প্রমীলাদের ক্রিকেট লড়াই

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের সফল আয়োজনের সাত মাস পর ঢাকায় বসছে আরও একটি বহুজাতিক ক্রিকেট আসর। আগামী সোমবার থেকে ঢাকায় শুরু হচ্ছে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বাছাইপর্ব। দশটি দেশের অংশগ্রহণে আইসিসির এই টুর্নামেন্ট নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য মাইলফলক।পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেট আসর প্রথম বসেছিল ১৯৭৫ সালে। আর মেয়েরা বিশ্বকাপ খেলে তারও আগে, ১৯৭৩ সালে। মহিলা বিশ্বকাপের সর্বশেষ আসর বসেছিল ২০০৯ সালে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। ওই আসরের শীর্ষ ৪ দল ২০১৩ বিশ্বকাপে সরাসরি খেলবে।


দল ৪টি হলো ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড এবং ভারত।
বাকি চারটি দলকে বাছাইপর্বের বাধা পেরিয়ে আসতে হবে। ১৪ থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বিশ্বকাপের মূল আসরে খেলার সুযোগ ছাড়াও থাকছে ওয়ানডে স্ট্যাটাস লাভের সুযোগ। প্রথম ছয় দলের মধ্যে থাকতে পারলে দেওয়া হবে ওয়ানডে স্ট্যাটাস।
১৪ তারিখ থেকে শুরু হতে যাওয়া এই বাছাইপর্বে অংশগ্রহণেও আছে যোগ্যতার মাপকাঠি। ২০০৯ বিশ্বকাপে পঞ্চম ও ষষ্ঠ হওয়ায় বাছাইপর্ব খেলবে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং জিম্বাবুয়ে (আফ্রিকা), আয়ারল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডস (ইউরোপ), যুক্তরাষ্ট্র (উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকা) এবং জাপান (প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট খেলে বাছাইপর্বে অংশ নেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে। বাংলাদেশ এবং শ্রীলংকা অংশ নিচ্ছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সুপারিশে। এদিকে এসিসির সুপারিশে অংশ নিলেও স্বাগতিক বাংলাদেশের মেয়েদের সামনে কিন্তু দারুণ সুযোগ। সালমা খাতুনরা প্রথম চার দলের মধ্যে না থাকতে পারলেও যদি তারা ছয় দলের মধ্যে থাকতে পারেন তাহলে বিপ্লব হয়ে যাবে এ দেশের নারী ক্রিকেটে।


স্টেফেনি টেইলর (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
আইসিসি বর্ষসেরা মহিলা ক্রিকেটার ২০১১

No comments

Powered by Blogger.