আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে প্রার্থিতা বাতিল: সাখাওয়াত

নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ‘নরসিংদী পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচন যাতে সুষ্ঠু হয় এবং কোনো প্রকার দাঙ্গা-হাঙ্গামা যাতে না হয়, সে জন্য নির্বাচনে আমরা পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করব। আর আইনের বাধ্যবাধকতার কারণেই মূলত এ নির্বাচনটি করতে হচ্ছে। তা না হলে আমরা এত তাড়াতাড়ি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতাম না।’ আজ সোমবার দুপুরে নরসিংদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে নরসিংদী পৌরসভার মেয়র


পদের উপনির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এম সাখাওয়াত হোসেন এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘প্রার্থীরা অনেক সময় বায়বীয় তথ্য বা অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেন। সুস্পষ্ট প্রমাণ ছাড়া কেউ এ কাজটি করবেন না। আর নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের যদি কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। এমনকি প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল হতে পারে।’
নরসিংদী পৌর উপনির্বাচনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আইনি বাধ্যবাধকতার কারণেই মূলত উপনির্বাচনটি করতে হচ্ছে। নির্বাচনী আইনে শূন্য পদ ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। আর আমরা আশা করছি, নরসিংদী পৌরসভার মেয়র পদের উপনির্বাচন একটি ছোট নির্বাচন। এখানে আপনারা বিশৃঙ্খলা করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পুরো পৌর এলাকায় আমরা পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেব। এর মধ্যে প্রতি ওয়ার্ডে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, এক হাজার ২৭০ জন পুলিশ ও আনসার, ৩০০ র্যাব এবং সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের জন্য তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদী জেলা প্রশাসক ওবায়দুল আজম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার খন্দকার মহিদ উদ্দিন, রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল অদুদ এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

No comments

Powered by Blogger.