ফিরে দেখা

২০১১ দেশের বিভিন্ন স্থানে বহু ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার কোনটি বর্বরতার আওতায় এসেছে। ধর্ষণ, নারী নির্যাতন এমনকি যৌন হয়রানির মতো ঘটনা দেশকে অস্থির করে রেখেছিল। লাশের খবর প্রতিদিনই পত্রিকার পাতায় স্থান পেয়েছিল। রাজনৈতিক সহিংসতা, সাগরে জলদস্যুদের দাপট এবং অপহরণের ঘটনা ছিল নিত্যদিনের। এমন অসংখ্য ঘটনার সংবাদ বাংলার জমিনে প্রকাশ পেয়েছে। এরই দু-একটি সংবাদ বছরের শেষ দিনে এসে ফিরে দেখছি।
আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদের ভিত্তিতে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা আবারও ফিরে দেখছি। ১২ই জুলাই খেলা দেখতে গিয়ে লাশ হয়ে বাড়ি ফিরে মিরসরাইয়ের ৪৩ স্কুলছাত্র। একটি ট্রাকে এরা জয়ের আনন্দ নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। আবু তোরাব-বড়তাকিয়া মহাসড়কের মাঝামাঝি স্থানে ট্রাকটি উল্টে একটি ডোবার পানিতে তলিয়ে যায়। এতে ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হয় ফেলানী নামের এক কিশোরী। লাশ ঝুলে ছিল কাঁটাতারের বেড়ায়। অপর একটি লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে রংপুর জেলার বদরগঞ্জ উপজেলায়। যেখানে সালিশে উপস্থিত কয়েকশ মানুষের সামনে দু’বোনকে মাটিতে ফেলে প্রহার করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান। তাদের নির্মম নির্যাতনের পর তওবা পড়ানো হয়। চিকিৎসা নিতে দেয়া হয় বাধা। সাদা কাগজে নেয়া হয় তাদের সই। এ ঘটনায় পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা ছিল বলে এলাকাবাসীরা অভিযোগ করে। সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়া হত্যা মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নানসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট দেয়া হয়। চার্জশিট দাখিলের পর আসমা কিবরিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি চার্জশিটকে প্রহসনের নাটক উল্লেখ করে জানান, এর বিপরীতে আইনজীবীদের মাধ্যমে নারাজি পিটিশন দেবেন তিনি। উল্লেখযোগ্য ঘটনার  আরেকটি হলো, ৬ বছর পর বন্দিদশা থেকে মুক্ত হয় সিলেটের সাফিয়া ও আদিয়া এবং বগুড়ায় দু’ভাইয়ের ১৫ বছর কেটেছে অন্ধকার ঘরে। মানিক ও রতন নামে এই দু’ ভাইকে উদ্ধার করার পর শোনা যায় নানা কথা। এ সংবাদটিও প্রকাশ পায় গত ১৩ই ডিসেম্বর।

No comments

Powered by Blogger.