নূরজাহান-আলোকিত ঈদ ফ্যাশন-কাল পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

শেষ হতে চলল অপেক্ষার পালা। নুরজাহান আলোকিত ঈদ ফ্যাশন প্রতিযোগিতা-২০১২-এর চূড়ান্ত পর্বের পর্দা উঠবে কাল সন্ধ্যায়। নগরের ফ্যাশন জগতের সবচেয়ে বড় এই আসরে হাজির হবেন নবীন-প্রবীণ পোশাক ডিজাইনার, উদ্যোক্তা ও তারকাশিল্পীরা।


আলোকিত ঈদ ফ্যাশনের ১৪তম আসর হবে এটি। অনুষ্ঠানসূচিতে থাকছে ফ্যাশন শো ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে নতুন ডিজাইনারদের পোশক পরে মঞ্চে আসবেন মডেলরা। তাঁদের মধ্য থেকে বিচারকেরা ঠিক করবেন কারা এবারের সেরা ডিজাইনার। এবারের এই আয়োজনে প্রচার সহযোগী হিসেবে থাকছে মাছরাঙা টেলিভিশন।
ইতিমধ্যে ১৩ জুলাই শেষ হয়েছে প্রতিযোগিতার প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ। প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন শিল্পী সুব্রত বড়ুয়া, ফ্যাশন ডিজাইনার রওশন আরা চৌধুরী, আইভি হাসান, এস এম ইলিয়াস ও লুৎফা সানজিদা। এবার মোট ১২টি বিভাগের জন্য প্রতিযোগীরা কাপড় জমা দেন। বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নকশা, রঙের ব্যবহার ও হাতের কাজের ওপর জোর দিয়েছেন বিচারকেরা। গড়পড়তা সবার কাজই ভালো ছিল। কোনটা ফেলে কোনটা রাখবেন—এই সিদ্ধান্ত নিতে বেশ হিমশিমই খেতে হয়েছে তাঁদের। দিনব্যাপী চলে এই বাছাইপর্ব। আইভি হাসান বলেন, ‘গতানুগতিকতার বাইরে মূলত সৃজনশীলতাকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এ ছাড়া রং, কাপড়, উপকরণ আরামদায়ক কি না, এগুলা তো দেখছিই।’
এস এম ইলিয়াস বলেন, ‘কাপড়ের নকশায় নতুনত্ব, রং মানানসই হলো কি না, এসব মাথায় রেখেছি বাছইয়ের সময়। এর পাশাপাশি দেশি কাপড়কে প্রাধান্য দিয়েছি।’ রওশন আরা বলেন, ‘ডিজাইনে বৈচিত্র্য ও পোশাক আবহাওয়ার সঙ্গে যায় কি না, সেটার ওপর জোর দিয়েছি বাছাইয়ের সময়।’

No comments

Powered by Blogger.