চরাচর-বৃক্ষপ্রেমী ইউএনও by বিশ্বজিৎ পাল বাবু

তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বন্ধের দিনে বিদ্যালয়ে পাঠদান করে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দেন। সরকারি বাসভবনে নিজ উদ্যোগে তিনি গড়ে তোলেন খামার ও বাগান। ওই বাগানে বৃক্ষ রোপণ করে এ বছর জেলায় শ্রেষ্ঠ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন তিনি।


বৃক্ষরোপণে সফলতা অর্জনে জেলা বন বিভাগ তাঁকে সেরা উদ্যোক্তা হিসেবে বিবেচনা করেছে।
সফল ওই ব্যক্তিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের ইউএনও আবু শাফায়েত মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম। প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, নিজের বৃক্ষপ্রেমের পাশাপাশি অন্যজনকে উদ্বুদ্ধ করতেই তাঁর এ প্রচেষ্টা।
এই ইউএনও সম্প্রতি তাঁর সরকারি বাসভবনে খামার ও বাগান করেছেন। এতে রয়েছে দেড় শতাধিক বিভিন্ন জাতের ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ। রয়েছে ছোট আকারের একটি পাকা পুকুর। পুকুরে চাষ করা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন জাতের দেশি মাছ। পুকুরে ও পাড়ে ঘুরে বেড়ানো চায়না, পাতি ও রাজহাঁসগুলো সবাইকে বিমোহিত করবে।
গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ওই বাসভবনেই ছনের ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। খামারে সংরক্ষণ করা হয়েছে সরাইলের ঐতিহ্যবাহী দুটি প্রাণী হাউন্ড কুকুর ও হাসলি মোরগ (যোদ্ধা মোরগ)। এ ছাড়া রয়েছে মৌ চাষ, মাশরুম চাষ, কবুতর পালন, কোয়েল পাখি ও খরগোশ পালন, ভাসমান সবজি বাগান প্রকল্প।
এ প্রসঙ্গে ইউএনও বলেন, খামার স্থাপনের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রতি ইঞ্চি জায়গার সর্বোত্তম ব্যবহার। এ ছাড়া এখানকার মাটির বৃক্ষ ধারণ উপযোগিতা যাচাই, উপজেলার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের দেশের বিভিন্ন প্রজাতির ফলদ, বনজ, ঔষধি ও বিলুপ্তপ্রায় বৃক্ষের সঙ্গে পরিচয় করানোও আরেকটি উদ্দেশ্য। আবু শাফায়েত জানান, এটি তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগে হলেও খামার তৈরি বা নির্মাণে সরাইল উপজেলার অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সহযোগিতা করছে। এখানে রোপণ করা গাছের চারাগুলোতে কোনো ধরনের রাসায়নিক সার ব্যবহার করা হয় না।
বিশ্বজিৎ পাল বাবু

No comments

Powered by Blogger.