মে দিবস ও বাংলাদেশের শ্রমিক শ্রেণী by হায়দার আকবর খান রনো

পুঁজিবাদের জন্মলগ্ন থেকেই দুটো বিষয় পাশাপাশি চলে আসছে। একদিকে শ্রমিককে শোষণ করে পুঁজিপতির পুঁজির স্ফীতিসাধন, অন্যদিকে পুঁজিপতির বিরুদ্ধে শ্রমিকের শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত ইউরোপ-আমেরিকার সব উন্নত পুঁজিবাদী দেশে শ্রমিকদের খাটানো হতো ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা। অনেকটা আজকের বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের মতো।


শ্রমিকরা দাবি তুলেছিল, আট ঘণ্টা শ্রম দিবস চাই। তথাকথিত সভ্য দেশের পুঁজিপতি ও সরকার তা মানতে রাজি হয়নি। ১৮৮৬ সালের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে আমেরিকার শিকাগো শহরের শ্রমিকরা আট ঘণ্টা শ্রম দিবসের দাবিতে রাস্তায় মিছিল করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকার গুলি চালিয়ে নিষ্ঠুরভাবে প্রতিবাদী শ্রমিকদের হত্যা করেছিল। আমেরিকার কোর্ট শ্রমিক আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছিলেন। আমেরিকার বুর্জোয়া সংবাদপত্র দাবি করেছিল, 'প্রতিটি লাইটপোস্ট কমিউনিস্টদের লাশ দ্বারা সুসজ্জিত করা হোক।' এই ছিল আমেরিকার গণতন্ত্রের নমুনা।
১৮৮৯ সালে দ্বিতীয় কমিউনিস্ট আন্তর্জাতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিল শিকাগোর শ্রমিক অভ্যুত্থান ও বর্বর শ্রমিক হত্যার দিবসটি শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংহতির দিবস হিসেবে পালন করা হোক। পহেলা মে হবে সেই সংহতি দিবস। তখন থেকেই পহেলা মে শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংহতির ও পুঁজিপতির বিরুদ্ধে সংগ্রামের অঙ্গীকার ঘোষণার দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। মে দিবস প্রথম পালিত হয়েছিল ইউরোপ ও আমেরিকার প্রায় সব পুঁজিবাদী দেশে, যা শ্রমিক শ্রেণীর বিজয় অভিযাত্রার একটি মহান মাইলস্টোন।
১৯৯০ সালের সেই পহেলা মে-র দিন শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক নেতা, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, মহান দার্শনিক ও কার্ল মার্কসের আজীবন সহযোদ্ধা ফ্রেডরিক এঙ্গেলস লিখেছিলেন, 'কমিউনিস্ট মেনিফেস্টোর' জার্মান সংস্করণের ভূমিকা। এর আগেই কার্ল মার্কস মারা গেছেন। এঙ্গেলস লিখলেন, 'ঠিক আজকের এই দিনে যখন আমি এ লাইনগুলো লিখছি, তখন ইউরোপ ও আমেরিকার প্রলেতারিয়েত তাদের লড়ার শক্তি বিচার করে দেখছে, এই প্রথম তারা সংঘবদ্ধ, সংঘবদ্ধ একক বাহিনীরূপে, এক পতাকার নিচে, একটি উপস্থিত লক্ষ্য নিয়ে... আজকের দিনের দৃশ্য সব দেশের পুঁজিপতিদের ও জমিদারদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে যে আজ সব দেশের শ্রমিকরা সত্যিই এক হয়েছে।' এরপর এঙ্গেলস আক্ষেপ করে বলেছিলেন, 'নিজের চোখে তা দেখার জন্য মার্কস যদি এখনো আমার পাশে থাকতেন।'
