ঢাকামুখী মানুষের পথে পথে ভোগান্তি :গলাকাটা ভাড়া by সোহেল মামুন

বারও কর্মচঞ্চল হয়ে উঠল রাজধানী ঢাকা। অফিস-আদালতে কাজের ব্যস্ততা, শিক্ষার্থীদের কোলাহলে মুখর রাজধানীর ক্যাম্পাসগুলো। ঈদ আনন্দ শেষে কর্মস্থলে যোগ দিতে ৮০ ভাগের বেশি মানুষ গতকাল শনিবারের মধ্যে ঢাকায় ফিরেছেন। এবার নাড়ির টানে বাড়ি যাওয়ার মতোই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে রাজধানীমুখী ফিরতি যাত্রায়। মহাসড়কে দীর্ঘ যানজট, অতিরিক্ত পরিবহনের চাপে ফেরিঘাটে অচলাবস্থা, দূরপাল্লার বাস সংকটসহ নানা ঝক্কি-ঝামেলা মোকাবেলা করে গতকাল শনিবার মানুষ রাজধানীতে ফিরেছেন। ঢাকায় আসার কোনো পরিবহন না পেয়ে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বিকল বাসে আগুন দিয়েছেন_ এমন ঘটনাও ঘটেছে।


ঈদের পর মানুষের পকেটে যখন ভাটা তখন নানারকম দুর্ভোগের সঙ্গে যাত্রীদের 'গলার কাঁটা' হয়ে দাঁড়াল বাড়তি ভাড়ার ভোগান্তি। জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে দুই-তিনগুণ অতিরিক্ত ভাড়া হাতিয়ে নিচ্ছেন পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদের আগে যে ভাড়ায় মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে পেঁৗছেছিল, শনিবার সে ভাড়ায় কেউই ঢাকা ফিরতে পারেননি। যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ দেখে গতকাল লঞ্চেও কয়েকগুণ বেশি ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন। বাস ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতারা
জানালেন, ঈদের পর বুধবার অফিস খুললেও শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার পর্যন্ত ঢাকায় ফিরতি যাত্রীর চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। এ কারণে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে নানারকম ভোগান্তিতে পড়েছে মানুষ। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এএসএম আলী খবির চান সমকালকে বলেন, শনিবার সন্ধ্যায় ঈদে সড়ক পথের যাত্রীদের ৮০ ভাগের বেশি ফিরে এসেছেন। একই সমিতির সদস্য সালাউদ্দিন বলেন, পরিবহন ব্যবসায় সারা বছর তাদের লাভ হয় না। এজন্য ঈদের সময় একটু বেশি ভাড়া নেন তারা। জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় ভাড়া বাবদ আরও কিছু অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে।
এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেছেন, পথে কিছুটা ভোগান্তি থাকলেও নিরাপদেই পেঁৗছেছে মানুষ। তিনি বলেন, সরকারের ভাড়া বাড়ানোর আগে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাজধানীর বাস টার্মিনাল, কমলাপুর রেলস্টেশন ও সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশন ও টার্মিনালগুলোতে ফিরতি যাত্রীর উপচেপড়া ভিড়। বাসের যাত্রীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিভিন্ন মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের কারণে দুই থেকে তিনগুণ বেশি লাগছে ঢাকায় পেঁৗছতে। বাস সংকটের কারণে কাউন্টারেও ঘণ্টার ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। কমলাপুর রেলস্টেশনে গতকাল কোনো ট্রেনই সময়মতো এসে পেঁৗছেনি।
বাস : গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, একের পর এক যাত্রীবোঝাই বাস এসে থামছে টার্মিনালে। নামি পরিবহনগুলোর বাস থামছে তাদের কাউন্টারের সামনে। দীর্ঘ যাত্রায় চেহারার বিরক্তিভাব আর চোখেমুখে ক্লান্তির ছাপ মুছে বেশ কয়েকদিন পর ঢাকায় এসে হাসি মুখে বাস থেকে নামতে দেখা গেছে যাত্রীদের। নেমেই বিপত্তি। সিএনজিচালিত ট্যাক্সি, অটোরিকশা এবং রিকশা সংকট। যাত্রীরা ভাড়া ঠিক করতে গেলে চালকরা তিন-চারগুণবেশি ভাড়া দাবি করছেন। এ অবস্থায় ছেলেমেয়ে, ব্যাগ-লাগেজ ও মালপত্র নিয়ে অনেককে অসহায়ভাবে বাসস্ট্যান্ডে বসে থাকতে দেখা গেছে।
