সরকারি প্রতিষ্ঠানের বিল-আপনি আচরি ধর্ম...

রকারি ও বেসরকারি উভয় ধরনের প্রতিষ্ঠানেরই বিদ্যুৎ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে। এ জন্য বিল দিতে হয়। বিল বকেয়া পড়লে বিলখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার শঙ্কা থাকে। শাস্তিরও বিধান রয়েছে। অনেক ধরনের শাস্তি নির্ধারিত হয় আদালত দ্বারা। আবার সরকারের নানা দফতরও শাস্তি প্রদান করতে পারে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও শাস্তি দিতে পারে। সামাজিক শাস্তিও রয়েছে। ব্যক্তিগত পর্যায়েও শাস্তি প্রদান সম্ভব এবং তা আকছার হয়ে থাকে। বিদ্যুৎ বিল সময়মতো


পরিশোধ করা না হলে লাইন বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এ বিধান বলবৎ করা হলে বাংলাদেশের অনেক সরকারি অফিসে নেমে আসবে আঁধার। মঙ্গলবার সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি সূত্রে প্রাপ্ত একটি খবর থেকে এমনই উপসংহারে আসা চলে। সোমবার কমিটির সভায় পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড বা পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়। এ থেকে জানা যায়, সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ কয়েক হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ২০০৯-১০ সালের জন্যই বকেয়া দেড় হাজার কোটি টাকা। সরকার নিজে বাজেট করে চলে। সরকারি সব অফিসের জন্যও বার্ষিক আয়-ব্যয়ের বাজেট থাকে এবং এ জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। বিদ্যুৎ খাতের জন্যও অর্থ বরাদ্দ থাকে। সে অর্থ কেন সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান পিডিবিকে দেয়নি? তারা কি ধরে নিয়েছে যে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্থ পরিশোধ না করলেও চলে? তাদের এ যুক্তি যদি সবাই মেনে নেয়, তাহলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড বিল আদায় করতে পারবে না। টেলিফোন, গ্যাস ও পানির জন্যও বিপুল বিল এভাবে অনাদায়ী থেকে যাবে। কথায় বলে, আপনি আচরি ধর্ম অপরে শেখাও। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সেটা করতে চায় না। তারা বিদ্যুতের জন্য বরাদ্দ রাখে, কিন্তু সেটা ব্যয় করে অন্য খাতে। আরও অনেক খাতের বরাদ্দও হয়তো বা সঠিক খাতে ব্যবহার করা হয় না। অথচ এসব প্রতিষ্ঠান জনসাধারণকে নিয়ম-শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য উপদেশ-পরামর্শ দিয়ে চলেছে। পরিহাস আর কাকে বলে!
 

No comments

Powered by Blogger.