খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন ভাড়া নিয়ে আবারও শুরু হয়েছে চরম নৈরাজ্য। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে গত বছরে চতুর্থবারের মতো জ্বালানি তেলের দাম প্রতি লিটারে আরও পাঁচ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। গত শুক্রবার ছুটির দিনে এ নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বচসা হলেও ভাড়া বাড়ানোর কথা বরাবরের মতোই অস্বীকার করেছে মালিকপক্ষ। পরিবহনে নৈরাজ্য ঠেকাতে সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো ঠুঁটো জগন্নাথ সেজে বসে রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে মালিক সমিতিগুলো নতুন ভাড়ার তালিকা তাৎক্ষণিকভাবে প্রকাশ না করলেও সকাল থেকেই দক্ষিণ অঞ্চলের সব রুটে পরিবহন শ্রমিকরা ইচ্ছামতো ভাড়া আদায় করছে। সর্বশেষ ১০ই নভেম্বর জ্বালানি তেলের প্রতি লিটারে ৫ টাকা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিলোমিটার প্রতি ১ দশমিক ২০ টাকা বাস ভাড়া নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সকালেই তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে মাত্রাতিরিক্ত বাড়তি ভাড়া দাবি করলে যাত্রীদের সঙ্গে বচসা ও হাতাহাতি হয়। তাছাড়া রাস্তা খারাপের দোহাই দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তো রয়েছেই।
অপরদিকে নগরীর বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া ৫টি রুটের সব লঞ্চে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে যাত্রীদের অভিযোগ। খুলনা-মদিনাবাদ (কয়রা) ১০০ টাকা ভাড়া নেয়া হলেও গতকাল তা ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। মালিকপক্ষ বলছে, তেলের মূল্য লিটারে ২ টাকা বৃদ্ধিতে গত ২১শে জুন কিলোমিটার প্রতি ১ দশমিক ৩৩ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছিল। ১৮ই সেপ্টেম্বর লিটারে ৫ টাকা বৃদ্ধি করা হয়, ১১ই নভেম্বর রাতে তৃতীয় দফায় আরও ৫ টাকা বাড়ানো হলো। ২৯শে ডিসেম্বর আবারও ৫ টাকা বাড়লো তেলের দাম।
স্বাভাবিকভাবে ভাড়া তো বাড়বেই। তবে মালিক পক্ষ বর্ধিত ভাড়ার তালিকা এখনও দেয়নি।
খুলনা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্যপরিষদের সভাপতি আ. গফফার বিশ্বাস বলেন, ভাড়া তো আমরা বৃদ্ধি করিনি।  সরকার বারবার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে। তেলসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের দাম বাড়লে বাস ভাড়া বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।  বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) খুলনার সহকারী পরিচালক মো. সেলিম বক্স বলেন, আমরা সরকার কর্তৃক কোন প্রজ্ঞাপন পায়নি। এ মুহূর্তে বাসগুলো আগের ভাড়া নিচ্ছে বলে জানি।  বেশি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

No comments

Powered by Blogger.