কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র উৎসব by সুব্রত আচার্য্য,

লকাতায় সপ্তদশ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মধ্যেই বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বিশেষ একটি চলচ্চিত্র উৎসবের ঘোষণা আসতে চলেছে। উৎসবের শেষ দিন ১৭ নভেম্বর এ ঘোষণা দিতে পারে রাজ্য সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর।সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রে যানা যায়, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপট, মুক্তিযুদ্ধের পূর্ব ও পরবর্তী ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নির্মিত পাঁচটি ছবি নিয়ে এই চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করা হবে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাস্ত করে 'বাংলাদেশ' নামের একটি স্বাধীন দেশের অভ্যুদয়ের ডিসেম্বর মাসে।


ডিসেম্বরের ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত কলকাতায় মুক্তিযুদ্ধের এই চলচ্চিত্র উৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। বাংলাদেশ উপদূতাবাস এবং রাজ্য সরকার যৌথভাবে এ উদ্যোগ নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের বিশেষ সচিব নন্দিনী ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠের কাছে এ উদ্যোগের প্রস্তুতির কথা স্বীকার করেছেন। তিনি উৎসবের দিন-তারিখ বলতে রাজি হননি।
কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে রাজ্য সরকারের অতিথি হিসেবে যোগ দেওয়া 'গেরিলা' ছায়াছবির পরিচালক ও নাট্যকার নাসির উদ্দীন ইউসুফ গতকাল কালের কণ্ঠকে জানান, আগামী ৯ থেকে ১১ তারিখ পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। উৎসবে তাঁর গেরিলা ছবিটিও দেখানো হবে।
জানা গেছে, উৎসবে প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত অন্য পাঁচটি ছবি হচ্ছে_হুমায়ূন আহমেদের 'আগুনের পরশমণি', মোরশেদুল ইসলামের 'খেলাঘর' ও 'আমার বন্ধু রাশেদ' এবং তারিক মাসুদের 'মাটির ময়না'।
এদিকে কলকাতার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রথম দিনে দুটি বাংলাদেশি ছবি দেখানো হয়েছে। শুক্রবার রাতে নন্দন-১-এ প্রায় এক হাজার দর্শক নাসির উদ্দীন ইউসুফের গেরিলা ছবিটি দেখেছে। মূল চলচ্চিত্র উৎসবের অন্তর্ভুক্ত না হলেও উৎসবের অংশ সিনে সেন্ট্রালে প্রদর্শিত হয়েছে প্রয়াত তারিক মাসুদের 'রানওয়ে' ছবি। সেখানে বিভিন্ন দেশের ৭৫টি চলচ্চিত দেখানো হচ্ছে।
বাংলাদেশের গেরিলা ছবিটি চলচ্চিত্র উৎসবের এশিয়া বিভাগের প্রতিদ্বন্দ্বিতায় স্থান পেয়েছে। এবারই প্রথম এ উৎসবে প্রতিযোগিতামূলক বিভাগ চালু করল আয়োজক কমিটি। নাসির উদ্দীন ইউসুফ আশা প্রকাশ করেন, প্রতিযোগিতায় 'গেরিলা' ভালো কোনো স্থান অর্জন করবে। তিনি বলেন, 'উৎসবে কলকাতার মানুষ যেভাবে গেরিলা ছবিটি দেখেছে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য।'

No comments

Powered by Blogger.