পুঁজিপতি ও তাদের রাষ্ট্রের বিরোধিতা সত্ত্বেও শ্রমিক শ্রেণী আট ঘণ্টার শ্রম দিবস আদায় করতে সক্ষম হয়েছিল বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে। এখন এটা আইএলও কর্তৃক স্বীকৃত। শ্রমিক শ্রেণীর বিজয় শুধু এটুকুর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। ১৯১৭ সালে রাশিয়ার শ্রমিক শ্রেণী বুর্জোয়াদের উচ্ছেদ করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিল এবং শোষণহীন সমাজ সমাজতন্ত্রের ভিত্তি রচনা করেছিল। পুঁজিবাদী দেশগুলোতেও শ্রমিকের সংগ্রাম তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিভিন্ন পর্যায়ে শ্রমিক শ্রেণীর আন্তর্জাতিক সংস্থাও গড়ে উঠেছিল। একসময় ইউরোপ-আমেরিকার পুঁজিপতিরা ট্রেড ইউনিয়নকে স্বীকার করতে চাইত না। অনেকটা আজকের বাংলাদেশের নব্য ধনীদের মতোই। কিন্তু সব ধরনের নির্যাতনকে মোকাবিলা করে শ্রমিকের ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে ইউরোপের পুঁজিপতিরা তা মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯১৩ সালে গড়ে উঠেছিল ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন (IFTU)। ১৯১৯ সালে এর সদস্যসংখ্যা ছিল দুই কোটি ৩০ লাখ। এ সময় সারা বিশ্বে ট্রেড ইউনিয়নের সদস্যসংখ্যা দাঁড়িয়েছিল সাড়ে চার কোটি।
রাশিয়ার অক্টোবর বিপ্লব সারা দুনিয়ায় শ্রমিক আন্দোলন ও ট্রেড ইউনিয়নকে বিপুলভাবে উৎসাহী করেছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংস্থা গড়ে উঠেছিল। এর মধ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ ছিল গুরুত্বপূর্ণ। স্বয়ং লেনিনের এবং দেশে দেশে কমিউনিস্টদের উদ্যোগে জঙ্গি ট্রেড ইউনিয়নগুলোকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল রেড ইন্টারন্যাশনাল লেবার ইউনিয়ন ১৯২১ সালে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৪৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি (তখনো পূর্ব এশিয়ায় যুদ্ধ চলছে) গঠিত হয়েছিল ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অব ট্রেড ইউনিয়ন (WFTU)। দুনিয়াজোড়া ব্যাপক শ্রমিক ঐক্যের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদ, বিশেষ করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এতে ভীত হয়ে আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংহতিতে ভাঙন ধরানোর জন্য তৎপর হয়ে উঠল। গঠিত হলো পাল্টা সংস্থা_ইন্টারন্যাশনাল কনফেডারেশন অব ফ্রি ট্রেড ইউনিয়নস (ICFTU)। শ্রমিক আন্দোলন অনেক ভাঙা-গড়ার ভেতর দিয়ে অগ্রসর হচ্ছিল। এদিকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে গঠিত হয়েছিল আইএলও, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সমন্বয়ের প্রচেষ্টা। যা-ই হোক, আইএলও কনভেনশনে শ্রমিকের অনেক দাবি স্বীকৃতি লাভ করেছিল। যে আট ঘণ্টা শ্রম দিবসের দাবি নিয়ে মে দিবসের সংগ্রাম, তা-ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল। ট্রেড ইউনিয়ন করাকেও শ্রমিকের আইনসংগত অধিকার হিসেবে স্বীকার করে নেওয়া হয়েছিল।
