকরা মনে করছেন, যেকোনো মুহূর্তে তাকে দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে হতে পারে। এজন্য পেশোয়ার বিমানবন্দরে আধুনিক চিকিৎসা-সরঞ্জামে সমৃদ্ধ একটি বিমান তৈরি রাখা হয়েছে। মালালার ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে।

শুধু পাকিস্তানে নয়, বিশ্বের নানা প্রান্তে প্রার্থনা চলছে মালালার জীবনের জন্য। তালেবানি ফতোয়া উপেক্ষা করে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার, শিক্ষার প্রসারে উদ্যোগ নেয়ার মাশুল দিতে হয়েছে ১৪ বছরের এই কিশোরীকে। জঙ্গিদের গুলিতে গুরুতর জখম মালালা এখন পেশোয়ারের হাসপাতালে ভর্তি।
অপারেশনের পর তার শরীর থেকে একটি বুলেট বের করেছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তার অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনও জ্ঞান ফেরেনি। 

বুধবার বিভিন্ন স্কুলে মালালার জন্য বিশেষ প্রার্থনাসভার আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানের প্রায় সবকটি সংবাদপত্রের প্রথম পৃষ্ঠায় ছাপা হয়েছিল গুলিবিদ্ধ মালালার ছবি। এই হামলার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ।    

সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল একসুরে এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছে। মালালার জন্য পাক সংসদে প্রার্থনা করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষ থেকেও এই বর্বরোচিত হামলার নিন্দা করা হয়েছে।   মালালা ইউসুফজাইয়ের বিশ্বের দরবারে প্রথম আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল ২০০৯। তালেবানি শাসনে সোয়াত প্রদেশের মানুষের জীবন-সংগ্রাম নিয়ে তার লেখা সাড়া ফেলেছিল সর্বত্র। তখন তার বয়স ছিল মাত্র ১১। সাহসিকতার জন্য জাতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয় তাকে।

১৪ বছর বয়সেই যে মেয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে, অশিক্ষার বিরুদ্ধে, অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূর্ত প্রতীক, সে যাতে নিজের জীবনযুদ্ধে কোনোমতেই হেরে না যায়, সেই প্রার্থনায় সামিল গোটা বিশ্ব।

No comments

Powered by Blogger.