বেপরোয়া বাস-এবার মেয়ের সামনে প্রাণ হারালেন মা

কোচিং শেষে মেয়েকে নিয়ে রিকশায় করে বাসায় যাচ্ছিলেন শ্যামলী চক্রবর্তী (৩৫)। বাসায় আর ফেরা হয়নি তাঁর; বরং বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় মেয়ের সামনে ঘটেছে মর্মান্তিক মৃত্যু। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় গেন্ডারিয়ার দয়াগঞ্জে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে শ্যামলী চক্রবর্তীর মেয়ে বীথি চক্রবর্তীও (১৪) আহত হয়।


এদিকে, প্রায় একই সময়ে ফার্মগেটে বাসের ধাক্কায় মারা যান আহাম্মদ আবদুল আজিজ (২২) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া যুবক।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, শ্যামলী চক্রবর্তী স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে গেন্ডারিয়ার সাহেব লেন এলাকায় থাকতেন। গতকাল সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় একটি কোচিং সেন্টার থেকে মেয়ে বীথিকে নিয়ে রিকশায় চড়ে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। রিকশা দয়াগঞ্জ এলাকায় পৌঁছালে মাওয়া থেকে মোহাম্মদপুরগামী একটি বাস এটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশা থেকে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন শ্যামলী চক্রবর্তী। বীথিও পড়ে গিয়ে আঘাত পায়। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক শ্যামলী চক্রবর্তীকে মৃত ঘোষণা করেন। বীথিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
ঘটনার পর পর পুলিশ বাসচালক ও তাঁর সহযোগীকে আটক করে।
রাত আটটার দিকে যোগাযোগ করা হলে গেন্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুলতান হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা হাসপাতালে এসেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলছি। পরে বিস্তারিত জানাব।’
এদিকে, প্রায় একই সময়ে ফার্মগেটে বাসের ধাক্কায় মারা যান আহাম্মদ আবদুল আজিজ নামের এক যুবক। তিনি রাজধানীর পূর্ব তেজতুরিবাজার এলাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন বলে জানা গেছে।
আজিজের বন্ধু মো. নাদিমের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্র জানায়, আজিজ ও নাদিম ডেমরার ডগাইরের বাড়িতে ফিরতে ওভারব্রিজের নিচে বাসের অপেক্ষা করছিলেন। বাস এলে তাতে ওঠার সময় আরেকটি দ্রুতগামী বাস আজিজকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে আল রাজি হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মারা যান আজিজ।

No comments

Powered by Blogger.