আমাদের দেশেও শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার রয়েছে এবং আট ঘণ্টা শ্রম দিবস স্বীকৃত বিষয়। কিন্তু কাগজ-কলমে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রথমে দেখা যাক শ্রম দিবসের বিষয়টি। মনে রাখতে হবে, আট ঘণ্টার শ্রম দিবসের দাবিকে কেন্দ্র করেই মহান মে দিবসের উৎপত্তি। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় শিল্প খাত গার্মেন্ট শিল্পের কোনো একটি কারখানায়ও আট ঘণ্টা শ্রম দিবসের আইনটি মানা হয় না। এমনকি মালিকরা একসময় ১২ ঘণ্টা শ্রম দিবস করার জন্য সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। অর্থাৎ তারা সেই ঊনবিংশ শতাব্দীতে ফিরে যাওয়ার আবদার করেছিলেন। শ্রম আইনে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, বাস্তবে গার্মেন্ট কারখানায় এখন শ্রমিকদের বাধ্য করা হয় দৈনিক ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা কাজ করতে। শ্রম আইনে অবশ্য আছে, ওভারটাইম কাজ করানো যেতে পারে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে তিনটি শর্ত আছে। এক. শ্রমিকের সম্মতি ছাড়া ওভারটাইমের জন্য বাধ্য করানো যাবে না। দুই. কোনো অবস্থায়ই দুই ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করানো যাবে না। তিন. ওভারটাইমের জন্য দ্বিগুণ মজুরি দিতে হবে। আমি জোরের সঙ্গে বলতে পারি, ব্যতিক্রমহীনভাবে সব মালিকই এসব শর্ত মানেন না, অর্থাৎ শ্রম আইন প্রকাশ্যেই লঙ্ঘন করে চলেছেন। এগুলো শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু এখন পর্যন্ত একজন মালিকেরও শাস্তি হয়নি। কারণ রাষ্ট্রটি হচ্ছে এই নব্য পুঁজিপতিদের এবং এ পর্যন্ত সব সরকার, প্রশাসন, পুলিশ ও বেশির ভাগ সংসদ সদস্যই শ্রমিকবিদ্বেষী।
বাংলাদেশে শ্রমিক শোষণের হারও সবচেয়ে বেশি। রপ্তানিমুখী পোশাক শিল্পের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে প্রফিট মার্জিন হচ্ছে ৪৩.১০ শতাংশ। অথচ এই হার ভারতে ১১.৮, নেপালে ৪.৪ এবং চীনে ৩.৩ শতাংশ। সর্বশেষ সরকারি ঘোষণায় গার্মেন্ট শিল্পে ন্যূনতম মজুরি ধরা হয়েছে মাসিক মাত্র দুই হাজার টাকা। ঘর ভাড়া ধরা হয়েছে ৮০০ এবং চিকিৎসা ভাতা মাত্র ২০০ টাকা। মনে হয়, শ্রমিকবিদ্বেষী সরকার যেন শ্রমিকের দারিদ্র্য নিয়ে তামাশা করছে।
বস্তুত বাংলাদেশের নব্য ধনিকদের মানসিকতা হচ্ছে যেন শ্রমিকদের মানুষ হিসেবে গণ্য না করা। তাই মে দিবস উপলক্ষে যখন রাষ্ট্রপ্রধান, প্রধানমন্ত্রী অথবা সাবেক প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেন, তখন তা প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না। এই নব্য ধনিকরা মানসিকতার দিক দিয়ে সামন্ত। রুচি ও সংস্কৃতির দিক দিয়ে খুবই নিম্নমানের। বুর্জোয়া হিসেবেও তারা আধুনিক হয়ে উঠতে পারেনি। তাই কাগজ-কলমে অথবা আইনের বইয়ে যা-ই লেখা থাকুক না কেন, এরা এবং এদের সরকার, পুলিশ প্রশাসন ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে সহ্য করতে পারে না। সরকারি ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রির অফিসটিও মালিকের স্বার্থে কাজ করে। সেখানে সরকারি দলের রাজনৈতিক প্রভাব ও ঘুষ লেনদেনের ব্যাপারও থাকে। উপরন্তু সর্বশেষ শ্রম আইনে ট্রেড ইউনিয়নের রেজিস্ট্রির বিষয়টিতে মালিকের হাতে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, শ্রমিকদের প্রতি যে আচরণ করা হয়, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কারখানাগুলো যেন মৃত্যুপুরী। শ্রমশক্তি নিংড়ে নিয়ে, ঘুম কেড়ে নিয়ে, ক্ষুধার জ্বালায় অস্থির করে তুলে, পুলিশ-র‌্যাবের নিষ্ঠুর অত্যাচারের মধ্যে ফেলে রেখে আমাদের দেশের লাখ লাখ কিশোরী মেয়েকে প্রতিদিন মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ এরাই অর্জন করে আনছে দেশের জন্য সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা। যেহেতু এই শিল্পটি শ্রমঘন এবং পুঁজি ও প্রযুক্তি তেমন লাগে না, তাই পোশাক রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে মালিকের ভূমিকা নগণ্য, প্রধান অবদান শ্রমিকেরই।
অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গেলেই মালিক লেলিয়ে দেন ভাড়াটিয়া গুণ্ডা। আর র‌্যাব-পুলিশ তো আছেই। বিভিন্ন সময় পুলিশের রিমান্ডে অল্পবয়সী মেয়েদের ওপর যে ধরনের বীভৎস নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে যায়। উপরন্তু যৌন হয়রানিও আছে। শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষকে জেলে রেখে ডাণ্ডা বেড়ি পরানো হয়েছিল। মোশরেফা মিশুকে মাসের পর মাস বন্দি রাখার পর সম্প্রতি তিনি মুক্তি পেয়েছেন। তুহিন চৌধুরীকে মিথ্যা অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করে অকথ্য দৈহিক অত্যাচার করা হয়েছে।
এক কথায়, আমাদের দেশের নব্য ধনিকরা, কারখানার মালিকরা সামন্ত মানসিকতাসম্পন্ন, ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় বুর্জোয়ার মতোই। ফলে স্বাভাবিক ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনের পথ এই দেশে রুদ্ধ হয়ে গেছে। তাই বারবার শ্রম দাসত্বের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে শ্রমিক শ্রেণী। কিছুদিন পর পর শ্রমিক অভ্যুত্থান এখন শ্রমিক আন্দোলনের স্বাভাবিক চিত্রে পরিণত হয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে যে কয়টি শ্রমিক অভ্যুত্থান ঘটেছে, তা সেই শিকাগোর মহান সংগ্রামের মতোই মহান। এখানে কয়েকটি উৎসাহজনক ইতিবাচক দিকও লক্ষ করা গেছে। যথা_১. কোনো কারখানায় মালিকের কোনো ধরনের অন্যায় অত্যাচারের ঘটনা ঘটলে দেখা যায়, আশপাশের কারখানার শ্রমিকরাও এগিয়ে আসে, তারাও রাস্তায় নেমে মিছিল করে, ধর্মঘট করে। পরস্পরের জন্য এই যে সহানুভূতি, শ্রমিক সংহতি তা খুবই বড় বিষয়। শ্রমিক সংহতি ও শ্রমিক ঐক্যের এ রকম দৃষ্টান্ত বহুবার দেখা গেছে। আমরা তাই খুবই আশান্বিত। ২. সম্প্রতি বিভিন্ন লড়াই-সংগ্রামে শ্রমিকরা যে ধরনের ঐক্য ও শৃঙ্খলা প্রদর্শন করেছে, তা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক। শ্রমিকের এই ঐক্য ও সংগ্রামী মনোভাব প্রগতিশীল মানুষের মনে আশার সঞ্চার করে। ৩. প্রশাসন, পুলিশ, র‌্যাবের গুলি, হত্যা, পুলিশ হেফাজতে গিয়ে দৈহিক অত্যাচার এবং গোয়েন্দা সংস্থার নিয়মিত হয়রানি, মালিকের ভাড়াটিয়া গুণ্ডার গুণ্ডামি, এমনকি যৌন হয়রানিও শ্রমিকের মনোবল ভাঙতে পারেনি।
সরকার ও বিকৃত রুচিসম্পন্ন সামন্ত মানসিকতার নব্য ধনীর দল স্বাভাবিক ট্রেড ইউনিয়নের পথ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে শ্রমিক আন্দোলন অভ্যুত্থানের পথ নিচ্ছে_ঊনবিংশ শতাব্দীর আমেরিকা-ইউরোপের মতোই। ভবিষ্যতে অভ্যুত্থান আরো জোরদার, আরো ব্যাপক ও গভীরতর হবে। শ্রমিক শ্রেণীর অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠবেই। এটাই ইতিহাসের অমোঘ বিধান।
লেখক : রাজনীতিক ও কলামিস্ট

No comments

Powered by Blogger.