পদ্মা সেতু প্রসঙ্গ-দুর্নীতির অভিযোগসংক্রান্ত তথ্য বিশ্বব্যাংক দিয়েছে: দুদক

পদ্মা সেতু প্রকল্পের বাস্তবায়ন পর্যায়ে উত্থাপিত দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে একটি ব্যাখ্যা পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে বলা হয়, কোনো কোনো প্রতিবেদনে দুদকের বরাত দেওয়া হয়েছে।


অনেক ক্ষেত্রে খণ্ডিত আকারে সংবাদ প্রকাশের কারণে আপাতদৃষ্টিতে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও প্রচারিত হয়েছে। এতে বিভ্রান্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
দুদকের ব্যাখ্যায় বলা হয়, বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি দাতা সংস্থার অর্থায়নে ‘পদ্মা সেতু প্রকল্প’ বাস্তবায়নের কথা। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় বিশ্বব্যাংক অর্থ ছাড় স্থগিত রেখেছে।
পরামর্শক নির্বাচনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগসংক্রান্ত কিছু তথ্য বিশ্বব্যাংক দুদককে দিয়েছে। এতে সুনির্দিষ্টভাবে কয়েকজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ আছে। পরামর্শক সংস্থার কাছ থেকে তাঁরা ঘুষ দাবি করেছেন—প্রাপ্ত তথ্য থেকে এই উপসংহারে আসা সঠিক হবে না, আইন ও বিধিসম্মতও হবে না। অধিকন্তু এ পর্যায়ে নাম প্রকাশ করা হলে তাঁদের প্রতি সুবিচার হবে না। বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে কমিশনের কর্মকর্তারা কয়েকজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন এবং এই প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে। কানাডীয় তদন্ত সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা দুদককে সহযোগিতা দিতে সম্মত হয়েছে।
পদ্মা সেতু নির্মাণ একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রতিটি পর্যায়ে পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে নানা অভিযোগ ওঠা অস্বাভাবিক নয়। প্রতিটি অভিযোগই গুরুত্বের সঙ্গে অনুসন্ধান করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দুদক অঙ্গীকারবদ্ধ।
কমিশন মনে করে, কেবল অভিযোগের কারণে প্রকল্পের বাস্তবায়ন বিলম্বিত করাটা সঠিক পদক্ষেপ নয়। এতে প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যয় বহুলাংশে বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনগণের জীবনমানের উন্নয়নের প্রচেষ্টা ব্যাহত হতে পারে। দুদক দেশের প্রচলিত আইনি কাঠামো অনুযায়ী দুর্নীতির প্রতিটি অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে।
একই সঙ্গে গণমাধ্যমকে সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও তদন্তের স্বার্থে অনুসন্ধানাধীন ও তদন্তাধীন কোনো বিষয়ে পরিপূর্ণ সত্য জেনে প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ জানিয়েছে দুদক।

No comments

Powered by Blogger.