পশ্চিমবঙ্গে অধ্যক্ষ প্রহূত, রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড়

তৃণমূল ছাত্রনেতা-কর্মীদের হাতে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ প্রহূত হওয়ার ঘটনায় রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভুক্তভোগী এই শিক্ষককে তাঁর কক্ষ থেকে বের করে টেনেহেঁচড়ে কলেজের সামনে এনে লাঞ্ছিত করা হয়। এতে গতকাল শুক্রবার প্রতিষ্ঠানটিসহ উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়, গৌরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রছাত্রীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। শিক্ষক লাঞ্ছনার প্রতিবাদে


সিপিএমের ছাত্রসংগঠন এসএফআই গোটা রাজ্যে গতকাল বিক্ষোভ সমাবেশের পাশাপাশি দিনটি ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করেছে। কংগ্রেসের ছাত্রসংগঠন ছাত্রপরিষদও কলকাতাসহ রাজ্যে অবরোধ কর্মসূচি পালন ও প্রতিবাদ সভা করে।
এদিকে অধ্যক্ষকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে রায়গঞ্জ পুলিশ তৃণমূলের ১১ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দলীয় পরিচয় না দেখে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে রায়গঞ্জ থানার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে গত বছর ২৯ জুলাই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মীদের সঙ্গে এক সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী নিহত হন। ২৩ সেপ্টেম্বর মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর কলেজ অধ্যক্ষের বাসায় ভাঙচুর চালান তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মী-সমর্থকেরা। ২৫ নভেম্বর বহরমপুর কলেজে অধ্যক্ষের বাসায় ভাঙচুর চালায় তৃণমূল ও কংগ্রেসের ছাত্রপরিষদ। এ ছাড়া ২৪ ডিসেম্বর তৃণমূল বিধায়কের উপস্থিতিতে বনগাঁয় দীনবন্ধু কলেজে ভাঙচুর হয়। কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও তৃণমূল ছাত্রপরিষদের কর্মীদের হামলার ঘটনা ঘটে।
প্রসঙ্গত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে নতুন সরকার গঠিত হওয়ার পর রাজ্য সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর রাজনীতি ও দলাদলি বরদাস্ত করা হবে না বলে ঘোষণা দেয়। কিন্তু গত আট মাসেও এর বাস্তবায়ন হয়নি।

No comments

Powered by Blogger.