আসামিদের ৭ দিনের মধ্যে প্রাণভিৰা চাইতে হবে

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দ-প্রাপ্ত পাঁচ আসামি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিৰার আবেদন জানালে তা ৭ দিনের মধ্যেই করতে হবে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশরাফুল ইসলাম এ কথা জানিয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, 'মৃতু্য পরোয়ানায় স্বাৰরের পর থেকে সাত দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিৰার আবেদন জানাতে হবে।


অন্যদিকে রাষ্ট্রপৰের প্রধান কেঁৗসুলি আনিসুল হক জানিয়েছেন, 'আসামিরা রিভিউ আবেদন করলে মৃতু্য পরোয়ানা জারি হলেও ফাঁসি কার্যকর স্থগিত থাকবে। এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, বিচারিক আদালত মৃতু্য পরোয়ানা জারির ২১ দিনের আগে নয়, ২৮ দিনের পরে নয়, এই সময়ে ফাঁসি কার্যকর হবে। এটা চলমান প্রক্রিয়া। কোনভাবেই বাধা দেয়া যাবে না।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় কারাগারে আটক দ-প্রাপ্ত পাঁচ আসামির আইনজীবিগণ ১৫ জানুয়ারির পরে যে কোন দিন রিভিউ পিটিশন দাখিল করবেন। এদিকে রবিবার পাঁচ আসামির নামে 'লাল খামে' মৃতু্যপরোয়ানা কারাগারে পেঁৗছাবার পর মৃতু্যদ-প্রাপ্ত পাঁচ আসামি মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। একটি সূত্র জানায়, আসামিরা এখন নিশ্চিত_ তাদের গলায় ফাঁসির রজ্জু ঝুলবেই। তাদের সামনে মাত্র ২টি পথ রয়েছে। একটি রিভিউ পিটিশন, অন্যটি রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিৰা। নিয়মগুলো মানা হলেও আসামীরা ধরেই নিয়েছে তাদের আবেদনে কোন কাজ হবে না।
রিভিউ পিটিশন রিজেক্ট হলে, ফাঁসির আদেশ বহাল থাকা সংক্রানত্ম সিদ্ধানত্মের বা রায়ের কপি দ- প্রাপ্তদের মাঝে পেঁৗছাতে হবে। সে ৰেত্রে আসামি পৰ রাষ্ট্রপতির অনুকম্পা চাইবেন কিনা সে সিদ্ধানত্ম নেবার পরে সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আবেদন করতে পারবে। রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করা হলে, বিভিন্ন পদ্ধতি অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধানত্ম প্রদান করবেন। ৰমা করা হলে তারা মুক্তি বা দ- কমিয়ে সাজা পেতে পারেন।
আপীল বিভাগের রায়ের কপি প্রাপ্তির ৩০ দিনের মধ্যে রিভিউ করতে হবে। চেম্বার জজের নিকট রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হয়। তিনি যৌক্তিকতা খুঁজে পেলে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করে ফুল বেঞ্চে শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করতে পারেন। যৌক্তিকতার কারণ খুঁজে না পেলে তিনি স্থগিত আদেশ প্রদান করবেন না। বিষয়টিকে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য প্রেরণ করবেন। সংবিধানের ১০৫ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী পুনর্বিবেচনার বিষয় শুনানি গ্রহণ করবেন। এই শুনানি সিদ্ধানত্ম হিসেবে গণ্য হবে। এর পরবতর্ীতে আদালতের আর কোন সিদ্ধানত্ম দেয়ার সুযোগ নেই। তবে এই শুনানিতে দীর্ঘ সময় লাগার অবকাশ নেই। কারণ নতুন করে মামলার ঘটনা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ নেই। কেবল মাত্র আইনগত ভুল ও অনুদঘাটিত বিশেষ কোন গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়কে আদালতের দৃষ্টিতে আনা যেতে পারে।
কারাগারে মৃতু্যদ-প্রাপ্ত আসামি মেজর (অব) বজলুল হুদা, লে. কর্নেল (বরখাসত্ম) সৈয়দ ফারম্নক রহমান, লে. কর্নেল (অব) সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, লে. কর্নেল (অব) মহিউদ্দিন আহমেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল (অব) একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)-এর নামে রবিবার কারাগারে মৃতু্য পরোয়ান পাঠানো হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.