শনিবার দুপুরে স্ত্রী এবং দুই মেয়ে রিমি ও ঝিমিকে নিয়ে হানিফ পরিবহনের বাস থেকে নামেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মকর্তা তারেক বিন আলম। তিনি জানালেন, কর্মস্থলে যোগ দিতে রংপুর থেকে ঢাকায় ফিরলেন। এ পথ আসতে ৭ ঘণ্টার জায়গায় ১৭ ঘণ্টা সময় লেগেছে। বগুড়া ও টাঙ্গাইলে তীব্র জানজটের কারণে ১০ ঘণ্টা সময় বেশি লেগেছে। তিনি জানান, শুক্রবার সকালের টিকিট করা ছিল তার। ওই সময়ে আসতে না পারায় প্রতি টিকিটে ২০০ টাকা বেশি দিতে হয়েছে। সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকায় ভাড়া ৩০০ টাকা। রাজিয়া পরিবহনে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ূয়া ছাত্র রনির কাছ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। বগুড়া থেকে ৩ থেকে সাড় ৩ ঘণ্টায় ঢাকায় পেঁৗছা যায়। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাহমুদা জানালেন ব্যক্তিগত পরিবহনে রাত ১ টায় যাত্রা শুরু করে সকাল ১১টায় তিনি ঢাকায় পেঁৗছেন।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে লক্ষ্মীপুর থেকে আসা এক যাত্রী জানালেন, বাস না পেয়ে জরুরিভিত্তিতে ঢাকায় আসার জন্য একটি চেয়ার কোচ বাসে ওঠেন তিনি। এক হাজার টাকা ভাড়া দেবেন_ এমন শর্তে বাসের সুপারভাইজার তাকে ইঞ্জিনে বসার সুযোগ করে দেন। যদিও ওই পথটুকুর ভাড়া ৩০০ টাকা। কুমিল্লা থেকে ঢাকায় ভাড়া ১০০ টাকা। তেলের দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গতকাল এ রুটে সব পরিবহন ৩০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করেছে বলে যাত্রীরা অভিযোগ করেন। বেশ কয়েক যাত্রী জানালেন, বাসস্ট্যান্ডে এবং মহাসড়কে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো তৎপরতা নেই। গতকাল দুপুর ১টার দিকে মহাখালী টার্মিনালে একই রকম অভিযোগ করেন মাহমুদ হাসান। তিনি বলেন, শ্যামলীর বাসায় যাবেন। ট্যাক্সিক্যাব চালক সাড়ে চারশ' টাকার নিচে যাবেন না। সঙ্গে মালামাল থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি ওই ভাড়াতেই ক্যাব নিতে বাধ্য হয়েছেন। ওই সময়ে মহাখালী টার্মিনাল এলাকায় কোনো পুলিশ সদস্য চোখে পড়েনি।
লঞ্চ : পুরো শহরে তেমন কোনো যানজট না থাকলেও গতকাল সকাল থেকেই ব্যস্ত সড়ক ছিল সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাওয়ার রাস্তাটিতে। লঞ্চঘাটে মানুষের ভিড়। ভোর থেকে একে একে লঞ্চ ভিড়তে থাকে জেটিতে। প্রত্যেক লঞ্চেই নির্ধারিত আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই। অবৈধভাবে যাত্রী নেওয়া হয়েছে টপ ছাদে। আজ থেকে কর্মস্থলে হাজির হতে হবে বলে গতকাল অনেকে রাজধানীতে ফিরে এসেছেন। সদরঘাট টার্মিনাল দিয়ে গত দু'দিনে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ রাজধানীতে ফিরেছে। লঞ্চের ডেক ও ছাদ কোথাও ফাঁকা ছিল না। কোনো রকম দুর্ঘটনা ছাড়া ঢাকায় পেঁৗছতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন যাত্রীরা। লঞ্চে যারা অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে চড়েছেন, তাদের কাছ থেকে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল সকালে ভোলার চরফ্যাশন থেকে টিপু লঞ্চে চড়েন মিলন ও পান্না। কেবিন দেওয়া হবে এমন কথা বলে তাদের লঞ্চে তোলা হয়। শেষ পর্যন্ত স্টাফদের কেবিন দেওয়া হয় তাদের। সাধারণ ডাবল কেবিনের চেয়ে স্টাফদের কেবিন ছোট ও নোংরা। তারা জানান, ওই লঞ্চে ডাবল কেবিনের ভাড়া ১৫০০ টাকা। অথচ স্টাফ কেবিন দিয়ে তাদের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা ভাড়া নিয়েছে। রফিক আহমেদ নামে এক যাত্রী বলেন, ঈদকে ঘিরে লঞ্চ মালিকদের ভাড়া বাণিজ্য ঠেকানো এখন সময়ের দাবি।
ট্রেন : কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বিভিন্ন গন্তব্য থেকে হাজার হাজার যাত্রী রাজধানী ঢাকায় ফিরেন। রেলের হিসাব মতে, প্রতিদিন ৩৫ হাজার যাত্রী নির্ধারিত আসনে ভ্রমণ করে ফিরছেন। ছাদে এবং দাঁড়ানো মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী শনিবার ট্রেনে ঢাকায় এসেছে। অনেকে টিকিট না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদে উঠে ঢাকায় ফিরেছেন। চরম ভোগান্তি এবং ট্রেনের ছাদ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও রাজধানীতে ফিরতে পেরে অনেকেই স্বস্তি প্রকাশ করেন।
কিছু গন্তব্য থেকে সময়মতো ট্রেন ছাড়লেও অধিকাংশ গন্তব্য থেকে গতকাল নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ছাড়েনি। ফলে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনেও কোনো ট্রেন নির্ধারিত সময়ে পেঁৗছতে পারেনি। ঈদের আগে যে ভয়াবহ সিডিউল বিপর্যয় হয়েছিল সেটা কাটিয়ে উঠেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম থেকে শুক্রবার গোধূলি ট্রেনে ঢাকায় ফেরেন শারমীন আক্তার রকি। তিনি জানালেন, ট্রেনটি ঢাকায় পেঁৗছার কথা ছিল রাত ৯টায়। সেটি পেঁৗছে রাত ১২টায়। তিনি বলেন, স্টেশন ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে ট্রেন থেমে ছিল। ফলে জনমনে ভয় তৈরি হয়।
