বৌদ্ধপল্লিতে হামলা- ২৭ জনের নাম বলেছেন তিন যুবক

রামু ও উখিয়ার বৌদ্ধমন্দির এবং বসতবাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গতকাল শনিবার দুপুরে কক্সবাজার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিন যুবক। জবানবন্দিতে তাঁরা মন্দিরে হামলার সঙ্গে জড়িত ২৭ জনের নাম উল্লেখ করেছেন।


রামুর বৌদ্ধপল্লির বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগকারী সন্দেহে গত শুক্রবার পুলিশ আবুল হাশেমকে গ্রেপ্তার করে। উখিয়ার মরিচ্যা দীপাঙ্কু বৌদ্ধবিহারে অগ্নিসংযোগের মামলায় একই দিন গ্রেপ্তার করা হয় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা কামাল ওরফে বর্মাইয়া কামালকে। আর ট্রাকে করে কক্সবাজার থেকে রামুতে লোকজন আনা-নেওয়ার জন্য আটক ট্রাকচালকের সহকারী (হেলপার) রুবেলকে।
গতকাল কক্সবাজারের বিচারিক হাকিম তাওহিদুল হক তিন যুবকের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দিতে হাশেম বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তিনিসহ ১৮ জনের একটি দল রামুর কাঁঠালিয়াপাড়ার সুধাংশু বড়ুয়ার বাড়িতে প্রথম অগ্নিসংযোগ করেন। এ সময় অন্যরা ঘরের মালামাল লুট করেন। সঙ্গে থাকা ১৮ জনের নামও উল্লেখ করেন। বর্মাইয়া কামাল বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে হাজার হাজার মানুষ লাঠিসোঁটা নিয়ে উখিয়ার পশ্চিম মরিচ্যা দীপাঙ্কু বৌদ্ধমন্দিরে হামলা চালায়। এ সময় তিনিসহ অপর পাঁচজন মন্দিরে অগ্নিসংযোগ করেন। এরপর অন্যরা মন্দিরের ভেতরে রাখা মূর্তি ভাঙচুর ও লুটপাট করেন। জবানবন্দিতে তিনি পাঁচজনের নাম উল্লেখ করেন।
ট্রাকচালকের সহকারী রুবেল বলেন, ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে ট্রাক নিয়ে রামুতে লোকজনকে আনা-নেওয়া করা হয়। চারজনের নামও উল্লেখ করেন তিনি। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাবুল আকতার প্রথম আলোকে বলেন, স্বীকারোক্তিতে তিনজন ২৭ জনের নাম বলেন। তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।
জবানবন্দি দেওয়া তিন যুবক রামু ও উখিয়ার তিনটি মামলার আসামি। গতকাল তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর রামু, উখিয়া ও টেকনাফের ১৭টি বৌদ্ধমন্দির ও অর্ধশতাধিক বসতবাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৬টি মামলায় ২১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৭৮ জনকে হেফাজতে (রিমান্ড) নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.