ঈদের বাহারি শর্ট শার্ট

দুয়ারে ঈদ। কেনাকাটার ধুম পড়েছে বাজারে। এমন কোন মার্কেট বা দোকান নেই, যেখানে ক্রেতার ভিড় লক্ষ্য করা যায় না। সবকিছুই অবশ্য চাহিদা এবং রুচির পরিবর্তন। এক বছর ঘুরে আসে ঈদ। এর মধ্যে আবার এক মাস সিয়াম সাধনা। তাই ঈদের আনন্দ যেন চোখে মুখে লেগে থাকে সবার।


কিভাবে এই স্বপ্নময় ঈদকে রাঙিয়ে তোলা যায় বাস্তবে সে পাঁয়তারা চলতে থাকে ছোট বড় সবার মধ্যে। একটু বেশি ব্যস্ততা দেখা যায় কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণদের মধ্যে। ঈদের বেশ কিছুদিন আগেই তাদের ক্লাস যেমন বন্ধ হয় তেমনি কেনাকাটার ক্লাসটা যেন শুরু। যত তড়িঘড়ি করে কেনাকাটা সারা যাবে, তত আগে বাড়িতে পা রাখা যাবে। তবে তড়িঘড়ি যাই থাকুক না কেন পছন্দের পোশাকটি বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই সবাই সচেতন। দেখে শুনে বুঝে কালারফুল পোশাকটিই নিজের করে নিতে পারদর্শী সবাই। এদিকে সজাগ এবং চতুর তরুণরা। মার্কেট বা দোকান মালিকরাও পিছিয়ে নেই। তারাও চায় যে ছেলেরা যেন আমাদের ব্র্যান্ডের প্রতি দুর্বল থাকে। তাই প্রতিবারই তারা নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক হাজির বা কালারফুল শার্ট, শর্ট শার্ট সমাহার ঘটায়। এই ঈদেও কি এর ব্যতিক্রম হবে? চলুন ঘুরে আসি তরুণদের জন্য কি ধরনের শার্ট এবং শর্ট শার্টের আয়োজন চলছে। ফ্যাশন ডিজাইনার বাহার পাটোয়ারী নতুন ব্র্যান্ড আইডলের শো-রুম পরিপূর্ণ করেছেন। ৬০টি ডিজাইনের এবং ৩০টি রঙের শর্ট শার্ট ঈদের জন্য বাজারে এনেছেন। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে তরুণরা একেবারে ভিন্নতা চায়। তারা শর্ট শার্ট পরতে খুবই স্বাচ্ছন্দ্য পায়। মাঝে মধ্যে তাদের কি ধরনের পোশাক পছন্দ সেটা আমাদের কাছে বলে এবং আমরা সেভাবেই করার চেষ্টা করি। আমাদের উদ্দেশ্য পোশাকে নতুন মাত্রা স্থাপন করা। যাতে দেশীয় বাজারের পাশাপাশি দেশের বাইরেও রফতানি করতে পারি। ইজির বিক্রয় প্রতিনিধি বলেন, বিভিন্ন ধরনের চেক, স্টাইপ, কলারের আলাদা ধরন, হাতায় বাড়তি কাজ এবং ভিন্ন রঙের বা সুতির মাধ্যমে পুরো শার্টে আলাদা শেড তৈরি করা হয়েছে। নতুন মাত্রায় এই শর্ট শার্টগুলো ক্রেতার বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। শর্ট শার্টগুলো ফুল হাতা এবং হাফ হাতা দুই ধরনের আছে। যাতে ডিজাইন ৭০টির বেশি করা হয়েছে। ক্রে-ক্যাফটের নজরুল ইসলাম বলেন, তরুণরা যেভাবে চায় কিংবা তারা ঈদের আমেজ যেভাবে উপভোগ করতে পারে তার জন্য শর্ট শার্ট নতুন আঙ্গিকে বাজারে এসেছে। যেমন কেউ শর্ট চায়, কিন্তু সাদামাটা আবার কেউ চায় একটু বাড়তি কাজ করা থাকুক। আমরা সবদিকেই নজর দিয়ে পোশাক বাজারে এনেছি। নতুন মাত্রার যে শার্টগুলো বাজারে এসেছে তার প্রত্যেকটিতেই পকেটের ডিজাইন একটু ভিন্ন রকম। সম্পূর্ণ সুতির ওপর তৈরি এ শর্ট শার্টগুলো এই গরমে পরতে বেশি আরাম পাওয়া যাবে বলে তিনি বলেন। বাজার ঘুরে বিভিন্ন মার্কেটে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন স্টাইলের শর্ট শার্ট একেক ব্র্যান্ড বাজারে এনেছে। শার্টগুলো কিনতে ক্রেতার বেশি বেগ পেতে হবে না। বাহারি রং এবং ডিজাইনের জন্য আলাদা করে কষ্ট করতে হবে না। এখন বিভিন্ন ব্র্যান্ডের শর্ট শার্ট প্রচুর পাওয়া যাচ্ছে। ব্যাক পকেটের স্বত্বাধিকারী রাজন বলেন, তরুণরা তো এখন বেশ চালাক। তারা নিজের পছন্দকেই বেশি প্রাধান্য দেয়। আগে একটা সময় ছিল যখন দোকানে আসলে একটু বুঝিয়ে বললেই বিক্রি করা যেত। কিন্তু এখন দিন বদলেছে। সঙ্গে বদলেছে তরুণদের মন, রুচি। তাই তাদের কথা মাথায় রেখেই আমরা নতুন ডিজাইনের শর্ট শার্টের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।
কোথায় যাওয়া যাবেÑশর্ট শার্ট, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তলায়। মালিবাগ, মগবাজার রোডের বিভিন্ন শো-রুমে। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, নিউমার্কেট, গ্লোব শপিং সেন্টার, মিরপুর-১০, এলিফ্যান্ট রোড এবং বিভিন্ন অভিজাত শপিং মলগুলোতে।
দাম- নিউমার্কেটে শর্ট শার্ট হাফ হাতা এবং ফুল হাতার দাম পড়বে যথাক্রমে ৩৫০-৭০০ টাকা। ইজি-৬৫০-৯০০ টাকা। ক্রে-ক্যাফ্ট ৬০০-১২০০ টাকা। প্লাস পয়েন্ট নির্ধারণ করেছে ৭০০-১০০০ টাকা। ক্যাটস আই-১২০০ টাকা। এই ঈদে তাই বাহারি শর্ট শার্টে নিজেদের রাঙিয়ে নিতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে তরুণ প্রজন্ম। যা ফ্যাশন ট্রেন্ডকে ব্যাপকভাবে আন্দোলিত করে।

শেখ মিলন
মডেল : আরিফিন শুভ
পোশাক : ইজি

No comments

Powered by Blogger.