আইনি জটিলতা দূর করার উদ্যোগ নিন-কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

সামান্য ভুলভ্রান্তির কারণে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নব গঠিত এই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন শুরুতেই বাধাগ্রস্ত হোক তা কাম্য হতে পারে না। সমস্যাটি দ্রুত দূর করার ব্যাপারে সে কারণেই সংশ্লিষ্ট সবার মনোযোগ প্রয়োজন।


কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের দুটি ওয়ার্ডের সীমানা নিয়ে দুটি সরকারি নথিতে দুই রকম তথ্য থাকায় আইনি জটিলতা দেখা দিতে পারে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়ার পর কেউ বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। নির্বাচনের প্রস্তুতির আগে তাই বিষয়টির নিষ্পত্তি জরুরি।
সীমানা নির্ধারণের ব্যাপারে দাবি-আপত্তি পর্যালোচনা করে সীমানা নির্ধারণের কাজটি সম্পন্ন করেছে জেলা প্রশাসন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসন নির্ধারিত এই সীমানার ব্যাপারে সমর্থন রয়েছে। সে অনুযায়ী স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে সীমানাসংক্রান্ত যে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে লালমাইয়ের আংশিক এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সঙ্গে দক্ষিণ গোপীনাথপুরের আংশিক এলাকা যুক্ত হিসেবে দেখানো হয়েছে। জেলা প্রশাসন সাবেক পৌরসভার ওয়ার্ড ও চৌহদ্দি বহাল রেখেই নতুন ঘোষিত সিটি করপোরেশনের সীমানা নির্ধারণ করেছে, কোনো ওয়ার্ডকে ভাগ বা কোনো ওয়ার্ডের কোনো অংশ অন্য ওয়ার্ডের সঙ্গে যুক্ত করেনি। জেলা প্রশাসন সেভাবেই প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের গেজেটে ওয়ার্ডের সীমানা ভিন্ন হওয়ার বিষয়টি ভুল বলেই ধরে নেওয়া যায়। কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে যেকোনো ধরনের জটিলতা এড়াতে এই ভুলটি শোধরানো জরুরি হয়ে পড়েছে।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে। সে হিসেবে আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন আগামী ২০ থেকে ২২ নভেম্বরের মধ্যে তফসিল ঘোষণা করতে চায়। নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় চাইলেই এই অসংগতি দূর করতে পারে। আমরা আশা করব, মন্ত্রণালয় অবিলম্বে এই অসংগতি দূর করার উদ্যোগ নেবে এবং নির্বাচন অনুষ্ঠানকে নির্বিঘ্ন করতে কমিশনকে সহায়তা করবে।

No comments

Powered by Blogger.