অনুসন্ধান কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, ঢাকা থেকে গতকাল ১৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে এবং ঢাকায় এসেছে ২০টি। রেলওয়ে ম্যানেজার (ঢাকা) সিধাংশু চক্রবর্তী সমকালকে বলেন, সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন তারা।
মুন্সীগঞ্জে বাসে আগুন : লৌহজং (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের শ্রীনগর উপজেলার কামারখোলা নামকস্থানে শুক্রবার রাতে 'গ্রেড বিক্রমপুর পরিবহন'-এর একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা। দমকল বাহিনী দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রীনগর থানার ওসি মিজানুর রহমান ঘটনাস্থল থেকে ফিরে জানান, বাস নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মাঝপথে প্রায় ৬০-৭০ যাত্রী বিপাকে পড়েন। বাস কর্তৃপক্ষ দ্রুত সেখানে একটি বাস পাঠিয়ে যাত্রীদের গন্তব্যে পেঁৗছানোর আশ্বাস দেয়। দীর্ঘ সময়েও কোনো বাস না আসা এবং অন্য বাসেও প্রচণ্ড ভিড় থাকায় যাত্রীদের পরিবহন করতে রাজি না হওয়ায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা বাসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
যানবাহনের চাপে ফেরিঘাটে অচলাবস্থা : অতিরিক্ত গাড়ির চাপে সৃষ্ট যানজট ও মানুষের ভিড়ে পাটুরিয়া-দৌলদিয়া ফেরিঘাট ও মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরিঘাটে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি জানান, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রাজধানীর কর্মমুখী মানুষের ঢল নেমেছে দৌলতদিয়া ঘাটে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত যানবাহনের চাপে সৃষ্টি হয়েছে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। আটকা পড়ে ও হেঁটে ঘাটে পেঁৗছাতে চরম দুর্ভোগের শিকার হন যাত্রীরা। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকাগামী যানবাহনের সারি দৌলতদিয়ার ১ নম্বর ফেরিঘাটে জিরো পয়েন্ট থেকে গোয়ালন্দ বাজার ফিডমিল পর্যন্ত মহাসড়কে ৫ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় ওই দীর্ঘ পথ অনেককে হেঁটে যেতে দেখা গেছে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েন। সড়কে যানজট কমাতে পুলিশ চেষ্টা অব্যাহত রাখে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার দৌলতদিয়া কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান জানান, এ রুটে বর্তমানে ৯টি রো রো ও ১টি কেটাইপ ফেরি দিয়ে যানবাহন পার করা হচ্ছে। ঈদের ছুটি শেষে রাজধানীমুখী মানুষের বাড়তি যানবাহনে ঘাট এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। গত ২৪ ঘণ্টায় ২৮৬১টি যানবাহন পার করা হয়। রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল হক বলেন, দৌলতদিয়া ঘাট ও সড়কে মানুষের নিরাপত্তা প্রদান ও দুর্ভোগ লাঘবের জন্য পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছে।
শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি জানান, মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি ঘাটের কাওড়াকান্দি অংশে ছোট ছোট যানবাহনের ভিড়ে ঘাট এলাকা থেকে খানবাড়ী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়কজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এর ফলে আটকা পড়ে পণ্যবাহী ট্রাক, নৈশকোচসহ সহস্রাধিক যানবাহন । শুক্রবার ভোর থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার বন্ধ ছিল।
বিআইডবি্লউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাট ইনচার্জ শাহনেওয়াজ জানান, নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে কমতে থাকায় অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে ফেরি পারাপারে একটু বেশি সময় লাগছে। ৪টি চ্যানেলে ৭টি ড্রেজার দিয়ে নদী খনন কাজ অব্যাহত রয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.