স্পা বন্ধ: হুমকিতে মালদ্বীপের অর্থনীতি!

শিয়ার ছোট্ট দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপের অর্থনীতি মূলত পর্যটননির্ভর। দেশটির ১৫০ কোটি ডলারের অর্থীনীতিও পর্যটন শিল্প-নির্ভর। আর মোট জাতীয় উৎপাদনে (জিডিপি) এই খাতের অবদান শতকরা ৩০ ভাগ। তবে হঠাৎই যেন দেশটির প্রধান এই শিল্প দুর্বিপাকে পড়েছে। দেশটির সরকার সরকার বিলাসবহু হোটেল ও রিসোর্টগুলোতে স্পা বন্ধের নির্দেশ দেওয়ায় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্পা শব্দটি এসেছে বেলজিয়ামের ছোট্ট শহর স্পা’র


নাম থেকে। এর শাব্দিক অর্থ সেই অর্থে কিছু না থাকলেও এটি শরীরের জন্য আরামদায়ক পানি থেরাপির সঙ্গে জড়িত। একে বালনিওরোপিও বলা হয়।

মালদ্বীপের কট্টরপন্থী দল আদহেলাদ পার্টির অভিযোগ, স্পা’র নামে নামীদামী এসব হোটেলে পতিতাবৃত্তি চলছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে সরকারও কয়েক’শ বিলাসবহুল হোটেলে স্পা বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রবাল দ্বীপ মালদ্বীপে বেড়াতে আসেন বিশ্বখ্যাত তারকা ও ধনকুবেররা। বেড়াতে বা মধুচন্দ্রিমায় আসা এসব দম্পতিকে এক রাত থাকার জন্য গুনতে হয় ক্ষেত্রভেদে এক হাজার থেকে ১২ হাজার ডলার পর্যন্ত। এর পাশাপাশি পরিপূর্ণ বিশ্রামের জন্য স্পার খরচ পড়ে ৬০০ ডলার। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য এসব হোটেলে আছে নানান সুযোগ-সুবিধা।
গত সপ্তাহে বিরোধী রক্ষণশীল দল আদহেলাদ পার্টি রাজধানীতে এক সমাবেশ করে স্পা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে পতিতাপল্লী বলে আখ্যা দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ নাশিদ কামালের কার্যালয় থেকে জানানো হয়, বিরোধী দলের প্রতিবাদের কারণে স্পা সেন্টারগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, এই বিরোধী দলের অনেক নেতাও এসব স্পা রিসোর্টের মালিক।
এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মামুন আবদুল গাইয়ুমের বিরোধী জোট প্রোগ্রেসিভ পার্টি অব মালদ্বীপস সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করে বলেছে, বিরোধী দলের যেসব নেতা রিসোর্ট ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলাই সরকারের লক্ষ্য। বিরোধী এই জোটের মুখপাত্র আহমেদ মাহলুফ বলেন, ‘আমরা চাই, অনৈতিক কার্যকলাপ বন্ধে সরকার সব ধরনের মদ ও ম্যাসেজ পার্লার বন্ধ করুক। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী প্রতিহিংসাবশত কেবল বিরোধী দলের নেতাদের রিসোর্টগুলো বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।’ টাইমস অব ইন্ডিয়া।

No comments

Powered by Blogger.