তেল নিয়ে দুই সুদানের মধ্যে চুক্তি সই

তেলসম্পদ ভাগাভাগি নিয়ে চুক্তি সই করেছে সুদান ও দক্ষিণ সুদান। এ বছরের গোড়ার দিকে দেশ দুটি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পেঁৗছে যাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল এই তেলসম্পদ। আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারী থাবো এমবেকি গতকাল শনিবার চুক্তি সইয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।


এমবেকি জানান, সুদানের ভেতর দিয়ে তেল সরবরাহ শুরুর তারিখ নির্ধারণ নিয়েও আলোচনা করবেন তাঁরা।
সুদানের ভেতর দিয়ে তেল সরবরাহের ট্রানজিট ফি নির্ধারণ নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত জানুয়ারি থেকে তেল সরবরাহ বন্ধ রেখেছে স্থলবেষ্টিত দক্ষিণ সুদান। বিষয়টি দুই দেশের অর্থনীতিকেই চাপে ফেলেছে। এ সংকট সমাধানেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে জাতিসংঘ। তেলসংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা এবং সীমান্ত বিরোধ নিরসনে তাদের ২ আগস্ট পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় এইউয়ের মধ্যস্থতায় এত দিন আলোচনা চলছিল। গতকাল এ বিরোধেরই একটি অংশের মীমাংসার কথা জানান এমবেকি।
এমবেকি বলেন, তেল সম্পর্কিত সব ধরনের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সম্মত হয়েছে দুই পক্ষ। এখন তেল কম্পানিগুলো কবে থেকে উৎপাদন ও রপ্তানি শুরু করবে সে বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করার কাজ বাকি। এমবেকি এ বিষয়ে আর কোনো তথ্য দেননি। চুক্তির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দুই দেশও কোনো মন্তব্য করেনি। ২০১১ সালের ৯ জুলাই সুদান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে দক্ষিণ সুদানের জন্ম। সুদানের মোট তেলসম্পদের তিন-চতুর্থাংশই পড়েছে দক্ষিণ সুদানে। তাদের আয়ের ৯৮ শতাংশ আসে তেল থেকে। তবে স্থলবেষ্টিত হওয়ায় এর প্রায় পুরোটার রপ্তানির জন্যই তাদের সুদানের ওপর নির্ভর করতে হয়। তেল পরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ নিয়েই দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। প্রতিবেশী দেশটি তেল চুরি করছে_এ অভিযোগে গত জানুয়ারি থেকে তেল রপ্তানি বন্ধ করে দেয় দক্ষিণ সুদান। এরই জের ধরে গত এপ্রিলে তেলসমৃদ্ধ হেগলিগ সীমান্তবর্তী এলাকায় সেনা সমাবেশ ঘটায় সুদান। ফলে প্রায় যুদ্ধের প্রান্তে পেঁৗছে যায় দুই দেশ।
এমবেকির ঘোষণার এক দিন আগে দক্ষিণ সুদান সফরকালে দুই সুদানকে সংকট মিটিয়ে সমঝোতায় পেঁৗছার আহ্বান জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। সূত্র : বিবিসি, এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.